কোটা আন্দোলনের মাধ্যমে এই বার্তাটি স্পষ্ট, বাংলাদেশে কোনও শাসক ইচ্ছামতো দেশ চালাতে পারবে না। সুশাসন প্রতিষ্ঠা না হলে আবারও তরুণরা গর্জে উঠবে। জনগণ কোনও শাসকের অন্যায় মেনে নেবে না বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ।
বুধবার (৭ আগস্ট) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক ভিডিওবার্তায় এমন মন্তব্য করেন তিনি। বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে যারা অপরাধ করেছে, তাদের বিচারের দাবি জানাই। কিন্তু বাহিনীর সকল সদস্যদের প্রতিংসার মুখোমুখি দাঁড় করানো উচিত নয়। তাদের ছাড়া সভ্য সমাজ পরিচালনা করা সম্ভব নয়।
সোহেল তাজ আরও বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে সোচ্চার ছিলাম। তাদের ওপর গুলি না চালানোর আহ্বান জানিয়েছিলাম। এই আন্দোলনে অনেক নিরীহ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। অনেকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। কিন্তু বিজয়ের পর দেশজুড়ে নানা প্রতিহিংসামূলক কর্মকাণ্ড ও সুযোগসন্ধানীদের কাণ্ড দেখে অন্যান্যদের মতো আমিও ব্যথিত। ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে আগুন ও ভাস্কর্য ভেঙে ফেলা হয়েছে। এতে আমাদের কতটুকু লাভ হলো?
তিনি বলেন, গত কয়েকদিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে মন্দির-গীর্জায় আক্রমণ হয়েছে। অনেকের বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। অনেক মানুষ নিহত ও আহত হয়েছে। এছাড়া আওয়ামী লীগসহ অনেক রাজনৈতিক প্রতিপক্ষেরও ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এরূপ কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই। এ সময় দেশের বর্তমান পরিস্থিতে থেকে মানুষের জানমাল রক্ষা করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আবেদনও জানান।
সোহেল তাজ বলেন, অরাজকতা বন্ধে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। এভাবে চলতে থাকলে বাংলাদেশ পথ হারিয়ে ফেলবে। সবাই মিলে এই সংকট মোকাবেলা করতে হবে। নাহলে বাংলাদেশ এক গভীর সমস্যার মুখোমুখি হবে।