শনিবার , ২০ আগস্ট ২০২২ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
insidebusinessnews.com
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. খেলাধুলা
  7. গল্প
  8. জাতীয়
  9. ধর্ম
  10. প্রবাস
  11. ফিচার
  12. বাণিজ্য
  13. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  14. বিনোদন
  15. বিভাগীয় সংবাদ

বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফেরানোর অনুরোধ কেউ রাখছে না: আইনমন্ত্রী

প্রতিবেদক
Newsdesk
আগস্ট ২০, ২০২২ ৬:৪৩ অপরাহ্ণ

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারীরা যেসব দেশে লুকিয়ে আছে, তাদের ফিরিয়ে দিতে অনুরোধ জানিয়েও সেসব দেশের সাড়া না পাওয়ার কথা বললেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

তিনি বলেছেন, “পলাতকদের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য চাওয়া হয়নি, বরং আইনের মুখোমুখি এবং আইনের শাসন নিশ্চিত করতে চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনো দেশ সেই অনুরোধ রক্ষা করেনি।”

শোকের মাস উপলক্ষে শনিবার ঢাকায় ধানমণ্ডির বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপকমিটি আয়োজিত স্মরণসভায় তিনি একথা বলেন। অনুষ্ঠানে জার্মানি, রাশিয়া, সৌদি আরব, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রদূত উপস্থিত ছিলেন।

বঙ্গবন্ধুর খুনিদের মধ্যে এবিএমএইচ নূর চৌধুরী কানাডায় এবং রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন বলে নিশ্চিত তথ্য রয়েছে। এছাড়া আব্দুর রশীদ, শরীফুল হক ডালিম ও মোসলেম উদ্দিনের অবস্থানের বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য মেলেনি এখনও।

আনিসুল হক বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবার এবং আত্মীয়স্বজনসহ হত্যাকাণ্ড শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা পৃথিবীর সবচেয়ে জঘন্যতম বর্বর এবং মানবতাবিরোধী জঘন্য অপরাধ।

“…১৯৭৫ সালের অগাস্টে বঙ্গবন্ধুকে খুন করার পর অপরাধীরা বিভিন্ন দেশে পালিয়ে যান। এরপর দীর্ঘ ২১ বছর রক্তের উত্তরাধিকার কেউ ক্ষমতায় না থাকায় বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচারের মুখোমুখি করা সম্ভব হয়নি।”

১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সরকার গঠন করে ইনডেমিনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করলে জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের বিচারের পথ খোলে। আদালতের রায়ে দণ্ডিত ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড ইতোমধ্যে কার্যকর হয়েছে।

আনিসুল হক বলেন, “যেসব দেশে বঙ্গবন্ধু খুনের অভিযুক্তরা পালিয়ে আছেন, সেসব দেশকে আমরা তাদের বিচারের মুখোমুখি করে আইনের শাসন কায়েম করার সুযোগ চেয়ে তাদের ফিরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করি।

“পৃথিবীর এতো বড় মানবতাবিরোধী জঘন্য হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হলো অথচ অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় এনে আইনের শাসন কায়েমে সহযোগিতা করছে না। আমরা এখনও খুনিদের ফিরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।”

রাজধানীর ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে শনিবার আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপকমিটি আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে এম আব্দুল মোমেন বলেন, “আমি আমার সকল বিদেশি বন্ধুদের কাছে আইনের শাসন ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য সহযোগিতা চাই। এবং ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য তারা আমাদের সহযোগিতা করতে পারেন।”

পালিয়ে থাকা খুনিদের ফিরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এখনও বেশ কয়েকজন খুনি বিদেশে পালিয়ে আছেন। আমি আশা করি, সেসব দেশের সরকার এই ন্যায্যতা অনুধাবন করবেন এবং ন্যায় প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করবেন। তাদের ফিরিয়ে দেবেন।”

অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, “বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে আসলে তারা বাংলাদেশকেই হত্যা করতে চেয়েছিল। এই হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশের মানবাধিকারের সবচেয়ে বড় লঙ্ঘন।

“এই হত্যাকাণ্ড আসলে জিয়াউর রহমানের মাধ্যমেই হয়েছে। কারণ জিয়াউর রহমান সেনাপ্রধান হয়ে এই হত্যাকাণ্ডের যাতে বিচার করা না যায়, তার জন্য ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে। এরপর জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট হয়ে ১৯৭৯ সালে সর্বপ্রথম জাতীয় সংসদে সেই অধ্যাদেশ অনুমোদন দেয়।”

আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রশ্ন রাখেন, “জিয়াউর রহমান যদি জাতির পিতার হত্যাকারী না হয়ে থাকেন, তাহলে তিনি সরকার গঠন করে ১৯৭৯ সালে জাতীয় সংসদে গিয়েই খুনিদের দায় মুক্তির জন্য অধ্যাদেশ অনুমোদন কেন দিলেন?”

অনুষ্ঠান শেষে ভারত নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাম্প্রতিক বক্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, “পররাষ্ট্রমন্ত্র্রী আওয়ামী লীগের কেউ নন, তাই তার মন্তব্য আওয়ামী লীগের নয়।

“তবে দলের পক্ষ থেকে আমি স্পষ্ট করে বলতে পারি- এটি আমাদের দলের কোনো কথা না। আমাদের দল সবসময় মনে করে ভারত আমাদের অত্যন্ত ঘ‌নিষ্ঠ ও পরী‌ক্ষিত বন্ধু। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে তাদের অবদান আমরা কোনো অবস্থাতেই ভুলতে পারব না।”

আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রদূত মো. জামিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকও বক্তব্য রাখেন।

সর্বশেষ - অন্যান্য