মালিকপক্ষ দৈনিক মজুরি ১৪ টাকা বাড়িয়ে ১৩৪ টাকার প্রস্তাব দিলেও তা মানেনি চা শ্রমিকরা। নুন্যতম ৩শ টাকা করার দাবিতে অনড় তারা। আর এ লক্ষ্যে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন চা শ্রমিকরা। দাবি আদায়ে মৌলভীবাজার, সিলেট-হবিগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করেছেন তারা।
বিক্ষোভরত শ্রমিকরা বলছেন, চালের দাম যেখানে কেজিপ্রতি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, তার পাশাপাশি তেল, নুন তো আছেই। বেড়েছে বাচ্চাদের স্কুলের বেতনও। আর তাই সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জসহ সারাদেশে একযোগে ডাকা হয়েছে কর্মসূচি। দাবি আদায়ে সড়ক অবরোধ-বিক্ষোভ মিছিলসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছেন শ্রমিকরা। চা শ্রমিকরা জানান, তারা দৈনিক যে মজুরি পান দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে তা দিয়ে কোনোভাবেই সংসার চলে না। তাই কমপক্ষে ৩শ টাকা দৈনিক মজুরি চান তারা। ডালভাত খেয়ে বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে বেঁচে থাকার জন্য ন্যূনতম মজুরি চান শ্রমিকরা। তারা বলছেন, এই সময়ে ১২০ টাকা মজুরি অমানবিক।
শ্রমিকরা জানান, মজুরি বোর্ড থেকে মালিকপক্ষ। সবার সাথে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন তারা। তবে সংকটের সুরাহা হয়নি। সরকারের সাথে চুক্তির ১৯ মাস পর এখন তারা ১৪ টাকা মজুরি বাড়াতে চান। এটা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। দাবি আদায় হওয়ার আগ পর্যন্ত বাগান বন্ধ রাখার এই কর্মসূচি চলবে বলেও জানাচ্ছেন তারা।
এদিকে আন্দোলনের ফলে সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জসহ সারাদেশের চা বাগানগুলোতে স্থরিবতা নেমে এসেছে।