পোশাকশ্রমিক এক কিশোরীকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে গাজীপুরে আওয়ামী লীগের স্থানীয় এক প্রভাবশালী নেতার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। অপহরণের ১৮ দিনেও সন্ধান মিলেনি ওই কিশোরীর।
রোববার গাজীপুর মেট্রোপলিটনের গাছা থানায় ওই নেতার বিরুদ্ধে মামলা হয়।
মামলার আসামি আওয়ামী লীগ নেতা শহিদুজ্জামান সুমন (৪০) সস্ত্রীক পলাতক রয়েছেন। তিনি স্থানীয় কুনিয়া তারগাছ এলাকার মৃত আসকর আলী বিএসসি’র ছেলে। এ ছাড়াও ৩৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। গাছা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী হিসেবে এলাকায় ব্যাপক পোস্টারিংও রয়েছে তার।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মহানগরের ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের কুনিয়া তারগাছ এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতা সুমনের ভবনে অবস্থিত দরাজ গার্মেন্ট কারখানায় ওই কিশোরী চাকরি করতেন। সুযোগ পেলেই ভবন মালিক আওয়ামী লীগ নেতা সুমন মেয়েটিকে উত্যাক্ত করতেন এবং বিয়ের প্রস্তাব দিতেন। বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় মেয়েটিকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও এলাকা ছাড়া করারও হুমকি দেন তিনি। এতে মেয়েটি ভয়ে চাকরি ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। গত ৩ আগস্ট মেয়েটি কর্মস্থল থেকে বাসায় না ফেরায় তার মা ওই দিন সন্ধ্যা ৭টায় কারখানায় সন্ধান নিতে যান। এ সময় মেয়েটির সহকর্মীরা জানান, ভবন মালিক সুমন মেয়েটিকে কারখানা থেকে জোর করে নিয়ে গেছে।
মেয়েটির মা শাহনাজ বেগম বলেন, সুমনের বাড়িতে গিয়ে সুমনের স্ত্রী সালমাকে তিনি ঘটনাটি জানান। ওই সময় সুমনের স্ত্রী সালমা বলেন, ‘যা হয়েছে তা ভুলে যান। ৫০ হাজার টাকা দিই নিয়ে যান।’ ওই সময় তিনি মেয়ের সন্ধান চাইলে সুমনের স্ত্রী বলেন, খোঁজাখুঁজি করে কোনো লাভ নেই। সুমন সময় মতই তাকে (ভিকটিমকে) নিয়ে হাজির হবে।
এ ব্যাপারে গাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত) নন্দ লাল চৌধুরী বলেন, ভিকটিমের মা শাহনাজ বেগম শহিদুজ্জামান সুমন ও তার স্ত্রী সালমা বেগমের বিরুদ্ধে গাছা থানায় মামলা করেন। আসামি গ্রেফতার ও ভিকটিমকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। ভিকটিম উদ্ধার হলে বিস্তারিত জানা যাবে।