দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ১৭৯ জনই নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দুই জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি ৮৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যদের খোঁজ চলছে।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) দেশটির ফায়ার সার্ভিসের বরাত দিয়ে এ খবর জানায় বার্তাসংস্থা ইয়োনহাপ।
দেশটির দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চলে মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে ছিটকে গিয়ে পাশের দেয়ালের সাথে সংঘর্ষ হয় বিমানটির। এসময় বিমানটিতে মোট ১৭৫ জন যাত্রী ও ছয় জন ক্রু ছিলো।
যাত্রীদের মধ্যে ১৭৩ জন দক্ষিণ কোরিয়ার আর দুই জন থাই নাগরিক।
জেজু এয়ারের বিমানটি থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক থেকে ফেরত গিয়ে ওই বিমানবন্দরে অবতরণের সময় দুর্ঘটনায় পতিত হয়।
ইয়োনহাপ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত এক জন যাত্রী ও এক জন ফ্লাইট সহকারীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে এবং উদ্ধার তৎপরতা চলছে।
বিমানবন্দরের একজন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, উদ্ধারকর্মীরা বিমানটির পেছনের দিক থেকে যাত্রীদের উদ্ধারের চেষ্টা করছিলেন।
বিমানটি কেনো দুর্ঘটনায় পড়লো বা কেন রানওয়ে থেকে ছিটকে গেলো তা এখনো জানা যায়নি। তবে, পাখির কারণে ল্যান্ডিং গিয়ার অকার্যকর হয়ে এটি হতে পারে বলে ইয়োনহাপের খবরে বলা হয়েছে।
এদিকে, সত্যতা যাচাই করা যায়নি এমন একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে বিমানটি রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ছে এবং বিমানবন্দরের দেয়ালে গিয়ে আঘাত করছে।
কিন্তু ওই ভিডিওতে দেখা যায়, দেয়ালে আছড়ে পড়ার আগেই বিমানের এক অংশে আগুন ধরে যায়। আরেকটি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, কালো ধোঁয়ার কুন্ডলী আকাশের দিকে উঠছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার দমকল বিভাগ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ঘটনার পর মুহূর্তেই ফায়ার সার্ভিসের ৩২টি গাড়িসহ অন্তত ৮০ জন দমকল কর্মী ঘটনাস্থলে কাজ শুরু করে। পরে তাদের সাথে আরো ইউনিট যোগ দেয়।