পানি শব্দটি আক্ষরিক বিবেচনায় ছোট হলেও বাস্তবতায় এর মূল্য কম নয়। পৃথিবীর সব কিছুই মৌলিকভাবে পানির ওপর নির্ভরশীল। সে জন্য পানিকে বলা হয় সব প্রাণের উৎস। সৃষ্টিকর্তার এই অপরূপ ও অপার নিয়ামত, শুধু দেহের পিপাসাই নিবারণ করে না, এটি ব্যবহৃত হয় সৃষ্টির নানাবিধ কাজের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ হিসেবে এবং পৃথিবীর জীববৈচিত্র্য রক্ষায় রাখে অনস্বীকার্য অবদান।
রাসূলুল্লাহ সা: পানি পান করার সময় কিছু নিয়ম অনুসরণ করতেন। যা উম্মতের জন্য পালনীয়। ফলে একদিকে যেমন রাসূলুল্লাহ সা:-এর অনুসরণ হবে, অপর দিকে মহান আল্লøাহর নিয়ামতের যথাযথ হক আদায় হবে।
পানি পান করার সময় রাসূলুল্লাহ সা:-এর সুন্নত :
১. পানির পাত্র ব্যবহার করা : রাসূল সা: মশকের মুখে মুখ লাগিয়ে পান করতে বারণ করেছেন (রিয়াদুস সালেহিন-৭৬৭)।
২. পরিষ্কার পাত্রে পানি পান করা : রাসূল সা: এ ব্যাপারে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, রাতের বেলা পানপাত্র আন্দোলিত না করে (পরিষ্কার না করে) পানি পান করবে না। তবে পাত্র ঢাকা অবস্থায় থাকলে ভিন্ন কথা (ইবনে মাজাহ-৩৪৭১)।
৩. আল্লøাহর নাম নিয়ে পান করা : রাসূল সা: বলেন, ‘যখন তোমরা পানি পান করার ইচ্ছা করবে, তখন শুরুতে বিসমিল্লাহ বলবে এবং শেষে আলহামদুলিল্লাহ’ (তিরমিজি-১৮৮৫)।
৪. ডান থেকে পান করা : রাসূল সা: বলেন, ‘তোমরা বাম হাতে আহার করো না। কেননা, শয়তান এভাবে আহার করে’ (ইবনে মাজাহ-৩২৬৮)।
৫. বসে বসে পান করা : শুধু জমজমের পানি ছাড়া পৃথিবীর সব পানি বসে পান করার নির্দেশ দিয়েছেন রাসূল সা: (মুসলিম-২০২৪)।
৬. তিন শ্বাসে পান করা : রাসূল সা: বলেন, ‘তোমরা কখনো উটের মতো এক চুমুকে পানি পান করো না। বরং তিন শ্বাসে পানি পান করবে’ (তিরমিজি-১৮৮৫)।
৭. গ্লাসে নিঃশ্বাস না ফেলা : রাসূল সা: কখনো পানি পান করার সময় গ্লাসে নিঃশ্বাস ফেলতেন না (বুখারি-১৫৪)।
বাস্তব জীবনে আমাদের আল্লাহ তায়ালা পানি পান করার সময় রাসূল সা:-এর সুন্নতগুলো মেনে চলার তাওফিক দান করুক। আমীন।