নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বেচ্ছাচারিতা এবং দূর্ণীতির অভিযোগে বেসরকারী এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান তমাল পারভেজ এবং ব্যাবস্থাপনা পরিচালকসহ হেড অব এইচ আরকে কল কারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তর থেকে তলব করা হয়েছে। শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ানের কাছে এনআরবিসি ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা মো:মাহফুজুল হকের অভিযোগের ভিত্তিতে আগামী ২৭ জুলাই এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যানসহ তিন শীর্ষ কর্মকর্তাকে তলব করেছে সংস্থাটি। অধিদপ্তরের চিঠিতে বলাহয় বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর ধারা ১২৪ক মোতাবেক বিষয়টি সুষ্ঠু পর্যালোচনা ও নিষ্পত্তির নিমিত্তে আগামী 21/07/2013 খ্রিঃ তারিখ রোজ বৃহস্পতিবার সময়- বেলা ৩:০০ ঘটিকায় আপনি অথবা আপনার মনোনীত কোন যোগ্য ব্যক্তি বা প্রতিনিধিকে দপ্তরে উপস্থিত হয়ে রেকর্ড-রেজিষ্টার সমূহ পরীক্ষা-নিরীক্ষার নিমিত্ত উপস্থাপন করে ও শুনানীতে অংশগ্রহন এবং সমাধানের লক্ষ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য বিশেষভাবে বলা হলো।
বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা, ২০১৫ এর ১১৩ (১০) মোতাবেক আপনার/ আপনাদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক।
নিন্মে মো: মাহফুজুল হকের অভিযোটি হুবহু তুলে ধরা হলো।
যথাবিহিত সম্মানপূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে, আমি নিম্ন স্বাক্ষরকারী উপর্যুক্ত বিষয়ে আপনার সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ ও যথাযথ ন্যায়বিচার কামনা করছি। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ ও এমবিএ সম্পন্ন করার পর দীর্ঘ ১৭ বছর যাবৎ বিভিন্ন বৃহৎ ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানে অত্যন্ত সুনাম ও কর্মদক্ষতার সাথে কাজ করে আসছি। এরই ধারাবাহিকতায় পত্রিকার সার্কুলার এর মাধ্যমে যথাযথ প্রক্রিয়ায় ২০২১ সালের মার্চ মাসে এনআরবিসি ব্যাংকের চাকরিতে মেধা তালিকায় শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত হওয়ার মাধ্যমে যোগদান করি এবং সেখানেও অত্যন্ত সুনাম ও কর্মদক্ষতার সাথে কাজ করে আসছিলাম। সেখানে আমি ইসলামিক ব্যাংকিং বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত হই যা মূলধারার ব্যাংক থেকে সম্পূর্ণ আলাদা ছিল এবং অতি অল্প সময়ে সেই ইসলামিক ব্যাংকিং বিভাগকে আমি অতি দ্রুত সফলতার দিকে নিয়ে যেতে সক্ষম হই। সেখানে যোগদান করার পর থেকেই আমি জানতে পারি যে অত্র ব্যাংকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থা যেমন বাংলাদেশ ব্যাংক ও দুদকের নিয়মিত তদন্ত চলে আসছে এবং বিভিন্ন পত্র পত্রিকার মাধ্যমেও সেগুলো বিভিন্ন সময় প্রকাশ পায়। কিন্তু সেগুলো আমার কোন বিষয় না হওয়াতে আমি সেদিকে কখনো মনোযোগী হয়নি।
এমতাবস্থায়, বিগত ফেব্রূয়ারি মাসের ১৯ তারিখ হঠাৎ করে আমাকে অত্র ব্যাংকের এফএ ডি এর হেড জাফর ইকবাল হাওলাদারের বিভিন্ন দুর্নীতির বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং জিজ্ঞাসাবাদে আমি জানতে পারি যে, ব্যাংকের জাফর ইকবাল হাওলাদার নামে বেনামে একাধিক একাউন্ট খুলে ব্যাংক থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকার উর্ধ্বে দুর্নীতি করেছে এবং আমাকে জিজ্ঞাসাবাদের উদ্দেশ্য ছিল জাফর ইকবাল হাওলাদারের তথাকথিত দুর্নীতির তথ্য কে বা কারা দুদকে ফাঁস করেছে সে সম্পর্কে আমি কিছু জানি কিনা? তো বিষয়টি যেহেতু আমার সঙ্গে সম্পর্কিত নয় তাই আমি তাদেরকে সাফ জানিয়ে দেই যে, এবিষয়ে আমি কিছুই জানিনা।
কিন্তু পরবর্তীতে তারা আমাকে বিভিন্নভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে নাজেহাল করে ফেলে এবং আমার ব্যবহৃত ব্যক্তিগত মোবাইলটি আমার কাছ থেকে জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয় ও মোবাইলের নিরাপত্তা পাসওয়ার্ডটিও আমাকে ব্যাপক শারীরিক নির্যাতনের মাধ্যমে জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়। আমি কোনো কিছু বলতে গেলেই কমান্ডার ফরহাদ আমাকে বলে সব কিছুই চেয়ারম্যান মহোদয়ের নির্দেশেই হচ্ছে। এবং কমান্ডার ফরহাদ আমাকে এটাও বলে যে চেয়ারম্যানের জন্য কোনো আইন নাই, উনি যা করবেন সেটাই হচ্ছে আইন। পরবর্তীতে পরের দিন আমি এমডি মহোদয়ের কাছে প্রতিকার চাওয়াতে আবার আমার উপর নির্যাতনের খড়গ নেমে আসে এবং চেয়ারম্যান মহোদয়ের কাছে বিচার চাইলেও তিনি উল্টো আমাকে তার দুর্নীতির তথ্য ফাঁস করেছি ধারণা করে নানা রকম ভাবে হুমকি দিতে থাকেন।
তারপরও নিজের একমাত্র অটিস্টিক বাচ্চার কথা বিবেচনা করে হয় আমাকে এক মাস চাকরিতে রেখে পর্যবেক্ষণের জন্য বলি অন্যধায় আমাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দানের জন্য বলি। কিন্তু উনারা আমার কোনও কথা শোনেন নাই । উল্লেখ্য আমাকে দুই দিন ধরে আটকিয়ে চরমভাবে নির্যাতনের কারণ সম্পর্কে তাদের আইনগত ভিত্তি জানতে চাইলে তারা নিকটস্থ থানাকে ম্যানেজ করে সবকিছু করছে বলে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য ইয়াসিন আলী আমাকে জানায়। এবং আমি যখন তাদের এসব বিষয়ের বৈধতা সম্পর্কে প্রশ্ন তুলি তখন আমাকে তাচ্ছিল্য ভাষায় গালিগালাজ করে বলা হয় ———— আমাদেরকে আইন শেখাইস?.. ..তোর বড়িও গায়েব করে ফেলবো ইত্যাদি ইত্যাদি।
এ পরিস্থিতিতে ক্রমাগত তাদের বহুবিধ অমানুষিক নির্যাতনের কারণে আমি অসুস্থ হয়ে পড়লে ডাক্তারের পরামর্শে ১৫ দিনের ছুটি চাই এবং পরবর্তীতে তারা ছুটি মনজুর করতে অপারগতা প্রকাশ করলে আমি চাকরি থেকে অব্যাহতি চাই। কিন্তু তারা আমাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি না দিয়ে উপরন্ত আমাকে বলতে থাকে আমাকে নাকি তাদের চাকরি থেকে সাসপেনশন করা হয়েছিল কিন্তু আমি সেই সাসপেনশন এর কাগজপত্র চাইলে তারা কোন জবাবও দেয়নি বা সেই সাসপেনশন এর কোন কাগজপত্র আমাকে দিতে পারেনি।
এই অবস্থায় আমি জীবন-জীবিকা বাঁচাতে এবং তাদের অমানসিক নির্যাতন, হুমকি, ভয়-ভীতি প্রদর্শন এগুলো থেকে বাঁচার জন্য মতিঝিল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে এর প্রতিকার চেয়ে আবেদন করি। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোথা থেকে কোন প্রতিকার আমি পাইনি। যতটুকু শুনেছি সব জায়গা ই তারা ম্যানেজ করে এবং করেছে।
এ প্রেক্ষিতে আমি একাধিকবার তাদের সাথে পত্র যোগাযোগের মাধ্যমে আমার পদত্যাগপত্রগুলো গ্রহণ করে আমাকে যাতে ছাড়পত্র দিয়ে জীবন-জীবিকা বাঁচাতে সাহায্য করে তার জন্য বারংবার বিনীত অনুরোধ জানাই এবং সেসব ব্যর্থ হলে বিগত রোজার ঈদের আগে দুইবার পত্র যোগাযোগের মাধ্যমে আমার বকেয়া বেতন, ভাতা, বোনাস সহ সব কিছু দাবি করি।
তারই প্রেক্ষিতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে একটি নোটিশ জারি করে, সেখানে যেসব ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে তা পূর্বের পত্রে উল্লেখিত সকল অভিযোগ থেকে থেকে আলাদা করে ভিত্তিহীনভাবে মনগড়া কিছু কাল্পনিক কথা সাজিয়ে ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য এ নোটিশটি জারি করা হয়। যা হোক সেই নোটিশটি প্রাপ্তির পর আমি যথা নিয়মে তার জবাবও রেজিস্টার্ড ডাকের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেই কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে, তারা অত্যন্ত সুচারুভাবে আমার চিঠির জবাব পায়নি এই অজুহাতে আমাকে কোন প্রকার কোন বকেয়া পাওনা না দিয়ে চাকরি থেকে অপসারণ করে যেটা দেশের সমস্ত আইন-কানুন বা নিয়ম-কানুনের পরিপন্থী। এতদপ্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক বিআরপিডি সার্কুলার নং ২১, সেপ্টেম্বর ২০২১ এ একটি সার্কুলার দিয়ে সবগুলো তালিকাভুক্ত ব্যাংকে নির্দেশনা জারি করে যে “সুনির্দিষ্ট ও প্রমাণিত অভিযোগ ছাড়া কোনো ব্যাংক কর্মকর্তাকে চাকুরিচ্যুত না করা বা পদত্যাগে বাধ্য করা যাবে না।”
এ ছাড়াও আমি তাদের কারণে পদত্যাগ পত্র জমা দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে চলে যেতে চাইলেও তারা আমি যাতে কোনোদিনও কোনো চাকুরী করতে না পারি সেজন্য যেখানে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার ০৭ দিনের মধ্যে সেটি গ্রহণ করে সুরাহা করার কথা (যেহেতু আমার বিরুদ্ধে কোনো আদালতে মামলা নাই এবং যতদিন স্বপদে ছিলাম ততদিন কোনোপ্রকার বিন্দুমাত্র কোনো সুনাম ছাড়া দুর্নাম ছিলোনা বা কোনো রেকর্ড তারা প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে না) কিন্তু সেটিও তারা না করে কৌশলে আমাকে আটকিয়ে রেখে ৬৫ দিনের মাথায় চাকুরিচ্যুত করে। যা সম্পূর্ণভাবে তাদের মনগড়া ও ভিন্ন মনোবাসনা নিয়ে আমাকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করার জন্য করেছে। এবং আমার বিরুদ্ধে যখন অভিযোগ গঠন করা হয়েছিল তখন যে কথিত অভিযোগগুলু তারা নথিভুক্ত করেছিল পরবর্তীতে সেটার প্রসঙ্গ পাল্টিয়ে আবার হীন উদ্দেশ্যে ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য কিছু মনগড়া কাল্পনিক ও ভিত্তিহীন অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ের অবতারণা করে। যা রীতিমতো হাস্যকর।
এই প্রসঙ্গ পাল্টানোর কারণ হলো আগের অভিযোগগুলর সাথে তাদের চেয়ারম্যান ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সীমাহীন অনিয়ম ও দুর্নীতির তথ্যের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত তাই দীর্ঘ দিন ধরে গবেষণা করে ওই পথ থেকে সরে এসে ভিন্ন পথে হেঁটেছে। যেহেতু আমি আগেই পদত্যাগপত্র দিয়েছি এবং সেখানে সবকিছু উল্লেখ করেছি তাই সেই পদত্যাগপত্রের প্রেক্ষিতে আমাকে একমাসের মধ্যে ছাড়পত্র দেওয়ার কথা, যেহেতু আমার বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি এবং কোনো আদালতে আমি দোষী প্রমাণিত নয়। পদত্যাগপত্র দেওয়ার পর দীর্ঘ ৬৫ দিন পর ভিন্ন, মনগড়া, ভিত্তিহীন ও ইচ্ছাকৃত কুরুচিপূর্ণভাবে তৈরী করা কিছু কারণ দেখিয়ে চাকুরিচ্যুত করা সম্পূর্ণ অবৈধ ও বেআইনি কাজ।
ছাড়পত্র না দিয়ে ৬৫ দিনেরও বেশি সময় লাগিয়ে ভিন্ন অজুহাতে আমাকে অনায্য ভাবে চাকরিচ্যুত করার প্রতিবাদ জানিয়ে পুনরায় আবেদন করি। তাতেও সাড়া না পেলে আইনজীবীর মাধ্যমে ন্যায় বিচার দাবি করি কিন্তু সেটাতেও তারা অনীহা প্রকাশ করে ও সময় ক্ষেপন করছে। এবং আমার উপর যে অন্যায়, অবিচার, নির্যাতন হয়েছে তার পুরো ঘটনা তুলে ধরে বিগত ০২/০৫/২০২৩ তারিখে অত্র ব্যাংকের কর্তৃপক্ষের কাছে বিস্তারিতভাবে সবকিছু তুলে ধরি। এবং জীবন-জীবিকা বাঁচাতে ও নিজের একমাত্র অটিস্টিক বাচ্চার জীবন বাঁচাতে ন্যায় বিচারের মাধ্যমে আমাকে স্বাভাবিকভাবে ছাড়পত্র প্রদান করার জন্য অনুরোধ করি ও তাদের কাছে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দাবি করি। কিন্তু তারা কখনোই আমার কোন অনুরোধে সাড়া দিচ্ছে না বা দেয়নি। উপরন্তু তারা আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করে আসছে।
তাই বাধ্য হয়ে আপনার দরবারে আকুল আবেদন এই যে, আমার প্রতি তাদের এই কৃত অন্যায়, অবিচারের পরিবর্তে সুবিচারের ব্যবস্থা করে দিন যাতে করে আমি, আমার পরিবার-পরিজন ও একমাত্র অটিস্টিক বাচ্চার জীবনকে বাঁচাতে পারি। উদ্ভূত পরিস্থিতির সমাধান করে আমি অত্র প্রতিষ্ঠানের কাছে আপনার মাধ্যমে নিম্নোক্ত দাবি দেওয়া গুলো পেশ করছি ও সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি :
( ১) আমাকে অবিলম্বে শর্তযুক্ত ছাড়পত্র (Conditional Release Order) প্রদান ও হয়রানির জন্য উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা। আমার অটিস্টিক বাচ্চার জীবনমান অবনমনের জন্যও পৃথক ক্ষতিপূরণ প্রদান।
( ২) অন্যায্য ও অবৈধ ডিসমিসাল পত্রটি অবিলম্বে প্রত্যাহার করা।
(৩) তাদের সম্পূর্ণ দেয়-দেনা পরিশোধের জন্য আমি অন্য প্রতিষ্ঠানে চাকুরী জোগাড় করবো কিন্তু তারা সেখানে কোনোরূপ প্রতিবন্ধকতা তৈরী করতে পারবে না।
৪) অন্য প্রতিষ্ঠানে চাকুরী পাওয়ার পর আমি যথা নিয়মে তাদের দেয়-দেনা পরিশোধ করে দিবো, যেভাবে এই প্রতিষ্ঠানে এসে পূর্বের প্রতিষ্ঠানের দেনা-পাওনা পরিশোধ করেছিলাম।
(৫) আমার উপর অন্যায় অবিচারের জন্য আমার পূর্বের প্রেরিত পত্রানুযায়ী অত্র প্রতিষ্ঠানকে গ্রুপিং মুক্ত করা ও এই প্রতিষ্ঠানকে সাধারণ কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য কাজের মসৃন পরিবেশের নিশ্চয়তা নিশ্চিত করা।
( ৬) জাফর ইকবাল হাওলাদারের নেমে বেনামের যেসব হিসাবের মাধ্যমে (যেমন জিজ্ঞাসাবাদের সময় আমি শুনেছি ব্যাংকের ইমামগঞ্জ ব্রাঞ্চের মাধ্যমে কিছু ভুয়া হিসাব খোলা হয়েছে যেমন জুবাইদা আগ্রো, ভোলা অটো রাইস মিল, ইউনাইটেড ফর্টিফিকেশন, ইত্যাদি ইত্যাদি যেগুলো বেনামে জাফর ইকবাল হাওলাদারের ই হিসাব এবং উনিই পরিচালনা করেন বলে জানতে পেরেছি) দুর্নীতির টাকা ব্যাংক থেকে বেরিয়ে যাই সেটার অবিলম্বে তদন্ত করে দায়ী ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তি নিশ্চিত করা। এই হাওলাদারের দুর্নীতির ফিরিস্তি নাকি পি কে হালদেরকেও হার মানিয়েছে বলে আমি শুনেছি।
(৭) অত্র ব্যাংকে বাজারের অন্যান্য ব্যাংকের মতো কাজের সুষ্ঠ পরিবেশ নিশ্চিত করা যাতে আমার মত আর কোন মেধাবী ও কর্মঠ কর্মকর্তাকে হীন চক্রান্তের শিকার হবো জার স্পৈশীশক্তি ধারী গ্রুপ কোন ব্যাংকে নেই কিন্তু এই ব্যাংকে কেন? সেটার কি প্রয়োজনীয়তা সেটা যথাযথ প্রক্রিয়ায় সুষ্ঠ তদন্ত করা।
৮) অস্ত্র ব্যাংক থেকে সকল প্রকার ব্যাক্তিক ও প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি দূর করা এবং যেসব দুর্নীতিবাজরা প্রতিষ্ঠানকে দুর্নীতি করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে তাদেরকে যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো। তা না হলে সাধারণ মানুষের কষ্টার্জিত শেষ সম্বলটুকুও ক্ষতিগ্রস্থ হবে ও দেশের অর্থনীতির ব্যাপক ক্ষতি হবে।
(৯) এদের কে অপসারণ ও শাস্তি দিতে না পারলে আর কোন মেধাবী উচ্চাশিক্ষা সম্পন্ন করে ব্যাংকিং সেক্টরের চাকুরীতে আসতে চাইবে না।
আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের আদর্শ ছিল দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান এবং আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দুর্নীতির প্রতি অবস্থান হচ্ছে জিরো টলারেন্স’ তো তার অনুমোদিত একটি ব্যাংকে কিভাবে দুর্নীতি আর দুর্নীতিবাজদের লালন, পালন করা হচ্ছে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে যারা রুখে দাঁড়াচ্ছে তাদেরকে কেন ভুক্তভুগী হতে হচ্ছে সেটাও একটু গভীর ভাবে ভেবে দেখা উচিত বলে দেশের একজন প্রকৃত দেশ প্রেমিক নাগরিক হিসেবে দায়বদ্ধতা অনুভব করছি। কারণ ব্যাংক কোম্পানি আইনেও বলা আছে প্রতিটি ব্যাংকার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও পরিচালকরা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী এবং প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা কোনোভাবেই কোনো দুর্নীতিতে জড়িত হতে পারবে না ও সর্বদা দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
এমতাবস্থায় যারা দুর্নীতি করছে এবং করে যাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো আমি হয়তোবা তাদের দুর্নীতি দুদকে ফাঁস করেছি বলে মিথ্যা অভিযোগে ভুক্তভুগী করা হচ্ছে?
বিগত ফেব্রুয়ারী মাস থেকে কোনো প্রকার কোনো বেতন, ভাতা, বোনাস ইত্যাদি পাই না আবার কোনোপ্রকার কোনো চাকরিও করতে পারছি না তাদের রোষানলের কারণে। তাই নিজের পরিবার পরিজন, একমাত্র অটিস্টিক বাচ্চা ও অসহায়, বৃদ্ধ, অচর্ন বাবা-মাকে নিয়ে এক চরম নিদারুন জীবন যাপন করছি যা ভাষায় বর্ণনা করা যাবে না। তাই ন্যায় বিচারের শেষ আশ্রয়স্থল ভেবে আপনার দরবারে হাত পেতেছি মা। আমি একটি কর্ম করে আমার মতো আমার পরিবার-পরিজনকে নিয়ে থাকলে উনাদের কি এমন অসুবিধা সেটাই বোধগম্য নয়৷ তাই দয়া করে আপনি সুবিবেচনা করে আমাকে স্বাভাবিকভাবে আমারমত কর্ম করে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিন এবং যাদের জন্য আজ আমি ভুক্তভুগি তাদেরকে আমার পুনর্বাসনের জন্য উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দানের জন্য নির্দেশনা প্রদান করুন।
উপরোক্ত পরিস্থিতির আলোকে হুজুর সমীপে আমার আকুল আবেদন এই যে, আপনি মমতাময়ী মা, দয়া করে জীবন- জীবিকা, মানবতা ও ন্যায়বিচারের স্বার্থে আমাকে আমার প্রাপ্য সবকিছু বুঝিয়ে দিয়ে উপরোক্ত প্রতিষ্ঠান থেকে ছাড়পত্র প্রদানের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা করে দিতে আপনার মর্জি হয়।