বঙ্গবন্ধুর মেয়ে শেখ হাসিনা
দেশের উন্নয়ন
শেখ হাসিনার চেষ্টাতে আজ
এলো আবাসন
গরীব-দুঃখী ভাইবোনেরা
ছিলো না ঘর-বাড়ি
শেখ হাসিনার চেষ্টাতে আজ
পেলাম ঘর-বাড়ি
আমরা এখন ছেলে-মেয়ে নিয়ে
সুখের পাল তুলি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার পেয়ে উচ্ছ্বসিত বাবু মিয়া প্রধানমন্ত্রীকে শোনালেন নিজের লেখা এই গান। প্রধানমন্ত্রী সেই গান শুনে হাততালি দিয়ে তাকে দিলেন উৎসাহ।
ভূমিহীন বাবু মিয়া বলেন, যখন ঘর ছিলো না অনেক কষ্টে ছিলাম মা। আমি হোটেলে কাজ করতাম, থাকার জায়গা ছিলো না। রাত কাটাতাম হোটেলের বেঞ্চে। মা-ছেলে হোটেলে কাজ করতাম। সারাদিন কাজ করে আবার রাতে হোটেলেই থাকতাম। মাথা গোঁজার কোন ঠাই ছিলো না। আমার মেয়ে বলতো, বাবা আমাদের কি ঘর হবে না। আপনার কারণে আমি আজকে ঘর পেয়েছি। আজকে অনেক সুখে আছি।
মঙ্গলবার জমিসহ ঘর পেয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এসব কথা বলেন উপকারভোগী বাবু মিয়া।
এদিন বাবু মিয়ার মতো সারাদেশে ১৮ হাজার ৫৬৬ গৃহ ও ভূমিহীন পরিবারকে জমিসহ সেমিপাকা ঘর হস্তান্তর করা হয়। অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা, কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলা এবং ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে সুবিধাভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার সময় জীবনের সুখ-দুঃখের কথা জানান উপকারভোগীরা। অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হন তারা। আবেগাপ্লুত হন প্রধানমন্ত্রী নিজেও।
ভোলা চর ফ্যাশন এলাকার চর কচ্ছপিয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের উপকারভোগী বিবি আয়েশা জানান, ২৪ বছর আগে তার স্বামী লিভার কানসারে মারা যান। সেই থেকে তার কষ্টের জীবন শুরু।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, আমার একটি ভাঙা ঘর ছিল। আমার কিছু ছিল না যে একটা টিন আইনা সেই ঘর ঠিক করবো। আপনি ঘর দিছেন, বিদ্যুৎ দিছেন, পুকুর, টিউবওয়েল দিছেন। আমি ভাবি নাই এমন একটা ঘর পাবো। আপনারে কি বলে যে ধন্যবাদ দেবো প্রধানমন্ত্রী। আমার ভাষা জানা নেই।
একই আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পাওয়া জাহাঙ্গীর মাঝি জানান তার কষ্টের গল্প। তিনি বলেন, নিজের বলতে কিছু ছিল না আমার। কোনো রকমে একটি মাথা গোজার ঠাঁই ছিল আমার। কিন্তু ঝড়ে তা ভেঙে যায়। পলিথিন দিয়ে কোনো রকমে জোড়াতালি দিয়েছিলাম। এখন এই ঘর আমার জন্য আশির্বাদ। নামাজ পড়ে আপনার জন্য দোয়া চাই, যেন দেশের জন্য ভালো কাজ করতে পারেন। আপনি আমাদের মা, দেশের মা। আপনার জন্য দোয়া চাই।
কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ভাদী তলা পুর্ব দরগাহপাড়া আশ্রয়ণ গ্রামে ঘর পেয়েছেন হোসনে আরা। প্রতিবন্ধি হওয়ায় একসময়ে স্বামী তাকে ফেলে চলে যান। সেই থেকে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন, কিন্তু কোনো সহযাগিতা পাননি। অবশেষে আশ্রয়নের ঘর পেয়ে কষ্টের দিনের শেষ হছে তার।
প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে হোসনে আরা বলেন, আপনি প্রতিবন্ধী কার্ড দিয়েছেন। সংসার নামক জীবন খুব কষ্টের ছিলো। আপনার কাছ থেকে ঘর পেয়েছি। আপনার কাছে আমি ঋনী। আপনি হচ্ছেন যোগ্য নেতার যোগ্য কন্যা। আপনার হাতে দেশ থাকলে দেশ এগিয়ে যাবে।