নতুন বছরের সূচনা নিয়ে এলো প্রভাতের সূর্য। মুছে যাবে গ্লানি, দু:খ, কষ্ট। সেই বার্তা নিয়ে এলো নতুন বছর ১৪২৮।
বাঙ্গালির বর্ষবরণে নানা আয়োজনে বাজে ঢোল আর ঢাক । প্রকৃতির খেলায় আর নাগর দোলায় চড়ে নতুন পোশাকে মেতে উঠে শিশুরা।
মেয়েদের লাল পেড়ে শাড়ি, কানে দুল , হাতে রেশমি চুড়ি । ছেলেদের গায়ে লাল-সাদা রঙের পাঞ্জাবী আর পায়জামা ও ফতুয়া। আনন্দ উল্লাসে বৈশাখী মেলা, ভাসিয়ে সুখের ভেলা, মাটির পুতুল, কানের দুল, পাটের ছিকা, তাল পাতার পাখা, বাঁশের বাঁশি সোলার পাখি ।
ঢাকায় রমনার বটমূলে প্রভাতি গানের সাথে বর্ষবরন। চারুকলার মোঙ্গল শোভা যাত্রা। শহুরে প্রাঙ্গণেও বসে হরেক রকমের মেলা। সেখানেও তুলে ধরা হয় গ্রামের আবহ। শহরের মানুষগুলোর মন তখন গ্রাম্য ছোঁওয়ায় হয়ে উঠে নষ্টালজিক।
ইলিশ মাছে পান্তা ভাত, নানা পদের ভর্তা। সব মিলিয়ে আমাদেন নতুন বছর।
কিন্তু এবারের নতুন বছরটা একটু অন্যরকম। এবার থাকছেনা রমনা বটমূলে প্রভাতি গানের আয়োজন।
এবার বর্ণিল পোশাক পরা প্রাণোচ্ছল মানুষের ঢল নামবে না রাজপথে, বিনোদনকেন্দ্রে কিংবা অনুষ্ঠান মঞ্চে।
কারন পৃথিবীতে চলছে মহামারী করোনা ভাইরাস।
তারপরেও নতুন বছরে সবার প্রত্যাশা- ’’মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা,. অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা ‘