রবিবার , ২৮ আগস্ট ২০২২ | ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
insidebusinessnews.com
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. খেলাধুলা
  7. গল্প
  8. জাতীয়
  9. ধর্ম
  10. প্রবাস
  11. ফিচার
  12. বাণিজ্য
  13. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  14. বিনোদন
  15. বিভাগীয় সংবাদ

এত বছরের ভোর, কার অ্যাকাউন্টে জমা দিলাম : শাহনাজ খুশি

প্রতিবেদক
Newsdesk
আগস্ট ২৮, ২০২২ ৭:২৯ অপরাহ্ণ

দেশীয় টেলিভিশনের দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি। সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সরব তিনি। বিভিন্ন সময় পরিবারের সঙ্গে কাটানো নানান মুহূর্তের ছবি অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নেন। পাশাপাশি ব্যক্তি জীবনের সুখ-দুঃখের গল্পও শেয়ার করেন।

 

রোববার (২৮ আগস্ট) সকালে দুই ছেলে দিব্যজ্যোতি ও সৌম্যজ্যোতির সঙ্গে তোলা দুটি ছবি শেয়ার করেছেন এ অভিনেত্রী। যার একটি দিব্য ও সৌম্যের ছোটবেলায় তোলা, অন্যটি বর্তমান সময়ের।

ছবি দুটির সঙ্গে নিজের জীবনের এক চিত্র তুলে ধরেছেন শাহনাজ খুশি। তার সেই লেখাটি তুলে ধরা হলো-

 

 

 

‘এক সমুদ্র জীবনের ভেতরে কত ছোট ছোট ডিঙি নৌকার মতো জীবন থাকে। একেক ডিঙিতে একেক জীবন পার হতে একেক অভিজ্ঞতা। বাচ্চারা যখন খুব ছোট, তখন খুব ভোরে ওঠে তাদের খাবার, কাপড় ধোঁয়া, ঘরকন্নার তাবদ কাজ সেরে নিতাম। যাতে ওদের সঙ্গে পুরো সময় থাকতে পারি।

 

302170325-2329131577237515-6286601024479544495-n

 

যখন স্কুলে যাওয়া শুরু, ভোরবেলাতেই কি এক ঝড় শুরু হতো। সকালের নাস্তা, ওদের টিফিন বক্স রেডি, ওয়াটার পট ভরে ব্যাগে চেক করে রেডি করা, স্কুল ড্রেস ইস্ত্রি করে পরিয়ে দেওয়া, ওর বাবার অফিসের খাবার। সে এক মহাযজ্ঞ! তখন শুধু ছুটির দিনগুলো লাল মার্কার দিয়ে লিখে রাখতাম। কবে একটু দৌড় কম দিতে হবে।

 

বড় হওয়ার পর ও লেভেল-এ লেভেলের কোচিংসহ দৌড় আরেক ধাপ বৃদ্ধি। তখন প্রায় রোজই মনে হতো, আমার হাত যদি ৪টা হতো? একজন মানুষ যদি একটু সাহায্য করার জন্য থাকতো।

 

 

 

এখন ইউনিভার্সিটি। ওর বাবাও আর অফিস করে না। ওদের ক্লাস টাইম বদলেছে। টিফিন বক্স-ওয়াটার পট নিয়ে দৌড় কমেছে। তারা এখন ভোর-সকালে নিশ্চিন্তে ঘুমায়। কিন্তু আমার অটো ক্লক একই কাজ করে। সেই কাকডাকা ভোরে জেগে যাই। শত চেষ্টা করেও ঘুম আসে না। আমি এখনও ঘরে ঘুরে ঘুরে নানান কাজ করি। মর্নিং ওয়াক, একটু পড়া, আর মাঝে মাঝে দরজা খুলে দেখি ওরা উঠল কি না।

 

 

 

301693479-2329131660570840-1020930321005413771-n

 

যাদের জন্য আমি ভোরে নির্বাসিত হয়েছি, তারাই এখন আমার ভোরে ওঠা নিয়ে মহা বিরক্ত। রোজ ২-৪ বার বলবে, তোমার কারণে ঘুমাতে পারি! সারাক্ষণ কুটুর-কাটুর শব্দ করো, দরজা খোল, বিরক্ত করতে পারো তুমি মা!

এটাই হয়তো স্বাভাবিক! আমার প্রাণে মোড়া ভোরটা ওদের আর রোজ রোজ দরকার পড়ে না। আমার ভোরে এখন আমিই কেবল বাস করি। আমি শুধু ভাবি, আমার জীবনের এতগুলো বছরের ভোর তাহলে কার অ্যাকাউন্টে জমা দিলাম? আমারও ইদানিং খুব আহ্লাদী ঘুমে, অহংকারী ভঙ্গিমায় শুয়ে থাকতে ইচ্ছা করে। ইচ্ছা করে, ওরা সবাই উঠে দেখুক, মার দু’চোখেও একটা ঘুমন্ত ভোর আছে। মারও একটা ওদের ডেকে না তোলা অহংকারী সকাল আছে।’

 

সর্বশেষ - অন্যান্য