৪২ বছর বয়সী মা ও ২৪ বছর বয়সী ছেলের কীর্তিতে হতবাক সকলে। কেরলের মলপ্পুরম নিবাসী এই মা-ছেলে এক সঙ্গে রাজ্যের পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় পাশ করেছেন, সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে এমনটাই খবর। পরীক্ষায় পাস করে ২৪ বছর বয়সী বিবেক বলেন, “আমরা একসঙ্গে কোচিং ক্লাসে যেতাম। মা আমাকে সবরকমভাবে সাহায্য করত। বাবা আমাদের পড়াশুনোর জন্য সব ধরনের বন্দোবস্ত করেছিল। আমাদের শিক্ষকরা আমাদের সবরকমভাবে অনুপ্রাণিত করেছেন। একসঙ্গে পড়াশুনো করে আমরা কোনওভাবেই ভাবিনি যে পরীক্ষাও একসঙ্গে পাস করব। আমরা দু’জনেই খুব খুশি।”
ভারতের কেরালায় এই ঘটনা ঘটেছে বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি সোমবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে। বিবেক যখন দশম শ্রেণির ছাত্র, তখন থেকে তাঁর মা বিন্দু বিভিন্ন বই পড়ে তাঁকে উৎসাহ জোগাতে শুরু করেছিলেন। সেই সময়ই তিনি মন স্থির করেন যে তিনি নিজেও পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় বসবেন। ৯ বছররের প্রস্তুতিতে বিন্দু ও তাঁর ছেলে বিবেক সরকারি চাকরি পাওয়ার জন্য সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত হয়ে গিয়েছিলেন। লোয়ার ডিভিশন ক্লার্ক পরীক্ষায় গোটা রাজ্যে বিন্দু ৩৮ র্যাঙ্ক করেছেন অন্যদিকে তাঁর ছেলে এলজিএস পরীক্ষায় ৯২ নম্বর স্থানে রয়েছেন। এর আগে এলজিএসের জন্য দু’বার এবং এলডিসির জন্য ১ বার পরীক্ষায় বসেছিলেন বিন্দু। শেষমেশ চতুর্থ চেষ্টা সাফল্য পেয়েছেন বিন্দু।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগে ১০ বছর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে কর্মরত ছিলেন বিন্দু। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর বন্ধু ছেলে, কোচিংয়ের শিক্ষকরা ক্রমাগত তাঁকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। তাই পিএসসি পরীক্ষা দিয়ে সরকারি চাকরি পাওয়ার জন্য যাঁরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন, নিজের উদাহরণ তুলে ধরে তাদের কোনওভাবে ধৈর্য হারাতে না করেছেন বিন্দু। অতীতে তিনি কীভাবে ভুল করেছেন, সেই কথাও তুলে ধরেছেন বিন্দু। তিনি জানিয়েছেন, অতীতে পরীক্ষার আগে তিনি ৬ মাস পড়াশুনো করতেন এবং পরীক্ষা হয়ে গেলে পড়াশুনো থেকে বিরত থাকতেন। বিন্দু জানিয়েছেন, সরকারি চাকরির পরীক্ষায় সাফল্য পেতে হলে নিয়মতি পড়াশুনো করে যেতে হবে। উল্লেখ্য, সাধারণভাবে কেরলে ৪০ বছর বয়স অবধি সরকারি চাকরির পরীক্ষায় বসা যায়। তবে সংরক্ষিত শ্রেণিদের জন্য সরকারি বয়সসীমাতে ছাড় রয়েছে।