ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদীতে আগামী চারদিন (বুধবার থেকে শনিবার) পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে।
এ চারদিন রাত ৮টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত কারফিউ বলবৎ থাকবে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেন, পরিস্থিতি আরো স্বাভাবিক হলে কারফিউ তুলে নেওয়া হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোটা অন্দোলনে শিক্ষার্থীদের যে দাবি ছিলো, তার সব মেনে নেওয়ার পরও সহিংসতা থামেনি। তাই বাধ্য হয়ে আমরা কারফিউ জারি করেছিলাম। আমরা সারাদেশের শান্তিশৃঙ্খলা নিয়ে আলোচনা করেছি। সারা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। আগামী বুধবার থেকে শনিবার সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে। এছাড়া কবে থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে সেটি শিক্ষামন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেবেন। টেকনিক্যাল বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেবেন যে, কবে থেকে পরিপূর্ণভাবে ইন্টারনেট চালু হবে।
এর আগে সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বৈঠকে বসেন সাত মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর। বৈঠকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া বৈঠকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, র্যাবের মহাপরিচালকসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গত ১৮ জুলাই শিক্ষার্থীদের ডাকা কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে শিক্ষার্থীসহ বেশ কয়েকজনের প্রাণহানি এবং একের পর এক রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় হামলা হয়। পরের দিনও সহিংসতা এবং প্রাণহানি চলতে থাকলে সেদিন মধ্যরাত থেকে কারফিউ জারি করা হয়, সারা দেশে মোতায়েন করা হয় সেনাবাহিনী।
প্রথমদিন ঢাকায় দুই ঘণ্টা করে কারফিউ শিথিল রাখা হয় জরুরি কাজ করার জন্য। পরেরদিন থেকে শিথিলের মেয়াদ বাড়তে থাকে। এর মধ্যে গত বুধবার থেকে সীমিত পরিসরে অফিস চালু হয়েছে।
বুধবার থেকে আগের মতো স্বাভাবিক নিয়মে চলবে অফিস-আদালত।