আয়কর বিবরণী বা রিটার্ন জমা দিলেই অন্তত দুই হাজার টাকা কর দেওয়ার আলোচিত প্রস্তাব থেকে শেষ পর্যন্ত সরে এসেছে সরকার। এটি বাদ দিয়েই অর্থবিল পাশ করা হয়েছে। এতে করে যাদের আয়কর যোগ্য আয় থাকবে না তাদের রিটার্ন জমা দিলে আর কর দিতে হবে না।
রোববার এই প্রস্তাব প্রত্যাহারসহ আরও কিছু সংশোধনীসহ জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে অর্থবিল ২০২৩-২৪ পাস করা হয়।
বাজেটের ওপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও অর্থমন্ত্রী কামালের সমাপনী বক্তব্যের পর অর্থবিল-২০২৩ সংসদে পাসের জন্য উত্থাপন করা হয়। পরে তা কণ্ঠভোটে পাস করা হয়।
নতুন অর্থবছরের বাজেটে ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা বর্তমানের থেকে ৫০ হাজার টাকা বাড়িয়ে সাড়ে তিন লাখ টাকা করা হয়েছে। অর্থাৎ বছরে সাড়ে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ে কর দিতে হবে না। এ রেয়াতের পর কারও আয় করযোগ্য হলে তাকে নিয়ম অনুযায়ী ন্যূনতম তিন হাজার টাকা আয়কর দিয়ে হয়। আয়কর দাতা ঢাকা ও সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা হলে তাকে দিতে হয় পাঁচ হাজার টাকা।
আর নিয়ম অনুযায়ী কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) থাকলেই রিটার্ন দাখিল করা বাধ্যতামূলক। তবে রিটার্ন দিলেও আয়করযোগ্য আয় না থাকলে কর দিতে হয় না। রাজস্ব বাড়াতে অর্থমন্ত্রীর অনন্ত ২০০০ টাকা কর প্রস্তাবের পর এ নিয়ে সাধারণের মধ্যে সমালোচনার ঝড় ওঠে তেমনি অর্থনীতিবিদ, গবেষক ও বিশ্লেষকসহ ব্যবসায়ী নেতাসহ প্রায় সব পেশার মানুষ এমন কর বাধ্যতামূলক করার প্রতিবাদ করেন।
অর্থবিল পাসের সমাপনী বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী জানান, এবারের বাজেটে প্রতিটি খাতে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণকে প্রাধান্য দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের এবারের বাজেটের মূল দর্শন- ২০৪১ সালের মাঝে আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্রেইনচাইল্ড সুখী-সমৃদ্ধ উন্নত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণ।