সোমবার , ২১ জুলাই ২০২৫ | ৬ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
insidebusinessnews.com
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. খেলাধুলা
  7. গল্প
  8. জাতীয়
  9. ধর্ম
  10. প্রবাস
  11. ফিচার
  12. বাণিজ্য
  13. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  14. বিনোদন
  15. বিভাগীয় সংবাদ

কারাগারের নতুন আতংক আবু তালেব

প্রতিবেদক
Newsdesk
জুলাই ২১, ২০২৫ ১২:২৩ পূর্বাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির চোখ দিয়ে সবকিছু দেখে কারা অধিদপ্তর। ক্ষমতায় বিএনপি আসে নাই কিন্তু ছায়া সরকার গড়ে তুলেছে কারা অধিদপ্তরের এক সহকারী কারা মহাপরিদর্শক।

তার নাম আবু তালেব, এআইজি এডমিন পদে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে ঠাকুরগাঁও কারাগার থেকে চলে যায় কারা সদর দপ্তরে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আশীর্বাদে। একরকম জোর করেই চেয়ারে বসে পরে আবু তালেব।


এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হচ্ছে না। কারণ সে বিএনপির মুখপাত্র হিসেবে কারা অধিদপ্তরে পরিচয় দেয়। একসময়ের ছাত্রদলের ক্যাডার পরিচয় দানকারী এই জুনিয়র জেল অফিসার কারা অধিদপ্তর নিয়ন্ত্রণ করে। তার চোখে দেখতে হচ্ছে সবকিছু। সবজায়গায় সে বিএনপির গন্ধ খুঁজে। কারারক্ষী থেকে আইজি প্রিজন্স পর্যন্ত সকল জায়গায় বিএনপি পন্থী লোক বসানোর ঠিকাদারি নিয়েছে এই তালেব। তার বাড়ি নড়াইল জেলায়। অঘোষিত বিএনপি নেতা সে। সরকারি চাকরি করে এটা তার মাথায় নাই। একসময় এই কাজটা করো জেল সুপার সুভাষ ঘোষ। ৪২ জনকে ডিঙিয়ে সে ঢাকা জেলের সিনিয়র জেল সুপার পদটি দখল করে নেয়। আজ তার চাকরি নেই। একই কাজ শুরু করেছে আবু তালেব।

আওয়ামী ফেসিস্ট সরকারের দোসরদের পাশবিকতার গল্প নতুন করে বিএনপির নামে চালিয়ে দিয়ে কারাগারে এক ভয়ংকর পরিবেশ তৈরি করছে তালেব।
আইজি প্রিজন্স যতই নিরপেক্ষতা ও সততার বুলি আউড়ান না কেন দিন শেষে তালেব যা বলে তাই। যে কোন বদলি ও পদোন্নতির ফাইল নিয়ে গিয়ে তালেব ভেটো দিলে সেই কারা কর্মকর্তা-করমচারীর আর ভাল পোস্টিং হবে না বা পদোন্নতি পাবে না। কারণ আইজি প্রিজন্সও ভয়ে থাকেন, তাকে বিভিন্ন কৌশলে ভয় দেখায় তালেব। একজন সামরিক কর্মকর্তা হিসেবে তারও সামনে রয়েছে পদোন্নতি পদায়নের ঝুঁকি। দুইজন কর্ণেল অতিরিক্ত কারা মহা পরিদর্শকেরও একই ভয়। অর্থাৎ তালেব ভয়।

কখনো গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে, কখনো বিএনপির নেতাদের দিয়ে, কখনো সাংবাদিক দিয়ে আইজি প্রিজন্সকে চাপে রাখা হয়। এর বড় প্রমাণ কারা অধিদপ্তরের বদলি ও পদোন্নতির ফাইল গুলো। একজন কারারক্ষীও তালেব এর সনদপত্র ছাড়া পাড় হতে পারে না।

এর ফলে কারা বিভাগের মাঠ পর্যায়ে দেখা দিয়েছে হতাশা ও ক্ষোভ। নিরপেক্ষ কর্মকর্তা কর্মচারীদেরও হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে তালেব এর কারণে।

তালেব তার ব্যাচমেট জেল সুপারদের বিএনপির লোক পরিচয় দিয়ে বড়বড় কারাগারে বদলি করিয়ে নিয়েছে। জেল সুপার জাভেদ মেহেদি কে গাইবান্ধা থেকে কক্সবাজার, ফোরকান ওয়াহিদকে চাঁদপুর থেকে নারায়নগঞ্জ কারাগারে। এরকম অসংখ্য উদাহরণ আছে। নরসিংদী কারাগারের শামীম ইকবালকে সে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রেখেছে।

আর টাকা হলে আওয়ামী লীগের লোকও বিএনপি তালেব এর কাছে। আইজি প্রিজন্স নিজেকে খুব নিরপেক্ষ ও সৎ দাবি করলেও আবু তালেব এর কাছে অসহায় । আইজি প্রিজন্সকে হাতেনাতে নাকি প্রমাণ দিতে হবে। আসলে আইজি প্রিজন্সকে থুড়াই কেয়ার করে আবু তালেব।

আসলে তালেবের কোন চরিত্রই নাই। সে ২০০৩ সালে হাজী সেলিম এমপি ও আওয়ামী গুন্ডাকে মোবাইল সরবরাহ দিতে গিয়ে সাময়িক বরখাস্ত হন। তখন কিন্তু বিএনপি ক্ষমতায়। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু করা হয়। এখনো সেই রেকর্ড কারা অধিদপ্তরে আছে। এবার তা সরিয়ে ফেলবে কারণ তালেব নিজেই রেকর্ডের মালিক এআইজি এডমিন।

এভাবে ক্ষমতায় আসার আগেই তালেব কারাগারের সকল স্তরে বিএনপির লোক বসানোর ঠিকাদারি নিয়েছে। আসলে তালেবের পরিচয় কি? তালেব এর আসল পরিচয় টাকা দিলে সবাই বিএনপি। নাহলে আওয়ামী লীগের লোক বানিয়ে আইজির কাছে তুলে ধরবে। এভাবে চলতে থাকলে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরকে নজর দিতে হবে। কারণ আইজি প্রিজন্স তালেব নামক যাঁতাকল থেকে নিরিহ কারা কর্মকর্তা কর্মচারীদের রক্ষা করতে পারছে না। কারণ সচিবালয়ে রয়েছে তালেব এর কুশীলব উপসচিব ও যুগ্ম সচিবরা।

ভুক্তভুগিরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে অভিযোগ দেয়ার প্রক্রিয়ায় আছেন। তাদের দাবী এআইজি আবু তালেবকে কারা অধিদপ্তর থেকে সরিয়ে নেয়া হোক। কারা অধিদপ্তরকে বিএনপি নামীয় দানব ও চাঁদাবাজের হাত থেকে অসহায় কারা কর্মকর্তা কর্মচারীদের ও কারাবন্দীদের বাঁচানো হোক। তা নাহলে কারাগারে বিশৃঙ্খলা ও বিপজ্জনক ঘটনা ঘটিয়ে ফেলবে এই আবু তালেব গংরা।

সর্বশেষ - অন্যান্য