সোমবার , ১৫ আগস্ট ২০২২ | ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
insidebusinessnews.com
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. খেলাধুলা
  7. গল্প
  8. জাতীয়
  9. ধর্ম
  10. প্রবাস
  11. ফিচার
  12. বাণিজ্য
  13. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  14. বিনোদন
  15. বিভাগীয় সংবাদ

মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চিকে আরও ছয় বছরের কারাদণ্ড

প্রতিবেদক
Newsdesk
আগস্ট ১৫, ২০২২ ৭:৩৬ অপরাহ্ণ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

খবরে বলা হয়, নিজের প্রতিষ্ঠিত সংস্থা ডাও খিন কি ফাউন্ডেশনের তহবিল তছরুপ, সরকারি মালিকানাধীন জায়গা বিশেষ ছাড়ে লিজ নেয়া ও নিয়ম বহির্ভূতভাবে বাড়ি তৈরির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন সু চি।

গত বছর (২০২১) রক্তপাতহীন এক সামরিক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাবাহিনী। ক্ষমতাচ্যুত সুচিসহ বন্দি করা হয় সাবেক সরকারের শীর্ষ নেতাদের। প্রাথমিকভাবে তাকে রাজধানীতে তার নিজ বাড়িতেই রাখা হয়। এরপর তাকে রাজধানী নেপিদোর একটি অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।

আটকের পর ৭৭ বছর বয়সী সু চির বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও রাষ্ট্রদ্রোহসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ আনে মিন অং হ্লাইংয়ের জান্তা সরকার। এসব অভিযোগে গত বছরের ২৪ মে রাজধানী নেপিদোর এক বিশেষ আদালতে তার বিচার ‍শুরু হয়।

এক বছরেরও বেশি সময় পর চলতি বছরের জুন মাসে (২২ জুন) সু চি-কে অজ্ঞাত স্থান থেকে রাজধানী নেপিদোতে সেনা নিয়ন্ত্রিত একটি কারাগারে সরিয়ে নেয়া হয়। তখন থেকে কারাগার থেকেই তার বিরুদ্ধে চলমান মামলাগুলোর শুনানি চলছে।

ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে সু চির বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও জালিয়াতির অন্তত ১৮টি অভিযোগ এনেছে জান্তা সরকার। এগুলো প্রমাণিত হলে তার সর্বমোট ১৯০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। কয়েকটি মামলায় এরই মধ্যে তাকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। যদিও নিজের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বর্তমানে নির্জন কারাবাসে থাকা সু চি।

অবৈধভাবে ওয়াকিটকি আমদানি ও ব্যবহার এবং করোনাভাইরাস বিধিনিষেধ লঙ্ঘনের দায়ে সাবেক এ স্টেট কাউন্সেলরকে ইতোমধ্যে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। তবে এ শাস্তি পরে দুই বছরে নামিয়ে আনা হয়। এ ‍মুহূর্তে সুচির বিরুদ্ধে দুর্নীতি, নির্বাচনে কারচুপি ও রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা ভঙ্গের মামলা চলমান।

সুচির বিচারে অত্যন্ত গোপনীয়তা রক্ষা করা হচ্ছে। তার আইনজীবীদের গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে নিষেধ করা হয়েছে। সাংবাদিকদেরও তার বিচারে চলাকালে উপস্থিত হতে দেয়া হয় না। সুচির সমর্থক গোষ্ঠী ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও তার সম্মানহানির চেষ্টা বই কিছু নয়।

সু চির দণ্ডকে প্রহসন আখ্যা দিয়ে তার মুক্তি দাবি করেছে পশ্চিমা দেশগুলো। তবে সামরিক বাহিনী বলছে, একটি স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে তাকে প্রাপ্য আইনি সুবিধা দেয়া হচ্ছে। সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারে রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা চলছে।

এদিকে নিজেদের ক্ষমতা পোক্ত করতে হিমশিম খাচ্ছে সেনা সরকার। তারা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর ক্রমবর্ধমান প্রতিরোধের মুখে পড়েছে। পাশাপাশি দেশজুড়ে চলছে সেনা সরকারবিরোধী বিক্ষোভ।

তবে শুরু থেকেই বিক্ষোভকারীদের ওপর কঠোর দমন-পীড়ন অব্যাহত রেখেছে জান্তা সরকার। স্থানীয় মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তথ্যানুযায়ী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর হামলায় এ পর্যন্ত অন্তত ১ হাজার ৩০০ বিক্ষোভকারী প্রাণ হারিয়েছেন। বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ মনে করছে, এখন সশস্ত্র সংগ্রামও দরকার। সেই লক্ষ্যে কারেন প্রদেশের জঙ্গলে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে তারা।

সর্বশেষ - অন্যান্য

আপনার জন্য নির্বাচিত