পোশাক শ্রমিকদের জন্য নূন্যতম মজুরি ১২ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করে খসড়া গেজেট প্রকাশ করেছে মজুরি বোর্ড। এতে একপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করলেও এর বিপক্ষে আন্দোলন করছে শ্রমিকদের একাংশ। শ্রমিকরা বলছেন, নিত্যপণের দাম সহনীয় হলে নতুন বেতনেই টিকে থাকতে পারবেন তারা।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় পোশাক শ্রমিকদের ৫৬ দশমিক ২৫ শতাংশ মজুরি বৃদ্ধির করে সাড়ে ১২ হাজার টাকা ঠিক করার পর শ্রমিকদের একাংশ রাস্তায় নামলেও, এ বেতনেই সন্তুষ্ট অনেক শ্রমিক। তারা বলছেন, ৮ হাজার টাকার বেতন সাড়ে ১২ হাজার হওয়ায় খুশি তারা।
পোশাক শ্রমিকরা বলছেন, বেতন বৃদ্ধির খবরে এরইমধ্যে বাড়িভাড়া বাড়ানোর পাঁয়তারা শুরু করেছে বাড়িওয়ালারা। বাড়িভাড়া না বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়ে তারা বলছেন, নিত্যপণ্যের দাম যদি স্বাভাবিক থাকে তাহলেই বেতন বৃদ্ধির সুফল পাবেন তারা।
শ্রমিক অসন্তোষের কারণে এরই মধ্যে দুই শতাধিক পোশাক কারখানা বন্ধ রাখা হয়েছে গাজীপুরে। তবে পেশাকশিল্পের কর্তাব্যক্তিরা চান, দেশের অর্থনীতির প্রাণ যে শিল্প, কোনো অবস্থায় যেন সেটি ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
গত চার দশক ধরে ৬ হাজার ৮৮৫টি পোশাক কারখানা বিজিএমইএর সদস্য হয়েছে। এরমধ্যে করোনা মহামারীসহ বিভিন্ন কারণে ৪ হাজার ২৮১টি কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। অবশিষ্ট ২ হাজার ৬০৪টি সদস্য কারখানার মধ্যে মাত্র ১৬০০ কারখানা ক্রেতাদের কাছ থেকে সরাসরি ক্রয়াদেশ এনে কাজ করছে। বাকিগুলো ব্যাংকঋণ ও বিভিন্ন দেনার কারণে সরাসরি পোশাক রপ্তানির আদেশ পায় না।
অনেক কারখানা বিভিন্ন ব্যাংকে দেনা ও দায়ের কারণে সরাসরি ব্যাক-টু-ব্যাক খুলতে পারছে না। ফলে তারা ক্রেতাদের কাছ থেকে সরাসরি অর্ডার নিতে পারছে না।
এই সদস্য কারখানাগুলো মূলত সাব-কন্ট্রাক্টের মাধ্যমে তাদের ব্যবসা টিকিয়ে রেখেছে। অবশিষ্ট কারখানাগুলো ব্যাংক দেনা ও আর্থিক সংকটের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে। তবে তারা আগামীতে দেনা পরিশোধ করে ব্যবসায় ফিরে আসতে ইচ্ছুক।