যশোরের শার্শার জামতলা এলাকায় থেকে সাড়ে ৯ কেজি ওজনের ৩০টি সোনার বারসহ দুই পাচারকারীকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ।
শুক্রবার ভোররাতে সোনা আটক করতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আরও এক পাচারকারী নিহত হয়েছেন।
সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ৩ পুলিশ সদস্য। আহতদের মধ্যে যশোর ডিবি পুলিশের দুজন ও শার্শা থানা পুলিশের একজন সদস্য রয়েছেন।
আটক পাচারকারীরা হলেন- আবুল সরকারের ছেলে রবিন সরকার (৩২) ও কবির হোসেনের ছেলে আবুল কাশেম (৩৪)। দুজনের বাড়ি কুমিল্লার হোমনা এলাকায় ও দাউদকান্দিদি উপজেলার সাজাদিয়া এলাকায়।
ডিবি পুলিশ জানায়, সোনা উদ্ধারের সময় পুলিশ ও পাচারকারীদের মধ্যে সংঘর্ষে অজ্ঞাত এক পাচারকারী নিহত হন। তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।
যশোরের শার্শার পুলিশের নাভারন সার্কেলের এএসপি জুয়েল ইমরান জানান, কায়বা সীমান্ত দিয়ে বিপুল স্বর্ণ পাচার হয়ে ভারতে যাচ্ছে এমন খবরে ডিবি পুলিশ ও শার্শা থানা পুলিশ সদস্যরা অবস্থান নেয় নাভারন সাতক্ষীরা সড়কের জামতলা এলাকায়। প্রাইভেটকারযোগে স্বর্ণের একটি বিশাল চালান পাচারের সময় পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে রবিন সরকারের শরীরে ফিটিং অবস্থায় ও প্রাইভেটকারের ইঞ্জিনের ভেতর থেকে বিশেষ কৌশলে লুকিয়ে রাখা অবস্থায় ৯ কেজি ৭৫৯ গ্রাম ওজনের ৩০ পিস সোনার বারসহ রবিন সরকার ও আবুল কাশেমকে আটক করে।
আটক স্বর্ণের মূল্য সাড়ে় ৭ কোটি টাকা বলে এএসপি জানান। সকালে স্বর্ণসহ পাচারকারীদের শার্শা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।