রবিবার , ২০ জুলাই ২০২৫ | ৫ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
insidebusinessnews.com
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. খেলাধুলা
  7. গল্প
  8. জাতীয়
  9. ধর্ম
  10. প্রবাস
  11. ফিচার
  12. বাণিজ্য
  13. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  14. বিনোদন
  15. বিভাগীয় সংবাদ

কারাদপ্তরে ফ্যাসিস্ট হাসিনার জাহাঙ্গীর কবির এখন বিএনপির এজেন্ট

প্রতিবেদক
Newsdesk
জুলাই ২০, ২০২৫ ১২:২৯ পূর্বাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক: কে এই জাহাঙ্গীর কবির সদ্য পদোন্নতি প্রাপ্ত এডিশনাল আইজি প্রিজন্স। আওয়ামী লীগের দোসর, ফ্যাসিস্ট হাসিনার ছোট বোন জামাই গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে শ্বশুর বাড়ি তার। শ্বশুরবাড়ি গোপালগঞ্জ হওয়ায় ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের সময় তাকে আর কাউকে তোয়াক্কা করতে হয়নি। চটজলদি বদলি, সিনিয়ারিটি ভংগকরে পদোন্নতি, উন্নতি আর উন্নতি। বিগত ১৬ বছর ফ্যাসিস্ট হাসিনার বোন জামাই, গোপালগঞ্জের জামাই জাহাঙ্গীর কবির এভাবেই দাপটের সাথে ধাবড়িয়ে বেড়িয়েছে সে।

গোপালগঞ্জের জামাই মো: জাহাঙ্গীর কবিরের শ্বশুর ছিল পুলিশের ওসি বা ইন্সপেক্টর। তার মাধ্যমে অনেকবার সে ফ্যাসিস্ট হাসিনার সঙ্গে দেখা করে। গণভবনে ছিল তার অবাধ যাতায়াত। এর বদৌলতেই সে ২০২০ সালে ডিআইজি প্রিজন পদে পদোন্নতি পায়।

যখন গোপালগঞ্জে এনসিপির নেতা নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহসহ নেতা কর্মীদের উপর আক্রমন হয় ১৬ জুলাই, জুলাই শহীদ দিবসে সেই জুলাই মাসের ৭ তারিখ হাসিনার বোন জামাই জাহাঙ্গীর সাহেবকে পদোন্নতি দেয়া হয় এডিশনাল আইজি প্রিজন্স পদে। অর্থাৎ ফ্যাসিস্টের দোসর ও জামাই এখনও কারা অধিদপ্তর নিয়ন্ত্রণ করে।

জানা যায় কারাগারে কোন একসময় বেগম খালেদা জিয়ার সাথে তার দেখা হয়। তখনই সে আরেক কৌশল অবলম্বন করে বিএনপি সাজার চেষ্টা করে। সফলও হয় সে। এখন তার জন্য বিএনপির দরজা খোলা। সে জনাব তারেক রহমান সাহেবকে তারেক ভাই বলে ডাকে। ঢাকা বিভাগের ডিআইজি অফিসে প্রকাশ্যে সে তারেক ভাই বলে সবার সামনে। কেরানীগঞ্জ কারাগারের অনেক কর্মকর্তা কর্মচারী তা শুনেছে বহুবার। সে গত আগষ্ট মাসে ঝটিকা বেগে ঢাকা বিভাগের ডিআইজি পদটি দখল করে নেয়।

এরপর থেকে সে আওয়ামীলীগের, পতিত সৈরাচারের ফ্যাসিস্ট হাসিনার ডানহাত সালমান এফ রহমান, আনিসুল হকসহ কেরানীগঞ্জ কারাগারের সকল আওয়ামী লীগের দোসর আটক নেতাদের অভিভাবক বনে যায় জাহাঙ্গীর। রাতে হাজিরা খাতায় সই স্বাক্ষর না করে আওয়ামীলীগের নেতাদের সেলে চলে যায় মোবাইল নিয়ে গভীর রাতে। জানাজানি হওয়ার পর জেলার জনাব মাসুম আজাদ ডিআইজি জাহাঙ্গীর কবিরকে স্বাক্ষর করতে বলেন। কারণ আইজি প্রিজন্স বিষয়টি জানার পর ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।

এই বিষয়সহ আওয়ামী লীগের দোসরদের সহযোগিতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যায় বিএনপি পন্থী এক ডিপ্লোমা নার্স আফজাল হোসেন। তাকেও পথের কাটা ভেবে সরিয়ে দেয় জাহাঙ্গীর কবির। তাকে অন্যায়ভাবে চাকরি থেকে বিদায় করে দেয়। সমস্যা একটাই জাহাঙ্গীর কবির নিজে মোবাইল ফোন সরবরাহ দিতে যেতো ঢাকা জেলে আটক আওয়ামীলীগের নেতাদের। বিনিময়ে কোটি কোটি টাকা বকশিস নিয়েছে সে। আর গোপালগঞ্জের জামাই ও হাসিনার বোন জামাই হিসেবে ঋণও শোধ করলো।

মাত্র ১০ /১২ দিন আগেও জাহাঙ্গীর কবির ছিল ঢাকা বিভাগের ডিআইজি। সে কমবেশি সবকিছুই জানতো। অনেকই মনে করে কেরানীগঞ্জ কারাগারে আটক আওয়ামী লীগের দোসর নেতাদের সাথে জাহাঙ্গীর কবির নেটের মাধ্যমে হাসিনার কথা বলিয়ে দিয়েছে। গোপালগঞ্জে ১৬ জুলাই, জুলাই শহীদ দিবসে এনসিপির উপর হামলার পিছনে পতিত সৈরাচারে বোন জামাই জাহাঙ্গীর কবির তথ্য উপাত্ত দিয়ে পরোক্ষভাবে সাহায্য করেছে। সে এখন বিএনপির মুখপাত্র হিসেবে কারা অধিদপ্তরে ঢুকেছে ছদ্মবেশে।

জুলাই শহীদ দিবসে, ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগের গুন্ডা বাহিনীর হাতে নিহত হওয়ার সম্ভাবনা ছিল এনসিপির সকল বড় নেতাদের। সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় বেচে যায়। কিন্তু গোপালগঞ্জের জামাই জাহাঙ্গীর কবির কারা অধিদপ্তরের বন্দী ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পেয়েছে। এখন তো আওয়ামী লীগের দোসর আটক নেতাদের অভিভাবক হয়ে কাজ করতে আরো সুবিধা হলো।

এনসিপির, জামায়াতের নেতাদের কাছে প্রশ্ন গোপালগঞ্জের জামাই, হাসিনার বোন জামাই কিভাবে কারা অধিদপ্তরের এডিশনাল আইজি প্রিজন্স পদে পদোন্নতি পায়। বিএনপি ও জামায়াতের নেতাদের ঢাকা জেল,নাজিমুদ্দিন রোডে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে ছিল এই জাহাঙ্গীর কবির। বর্ণচোরা এই ব্যাক্তি বিএনপির ঘাড়ে বন্দুক রেখে আওয়ামী লীগের বোন জামাই, গোপালগঞ্জের জামাই বিএনপির লোক হয়ে ঢাকা বিভাগ ও কারা অধিদপ্তর দখল করলো। জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে এখনই ব্রবস্থা না নিয়ে কারাগারের ভেতরে বিদ্রোহ হবার সম্ভবনা রযেছে বলে জানায় না প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন কারা কর্মকর্তা।

সর্বশেষ - অন্যান্য