আরও বেশি আন্তর্জাতিক সহায়তার আবেদন জানিয়েছে প্রলয়ঙ্কারী বন্যায় বিপর্যস্ত পাকিস্তান। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা সালমান সুফি বলেছেন, জুন থেকে বন্যায় এক হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছে এবং লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
পাকিস্তানে বন্যাকবলিতদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ অনেকে। তবে তা যথেষ্ট নয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আরও অনেক তহবিল প্রয়োজন বলে জানা গেছে।
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমে, খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে নদীগুলিতে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আকস্মিক বন্যায় হাজার হাজার মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে বাড়িঘর ছেড়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে ২৩ বছর বয়সী জুনায়েদ খান বলেছেন, ‘আমরা বছরের পর বছর কঠোর পরিশ্রম করে যে বাড়িটি তৈরি করেছি তা চোখের সামনে ডুবতে শুরু করেছে। রাস্তার পাশে বসে স্বপ্নের বাড়িটি ডুবতে দেখেছি’।
দেশটির দক্ষিণ-পূর্বের সিন্ধু প্রদেশও বন্যার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, হাজার হাজার মানুষ তাদের বাড়িঘর হারিয়েছে।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা সালমান সুফি বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘পাকিস্তানের আরও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা দরকার। পাকিস্তান অর্থনৈতিক সমস্যা যখন কাটিয়ে উঠছিল তখনই বন্যার আঘাত এসেছে। উন্নয়ন প্রকল্পের বরাদ্দকৃত অর্থ এখন বন্যাকবলিতের সহযোগিতায় ব্যয় করা হচ্ছে’।