নিজস্ব প্রতিবেদক: এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যানের রক্ষিতা সাবাইয়া সাইমুম মনি দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। ইমিগ্রেশন পুলিশ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী মনি স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের পতন হবার পরপরই নিরবে সবার অগোচরে দেশ ছেড়ে পালায়। ইমিগ্রেশন পুলিশের দেয়া তথ্য মতে মনি পাসপোর্টের মিসেস সাবাইয়া সাউমুম, পিতার নাম এমডি সাইফুল ইসলাম, মাতার নাম মসেস সাহারা বানু। স্থানীয় ঠিকানা বড়ো হযরতপুর, গ্রাম রামনাথের পাড়া, মিঠা পুকুর, রংপুর।
আর ঢাকার ঠিকানায় দেখাযায় মেঘলোনিয়া,ফ্লাট-বি১, বাড়ি ৪১ রোড,০১সেক্টর#৫ পশ্মি উত্তরা।
জরুরী নাম্বারের কোথাও তমাল পারভেজের নাম নেই। সেই দিক থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় যে মনির সাথে তমাল পারভেজের সম্পর্ক সম্পূর্ন অবৈধ। গোয়েন্দা পুলিশ ,দুদক, এবং সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা দপ্তর এখন খোজে রয়েছে মনি তমালের।
নিজেকে মডেল পরিচয় দিলেও সত্যিকার অর্থে সে এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান তমাল পারভেজের রক্ষিতা। দেশের অন্যতম টাকা পাচারকারী পিকে হালদারের বান্ধবিদের মতই তমাল পারভেজ মনির নামে বিভিন্ন এ্যাকাউন্টে শতশত কোটি টাকা রক্ষিত রেখেছে। হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়া এনআরবিসির চেয়ারম্যান তমাল পারভেজের রক্ষিতা সাবাইয়া সাইমুম মনিকে গ্রেফতারের জন্য খোজ নিচ্ছে বিভিন্ন মহলে।
এদিন দুদকের একটি দল রাজধানীর নিকুন্জ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করবে বলেও জানাযায়।
মনি তমাল পারভেজের রক্ষিতা হবার সুবাদে তার যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশে বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ রয়েছে মনির বিরুদ্ধে।
পদ-পদবি ব্যবহার করে তমাল পারভেজ ৫০০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। নিজে একা নন, তার রক্ষিতা মনির মা, স্ত্রী, ভাইসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্য এবং স্বজনদেরও এই দুর্নীতির সহযোগী করেছেন।
তমাল পারভেজ বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত তার আনন্দ বিনোদনের জন্য ছায়া হয়ে সঙ্গী সাবাইয়া সাইমুম মনি। অন্তরঙ্গ মুহূর্ত কাটানোর জন্য পৃথকভাবে বান্ধবীকে নিয়ে তমাল পারভেজের কেবলমাত্র সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ডই ভ্রমণ করেছেন ২৫ বার। দুবাই রয়েছে মনি তমালের সেকেন্ড হোম। সেখানে রয়েছে নিয়মিত যাতায়াত। শেয়ার মার্কেটে মনির নামে বেনামে শতশত কোটি টাকা বিনিয়োগ করে রেখেছে এই তমাল পারভেজ। খুলেছেন নামে বেনামে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। বিনিয়োগ হয়েছে শত কোটি টাকা।
সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ড ছাড়াও দেশদেশে কত আনন্দ ভ্রমণ করেছেন তার হিসাব মেলানোটাই দুষ্কর।কেবলমাত্র আনন্দ বিনোদন দিয়েই দুই বান্ধবী শত কোটি টাকার মালিক। দেশের আর্থিক খাতের হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারকারী তমাল পারভেজের বান্ধবী।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ খবর জানা গেছে বান্ধবীর বেপরোয়া প্রেম-ভালবাসা, অন্তরঙ্গ মুহূর্ত কাটানো, আনন্দ বিনোদন ভ্রমণ কাহিনী। অবৈধভাবে অর্জিত বিপুল অর্থ বিত্ত বৈভবের মালিক তমাল পারভেজ শারীরিক-মানসিকভাবে সুস্থ করে রাখেন রক্ষিতা মনি। সবচেয়ে মজার বিসয় হচ্ছে এই মনির ঘরে তমাল পারভেজের এক অবৈধ সন্তানও রয়েছে।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তামল পারেভজ দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় সাথে নিয়ে গেছে কথিত রক্ষিতা মনিকে। লম্বা, ফর্সা, আকর্ষণীয় চেহারার তরুণী। অর্থ বিত্ত ভোগ বিলাস এখন অন্তবর্তি সরকারের সময় মনিকে নিয়ে দেশ থেকে পালিয়েছে তমাল্ । দেশের আর্থিক খাতের হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারকারী তমালের রক্ষিতা মনি। অর্থ বিত্ত বৈভবের মালিক তমালেকে পেতে মরিয়া মনি। নিজের রূপ, যৌবন দিয়ে কাছে টেনে রাখে।
বান্ধবীকে নিয়ে আনন্দ-বিনোদন ভ্রমণে বের হতেন বিদেশে। দেশের মধ্যেও অন্তরঙ্গ মুহূর্তে কাটাতে বের হয়ে পড়তেন অভিসারে। ঢাকার বিভিন্ন ক্লাবে যেতেন তমাল। কখনও তারকা হোটেলের কক্ষে ভাসতেন সুখের মোহনায়। স্বল্প পোশাকে বিচে বেড়াতে যাওয়া, গোসল করা, বারে ড্যান্স করা ছিল তার শখ। কখনো নিজের নিকুন্জের বাসায়।