বকেয়া মজুরির দাবিতে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার একটি চা-বাগানে দিনব্যাপী কর্মবিরতি পালন করেছেন চা-শ্রমিকেরা। আজ শুক্রবার সকাল থেকে উপজেলার হোসনাবাদ চা-বাগানের শ্রমিকেরা কাজে যোগ না দিয়ে কর্মবিরতি পালন করেন। বিকেলে হোসনাবাদ চা-বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সঙ্গে মালিকপক্ষের আলোচনার পর কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেন শ্রমিকেরা।
হোসনাবাদ চা-বাগান পঞ্চায়েত কমিটির উপদেষ্টা ধীরেন তাঁতী বলেন, ২০১৯ সালে চা-শ্রমিকদের মজুরি ১০২ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১২০ টাকা করা হয়। চা-বাগানের নিয়মানুযায়ী চুক্তি শেষ হওয়ার পর নতুন চুক্তি অনুযায়ী মজুরি দিতে হয়। তখন বাগান কর্তৃপক্ষের কাছে শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি (এরিয়া) জমা হয়। মালিকপক্ষ সেই বকেয়া টাকা কয়েকটি ধাপে ভাগ করে শ্রমিকদের দিয়ে থাকে। কিন্তু হোসনাবাদ চা-বাগান কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের সেই টাকার একটি অংশ এখনো পরিশোধ করেনি।
ধীরেন তাঁতী আরও বলেন, ‘মজুরি বাড়ানোর দাবিতে আমরা শ্রমিকেরা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করায় আমাদের কাছে এখন টাকা নেই। সে জন্য আমরা বকেয়া মজুরি পরিশোধের জন্য বাগান কর্তৃপক্ষকে কয়েক দিন ধরে বলে আসছিলাম। কিন্তু বাগানের ম্যানেজার গতকাল বিকেলে স্টাফ দিয়ে মজুরি দেওয়া শুরু করেন। বকেয়া টাকা দেননি। এ নিয়ে শ্রমিকেরা ক্ষোভ প্রকাশ করে আজ কাজে যোগ দেননি।’
পঞ্চায়েত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক খোকন মিয়া বলেন, ‘শ্রমিকেরা অনেক কষ্ট করে চলছেন। আমরা বলেছিলাম, বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক মজুরি দেওয়ার দিন যেন বকেয়া টাকাটা দিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তাঁরা আমাদের সঙ্গে উল্টো খারাপ আচরণ করেছেন। সে জন্য আজ বকেয়া মজুরির জন্য কর্মবিরতি পালন করেছি। বিকেলে মালিকপক্ষ আশ্বাস দিয়েছে, আগামীকাল বকেয়া মজুরি পরিশোধ করবে। এ জন্য আমরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছি। আগামীকাল সবাই কাজে যোগ দেবেন।’
এ বিষয়ে হোসনাবাদ চা-বাগানের ব্যবস্থাপক কমল সরকার বলেন, শ্রমিকদের সঙ্গে তাঁদের কথা হয়েছে। আগামীকাল কাজে যোগ দেবেন তাঁরা। তাঁদের বকেয়া মজুরিও পরিশোধ করা হবে।