বগুড়ার নন্দীগ্রামে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সংঘর্ষে তিনজন আহত হয়েছে। এসময় ৩-৪টি মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণ করে স্থানীয় প্রশাসন। বুধবার দুপুরে নন্দীগ্রাম মাজগ্রাম এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার বিকেল ৩টায় মুনসুর হোসেন ডিগ্রি কলেজ মাঠে সমাবেশ আহ্বান করে নন্দীগ্রাম উপজেলা বিএনপি। অপরদিকে ১০০ গজ দূরে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বঙ্গবন্ধু চত্বরে একই সময়ে উপজেলা ও পৌর শ্রমিক লীগ শোকাবহ আগস্ট উপলক্ষে শোকসভার আয়োজন করে। সমাবেশ ঘিরে বুধবার সকাল থেকেই দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। দুপুরের দিকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে অবস্থান নেয়। দুপুর ২টার পর ছাত্রলীগের একটি মিছিল মাজগ্রাম দিয়ে আসার সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা পেছন থেকে বুড়ইল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু রায়হানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে বলে অভিযোগ প্রতিপক্ষের।
এ খবর পেয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিএনপির নেতাকর্মীদের ধাওয়া দিলে শুরু হয় সংঘর্ষ। এ সময় ৩-৪টি মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। সংঘর্ষে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াছিন আলী ও বুড়ইল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন মন্টু আহত হন। তবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কলেজ মাঠ ও বঙ্গবন্ধু চত্বরে অবস্থান নেয়। এদিকে ছাত্রলীগ নেতা আবু রায়হানের ওপর হামলার প্রতিবাদে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তুহিন আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শুভ আহমেদের সঞ্চালনায় এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, দুই দলের কর্মসূচির কারণে সকাল থেকেই পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। দুপুরের পর উত্তেজনা বাড়ায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।