যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের উপকূলে ধেয়ে আসছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘মিল্টন’। ঘূর্ণিঝড়টির মাত্রা এরই মধ্যে দুই দফায় কমিয়ে পাঁচ থেকে তিনে নামিয়ে আনা হয়েছে। কিন্তু তারপরও এর আঘাতে বড় রকমের হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি মার্কিন ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টারের (এনএইচইউ) বরাত দিয়ে জানিয়েছে, বর্তমানে ‘অত্যন্ত বিপদজনক’ ক্যাটাগরি-৩ হারিকেন রূপ নিয়েছে মিল্টন। সাম্প্রতিক সময়ে উত্তর আটলান্টিকে তৈরি হওয়া সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড়গুলোর মধ্যে এটি একটি।
মিল্টন ‘শতাব্দীর (অন্যতম ধ্বংসাত্মক) ঝড়’-এ রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলার কাজে দেশে থাকতে তিনি পরিকল্পিত আফ্রিকা ও জার্মান সফর বাতিল করেছেন।
কিন্তু তারপরও এর আঘাতে বড় রকমের হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে চলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
তীব্র ঝড়-বৃষ্টির কারণে আকস্মিক বন্যারও আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জনগণকে দ্রুত নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে বলেছে এবং বিপর্যয়ের মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়টির বাতাস এর মধ্যে ফ্লোরিডা উপকূলে পৌঁছে গেছে। স্থানীয় সময় বুধবার বিকেলে ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় প্রায় ১২৫ মাইল। আশঙ্কা করা হচ্ছে ধ্বংসাত্মক ও প্রাণঘাতী ঝড়বৃষ্টির।
ফ্লোরিডার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দারা তড়িঘড়ি করে জরুরি প্রস্তুতি শেষ করছেন। কেউ ঘর ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে গেছেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি হারিকেন হেলেনের তাণ্ডবে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু এলাকা। ক্ষয়ক্ষতি এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি দক্ষিণ-পূর্ব যুক্তরাষ্ট্রের রাজ্য ফ্লোরিডা। এরই মধ্যে প্রচণ্ড শক্তি সঞ্চয় করে হারিকেন মিল্টন এগিয়ে আসছে রাজ্যটির দিকে।