নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রথম পর্ব প্রকাশ হবার পরে পুরো সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স (এসবিএসি) ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের মধ্যে নিন্দার বয়ে গেছে। খোজ নিয়ে জানাযায় কাদির মোল্লার নারী ধর্ষনের প্রতিবেদন প্রকাশের পর ব্যাংকটির পরিচলনা পর্ষদের সবার মাঝে এক ভীতির সন্চার করে। কারন বলতে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পরিচালক বলেন এমন একজন নারী খেকো এই ব্যাংকের চেয়ারম্যান যে কারো সামনে মুখ দেখানো অবস্থা নেই। কারন কাদির মোল্লার নারী ধর্ষনের এই সংবাদ এরই মধ্যে সারা দেশের সকল শাখার কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা জেনে গেছে। শুধু তাই নয় সরকারী বেসরকারী সকল ব্যাংকার মধ্যে টক অব দ্যৌা টাউন ছিলো কাদির মোল্লার ধর্ষনের সংবাদ প্রকাশের পর।
এরই মধ্যে কাদির মোল্লার আরেকটি নারী ধর্ষনের সংবাদ পেয়েছে ইনসাইড বিজনেস নিউজ। এবারের মেয়েটির নাম নুরুন নাহার। নুরুন নাহারের বা[িড় ফরিদপুর হলেও তার বসবাস মিরপুরের রুপনগরে। বাবা মার একমাত্র সন্তান হিসেবে গ্রাজুয়েট করে চাকুরির সন্ধানে নামে। ঠিক তখন কাদির মোল্লার দালালের খপ্পড়ে পড়ে নারুন নাহার। এসবিএসি ব্যাংকে বা থার্মেক্স গ্রুপে চাকুরি দেবার নাম করে মালিকের সাথে পরিচয়ের কথা বলে মগবাজারের কাদির মোল্লার এক দালালের বাড়িতে কাদির মোল্লা কতৃক গত ফেব্রুয়ারী মাসে ধর্ষনের শিকার হয় নুরুন নাহার।
নুরুন নাহারও দর্ষনের প্রমান হিসেবে একটি ছবি এবং কিছুটা ভিডিও করে রাখের কাদির মোল্লার ধর্ষনের প্রমান হিসেবে। ইনসাইড বিজনেস নিউজের হাতে আসা ছবিতে দেখাযায় কাদির মোল্লা নুরুন নাহারকে ধর্ষন করে চলের যাবার আগে ঘরের ড্রেসিং টেবিলে দাড়িয়ে মাথার চুল আচড়াতে থাকে। সেই ছবিতেও কাদির মোল্লার পরনের প্যান্ট কিছুটা খোলা পাওয়া যায়। আর ড্রেসিং টেবিলে পড়ে থাকতে দেখাযায় নুরুন নাহারের ভ্যানিটি ব্যাগটি।
সেই ধর্ষনের পর আর খোজ পাওয়া যায়নি কাদির মোল্লার। হয়নি নুরুন নাহারের চাকরি। মামলা করতে চেষ্টা করলেও নুরুন নাহার জানায় কাদির মোল্লা তাকে ধর্ষনের পরে জানায় থানা পুলিশ করে কোনো লাভ নেই। কারন সে টাকা দিয়ে সবাইকে কিনে রেখেছে। তাই ভযে মামলা করতে যায়নি নুরুন নাহার। তবে গোয়েন্দা পুলিশের কাছে নুরুন নাহার একটি লিখিত অভিযোগ করবে বলে প্রতিবেদককে জানায় ধর্ষনের শিকার নুরুন নাহার।নুরুন নাহার আরো জানায় তার কাছে থাকা কাদির মোল্লার আরো আপত্তিকর ছবি রয়েছে। সেসব ছবি পরবর্তীতে দেয়া হবে বলেও জানায় সে।
এর আগেও আবদুল কাদির মোল্লার বিরুদ্ধে ধর্ষনের অভিযোগ এসেছে। ২০২২ সালের আগষ্টে রাজধানীর ভাটারা এলাকার এক তরুনীকে তার প্রতিষ্ঠান থার্মেক্স গ্রুপে কাজ দেয়ার নাম করে নিকেতন একটি বাসায় এনে জোর পুর্বক এই ধর্ষনের অভিযোগ আনে এক তরুনী। সেই তরুনী এখন অন্তসত্বা বলেও জানায় অভিযোগকারী। কিন্তু এখন থার্মেক্স গ্রুপের মালিক আব্দুল কাদির মোল্লা সেই অন্তসত্মা তরুনীর দায়িত্ব নিতে নারাজ। তরুনীর নিজের মোবাইলে লুকিয়ে তোলা ছবিতে দেখাযায় ধর্ষনের পর উলঙ্গ আব্দুল কাদির মোল্লা তার পোষাক পড়ছেন। তার কাছেও এমন আরো ছবি আর ভিডিও রয়েছে বলে প্রতিবেদকের কাছে জানায় ভুক্তভুগি।
সেই নারীর জন্য সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স (এসবিএসি) ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের পরিচালকরা এগিয়ে আসেনী। সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স (এসবিএসি) ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের এক পরিচালক জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণরের কাছে বিষয়টি জানানো হযেছে। প্রচারতি সংবাদও পাঠানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিষয়টির খোজ নিচ্ছে বলেও জানায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পরিচালক। তবে গোয়েন্দা পুলিশের নজরেও বিষয়টি আনা হয়েছে বলে জানায় অন্য এক পরিচালক।