মঙ্গলবার , ২৭ জুন ২০২৩ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
insidebusinessnews.com
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. খেলাধুলা
  7. গল্প
  8. জাতীয়
  9. ধর্ম
  10. প্রবাস
  11. ফিচার
  12. বাণিজ্য
  13. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  14. বিনোদন
  15. বিভাগীয় সংবাদ

দুর্যোগে মমতার হেলিকপ্টার, নিরাপদ ও সুস্থ আছেন

প্রতিবেদক
Newsdesk
জুন ২৭, ২০২৩ ১০:১০ অপরাহ্ণ

অল্পের জন্য বড় এক দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। খারাপ আবহাওয়ার মধ্যে পড়েছিলো তাঁকে বহন করা হেলিকপ্টার।

তবে শেষ খবর অনুযায়ী সামান্য আহত হলেও মমতা নিরাপদে আছেন, সুস্থ আছেন। হাসপাতালে পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরে গেছেন।

মঙ্গলবার দুপুরে, রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের একটি প্রচারসভা শেষে জলপাইগুড়ির ক্রান্তি থেকে বাগডোগরার উদ্দেশে রওনা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাঝপথে আকাশ কালো করে শুরু হয় প্রবল বৃষ্টি। পাইলট সঙ্গে সঙ্গে হেলিকপ্টারের দিক পরিবর্তন করেন।

এ সময় বৈকণ্ঠপুরের ঘন জঙ্গলের আকাশে ছিলো উড়োযানটি। ফলে সেখানে কপ্টার নামানো সম্ভব হয়নি। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেবকের বিমান ঘাঁটিতে জরুরি অবতরণ করেন। মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীরা নিরাপদে রয়েছেন। বড় ধরনের কোন ইনজুরির খবর আসেনি।

মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একই কপ্টারে যাত্রী ছিলেন তাঁর নিরাপত্তারক্ষী স্বরূপ গোস্বামী এবং সাংবাদিক বিশ্ব মজুমদার। ঠিক ছিলো, হেলিকপ্টারে বাগডোগরা পৌঁছে সেখান থেকে বিমানে কলকাতা ফিরবেন সকলে। কপ্টার জরুরি অবতরণ করার পর মমতার খবর নেন রাজ্যপাল।

পাইলট জানান, ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রবল দুর্যোগের মুখে পড়ে কপ্টার। তিন দিকে আকাশ কালো করে আসে। সঙ্গে শুরু হয় প্রবল বৃষ্টি। পাইলট বোঝেন, আর এগোন ঠিক হবে না। কিন্তু তখন নীচে বৈকুণ্ঠপুরের ঘন জঙ্গল। ফলে অবতরণ করার উপায়ও ছিল না।

শেষ পর্যন্ত শিলিগুড়ির উপকণ্ঠে শালুগাড়ার কাছে সেবক বিমান ঘাঁটিতে জরুরি অবতরণ করে কপ্টার। যদিও এই ঘাঁটি সম্পর্কে জানা ছিলো না পাইলটের। অনেকটা কপাল জোরেই ঘাঁটিটি চোখে পড়ে পাইলটের। সেখানেই জরুরি অবতরণ করেন তিনি।

মুখ্যমন্ত্রীসহ কপ্টারের অন্য যাত্রীদের ওই ঘাঁটির কর্মকর্তারা নিরাপদে কাছের সেনা কার্যালয়ে নিয়ে যান। সেখানেই তাঁদের রাখা হয়। জানানো হয়, সবাই নিরাপদে রয়েছেন। কারও কোনও ধরনের চোট-আঘাত লাগেনি। তবে বড় বিপর্যয় যে ঘটতে পারত, তা নিয়ে সন্দেহ নেই।

পরে বাগডোগরা থেকে বিমানে কলকাতায় ফেরেন মমতা। বিকেল পাঁচটার কিছু আগে কলকাতা বিমানবন্দরের নামার পর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এসএসকেএম হাসপাতালে। বিমানবন্দরে অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী তাঁর গাড়ি করেই হাসপাতালের রওনা হন

এ সময় তাঁর হাঁটতে সমস্যা হচ্ছিলো। মমতার চোট কতোটা তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। সূত্রে জানাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রীর জন্য তৈরি রাখা ছিল উডবার্ন ওয়ার্ডের সাড়ে ১২ নম্বর কেবিন। সেখানেই পরীক্ষা-নিরীক্ষার যাবতীয় ব্যবস্থা করা হয়। জেষ্ঠ চিকিৎসকরা মুখ্যমন্ত্রীর দেখভাল করেন।

সর্বশেষ - অন্যান্য