বুধবার , ১ মার্চ ২০২৩ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
insidebusinessnews.com
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. খেলাধুলা
  7. গল্প
  8. জাতীয়
  9. ধর্ম
  10. প্রবাস
  11. ফিচার
  12. বাণিজ্য
  13. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  14. বিনোদন
  15. বিভাগীয় সংবাদ

এনআরবিসি”র চেয়ারম্যান তমাল পারভেজের টর্চার সেল,বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখে কুলুপ, পর্ব – ১

প্রতিবেদক
Newsdesk
মার্চ ১, ২০২৩ ৫:৪৬ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক: এনআরবিসি ব্যাংকের ইসলামী ব্যাংকিং কমার্শিয়াল ব্যাংকিং সেক্টরের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ইসলামী ব্যাংকিং উইং হিসেবে সাধারণ আমানতকারীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। করোনার সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেও বিগত বছরগুলোতে প্রত্যাশার চেয়েও অধিক হারে সাফল্য অর্জন এনআরবিসি ব্যাংক করেছে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় আল- আমিন উইং নিয়ে এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস. পারভেজ তমাল এর সমর্থনপুষ্ট কতিপয় ঊর্ধ্বতন কর্মকতা ও তাদের সাঙ্গোপাঙ্গরা চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে। এই কুচক্রী দলের উদ্দেশ্যই হচ্ছে যে কোন উপায়ে ইসলামী ব্যাংকিং কার্যক্রমের অধীনে একটি বিশেষ এনজিও নির্ভর মাইক্রো ক্রেডিট সার্ভিস পরিচালনা করা।

এই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতায় প্রথমে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড থেকে সদ্য অবসরে যাওয়া একজন বিতর্কিত কর্মকর্তাকে আল- আমিন উইংয়ের প্রধান হিসেবে চুক্তিতে নিয়োগের চেষ্টা চালানো হয় এবং শরিয়াহ ব্যাংকিং কার্যক্রমের সাথে যুক্ত কর্মকর্তাদের মনোবল ভেঙ্গে দেওয়ার জন্য তাদের বর্তমান অফিস হাদী ম্যানশন থেকে সরিয়ে অন্যত্র নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করলেও মাহফুজুল হককে ব্যাংক থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য মনগড়া ও ভিত্তিহীন কাহিনি সৃষ্টি করে তার উপর অরনক চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে বলে জানা যায়। তার উপর আনিত অভিযোগে বলা হয়, মো: মাহফুজুল হক আল-আমিন উইংয়ের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ব্যাংকের একাউন্টস হেড জাফর ইকবাল হাওলাদারের নামে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ জমা দিয়েছেন এবং একই উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ব্যাংক একাউন্টের স্টেটমেন্ট প্রিন্ট করেছেন। এনআরবিসি ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, মো: মাহফুজুল হককে মানসিক ভাবে চাপ প্রদান করার জন্য ও জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি আদায় করার লক্ষ্যে এসইভিপি সাফায়েত কবির কাননের নেতৃত্বে তদন্তের নামে টর্চার করা হচ্ছে।

এই ঘটনায় ব্যাংকটির এসভিপি মেজর (অব:) পারভেজ হোসেন, এসভিপি ল্যাফটেনেন্ট কমান্ডার (অব:) ফরহাদ সরকার, আইটি হেড এসভিপি দিদারুল ইসলাম মিঞা মূখ্য ভূমিকা পালন করছেন। আরও জানা যায়,গত ১৯ শে ফেব্রুয়ারী ভুক্তভোগী মাহফুজুল হকের নিকট থেকে তার ব্যবহিত ব্যক্তিগত মোবাইল কেড়ে নেন ফরহাদ সরকার ও দিদারুল ইসলাম মিঞা এবং উদ্ধারে আইটি শাখার ডিভাইস এন্যালাইসিস টিমকে নিয়োজিত করেন। মজার বিষয় হলো পরবর্তীতে জানা যায়, ব্যাংক স্টেটমেন্ট গুলো ডাউনলোড ও প্রিন্ট করা হয়েছে মাইক্রো ক্রেডিট শাখা থেকে, যা বর্তমানে ব্যাংকির চিফ ।

ফাইন্যান্সিয়াল অফিসারের নিয়ন্ত্রণাধীন এবং সেই ডিভিশনে বা সেই কর্মকর্তার সাথে মাহজুল হকের কোন সংপৃক্ততা নেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন, পরিকল্পিত ভাবে গত ২০ ফেব্রুয়ারী মাহফুজুল হক ও অন্য দুই কর্মকর্তার উপর অমানবিক চাপ সৃষ্টি করা হয় এবং সেদিন এক পর্যায়ে ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস এম পারভেজ তমাল নিজে জিজ্ঞাসাবাদে অংশ নেন ও শারীরিক নির্যাতনে উদ্যত হন। আরও জানা যায়, বারবার হুমকি প্রদানের মাধ্যমে ব্যাংকের অন্যান্য কর্মকর্তাদের কাল্পনিক সম্পৃক্ততার বিষয়ে স্বীকারোক্তি আদায়ের চেষ্টা করেন। টর্চারিং স্কুলে উপস্থিত থেকে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও গোলাম আউলিয়া মাহজুল হক সহ আরও দুই কর্মকর্তাকে সাসপেন্ড করেন। এনআরবিসি ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, ব্যাংকটির হিসাব রক্ষণ বিভাগের প্রধান জাফর ইকবাল হাওলাদারের বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ০০.০১.০০০০.৪১১.০১.০০৬, ২০২২.৩৫৫४২ দুদক দুর্নীতি আমলে নিলেও এনআরবিসি ব্যাংক তাকে কোনরূপ জিজ্ঞাসাবাদ আওতায় আনেনী। ওই ঘটনা সম্পর্কে আইনশৃংখরা বাহিনীকে অব্যাহিত করতে একটি সাধারন ডায়েরী করার চেস্টা করে মাহফুজুল হক। কিন্তু মতিঝিল থানা থেকে শুরু করে কোনো থানায় মাহফুজুল হকের জিডি গ্রহন করেনী। ভুক্তভুগি মাহফুজ জানায় তমাল পারভেজের টাকা কাছে বিক্রি হয়ে গেছে সব। জিডিতে মাহফুজ উল্লেখ করেন —

২০২১ সালের ২৯.০৩.২০২১ সময় দুদকে কে বা কাহারা ব্যাংকের কয়েকটি হিসাবের হিসাব বিবরণী ও অন্যান্য তথ্য প্রেরণ করে। যাতে ঘটনার শুরু।

তৎপরবর্তীতে ব্যবস্থপনা কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে উদ্ধার করে যে কোন কম্পিউটার হতে এই বিবরণী গ্রিন্ট দুদকে দেওয়া হয়েছে। এরপর তমাল পারভেজের নির্দেশে ব্যাংক কর্তৃক গঠিত স্পেশাল টর্চার সেলের সদস্য ১) কমান্ডার ফরহাদ, ২) মেজর পারতে দিদারুল হক মিয়া, ৪) জনৈক ইয়াছিন আলীসহ অনেকেই এই দুই নবীন কর্মকর্তাকে শারিরীক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে ও বিভিন্ন মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে জোরপূর্বক মাহফুজুল হকের অন্তর্ভূক্ত করে।

পরবর্তীতে ১৯.০২,২০২৩ কারিখে দুপুর বেলার উল্লেখিত টচার সেলের সদস্য মাহফুজকে ডেকে নিয়ে শারিরিক নির্যাতন করে তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন (০১৯১৩-৩৭৪৭, Samsung Galaxy S21 Ultra) ছিনিয়ে নেয় শারিরিকভাবে লাঞ্চিত করে এবং প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে মাহফুজুল হকের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনের নিরাপত্তার পাসওয়াডটিও জোরপূর্বক বিনিয়ে চার সেলে আরও উপস্থিত ছিলেন এ নি ডিপিপি সার অনেকেই তাহারা জোরপূর্বক আমাকে দিয়ে স্বীকারোকি আদায়ের চেষ্টা করে যে, তাদের এবং ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের দুর্নীতির মাহফুজের দ্বারা বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের কাছে ফাঁস হয়েছে যা সম্পূর্ণ করা একটি দুর্নীতি এর কথা না বলে বহুদিন থেকে মাহফুজের পেছনে লেগে আছে এবং বিভিন্নভাবে তার ক্ষতি করার চেষ্টা করে আসছে। হতে গভীর রাত পর্যন্ত টর্চার সেলে আটকে রেখে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মনীতি অনুসরণ না করেই মাহফুজুল হককে চাকুরি হতে নরশান্ত করো মাইলটি রেখে দিয়ে ব্যাংক থেকে বের করে দেওয়া হয়।

এরই ধারাবাহিতা পতকা ২০.০২.২০২৩ মাহফুজকে সকাল হতে গভীর রাত পর্যন্ত টর্চার সেলে উল্লেখি নিম্নলিখিত কামাল পারভেজ, চেয়ারম্যান, এনআরবিসি ব্যাংক, ২ গোলাম আউলিয়া, ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ৩। ডিএমজি কি সে সকলের উপস্থিতিতে মাহফুজের মোবাইল ফোনটি সকল পরীক্ষ নিরিক্ষা করে তৈরি সেলের প্রধান কমান্ডার সবাইকে জানান যে, উনার মোবাইলে কোন কিছু পাওয়া যায় নি এবং আমাকে কিছুক্ষনের মোবাইলটি হস্তান্তর করে নেই। পরবর্তীতে মোবাইলটি না করা পর আইসিটি বিভাগের প্রধান চার সেলের অন্যতম সদস্য মোহ নিদারুল হক মিয়া জানান যে, উনার মোবাইলে অনেক ডকুমেন্ট পাওয়া গেছে এবং চেয়ারম্যান উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সামনে আমাকে শারিরিক ভাবে প্রহার করার জন্য টিচার সেলের সদস্য কমান্ডার ফরহাদসহ সকল সদস্য, ডিএম হারুন, এসইডিপি লিপি আর রানারসহ পুরোটি মাহফুজকে গালিগা করে পরবর্তীতে মাহফুজের পরিবার উদ্বেগ উৎকণ্ঠার মধ্য থেকে সরকারের সহায়তায় ৯৯৯ ফোন করার পরে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনি মাহফুজুল হককে এনআরবিসি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় থেকে উদ্ধার করে।

নির্যাতিত মাহফুজুল হক জানায় এই ঘটনার একটি অভিযোগ বাংলাদেশ ব্যাংকেও দেযার চেস্টা চলছে। তবে এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান তমাল পারভেজের লোকজন সেখানেও থাকতে পারে। তাই অসুস্থা সন্তানকে নিয়ে নিরাপত্তাহিনতায় মানবেতর জীবনযাপন করছে মাহফুজুল হক।

সর্বশেষ - অন্যান্য