রবিবার , ১২ নভেম্বর ২০২৩ | ৩রা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
insidebusinessnews.com
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. খেলাধুলা
  7. গল্প
  8. জাতীয়
  9. ধর্ম
  10. প্রবাস
  11. ফিচার
  12. বাণিজ্য
  13. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  14. বিনোদন
  15. বিভাগীয় সংবাদ

১৩০ কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ: বিজিএমইএ

প্রতিবেদক
Newsdesk
নভেম্বর ১২, ২০২৩ ১১:৪৪ অপরাহ্ণ

১৩০টি পোশাক কারখানার কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান। তিনি বলেন, পোশাক কারাখানায় কর্মচারী ও শ্রমিকদের নিরাপত্তা এবং কারখানার সম্পত্তি রক্ষার স্বার্থে এসব কারখানার সব কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হয়।

রোববার উত্তরায় বিজিএমইএ অফিসে ‘পোশাক শিল্পে ন্যূনতম মজুরি ও বর্তমান শ্রম পরিস্থিতি’ বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, মজুরি বৃদ্ধির পরও আন্দোলনের নামে বিভিন্ন জায়গায় কারখানা ভাঙচুর করা হচ্ছে। মজুরি ঘোষণার পর থেকে বেশ কিছু কারখানায় অজ্ঞাতনামা কিছু উচ্ছৃঙ্খল শ্রমিক অযৌক্তিক দাবিতে বেআইনিভাবে কর্মবিরতি পালন করে কর্মকর্তাদের মারধর করেছে। কারখানার ভেতরে ব্যাপক ভাঙচুর ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। এমন পরিস্থিতে আশুলিয়া, কাশিমপুর, মিরপুর ও কোনাবাড়ি এলাকার প্রায় ১৩০টি পোশাক কারখানার ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। এসব কারখানার মালিকরা মূলত কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকদের নিরাপত্তা এবং কারখানার সম্পত্তি রক্ষার স্বার্থে কারখানা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যেসব কারখানা শ্রমিকরা কাজ করতে আগ্রহী, সেগুলোতে কাজ চলছে। তাদের কাজ চলমান থাকবে।

তিনি আরও বলেন, যতদিন না পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত মালিকেরা ১৩ এর (১) ধারা অনুযায়ী কাজ নাই মজুরি নাই ভিত্তিতে কারখানা বন্ধ রাখতে পারবেন। বর্তমানে কারখানায় কাজ কম তাই নতুন নিয়োগ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে, পরিস্থিতি অনুকূলে আসলে আবার নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা করা হবে। সরকারের প্রতি অনুরোধ থাকবে যারা এই শিল্প নিয়ে চক্রান্ত করছে তাদের প্রতি ব্যবস্থা নিন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, করোনা মহামারির কারণে দেশের মধ্যে ২০২০-২১ সালে বন্ধ হওয়া কারখানার সংখ্যা ৩১৭টি। আর করোনা পরবর্তী সময়ে অন্যান্য কারণে আরও ২৬০টি কারখানা বন্ধ হয়। এ পর্যন্ত প্রায় ৬৮৮৫টি পোশাক কারখানা বিজিএমইএ এর সদস্যপদ গ্রহণ করলেও কালের পরিক্রমায় ৩৯৬৪টি সদস্য কারখানা বিভিন্ন কারণে বন্ধ হয়ে গেছে।

ফারুক হাসান বলেন, শিল্পের অভ্যন্তরের গভীরতম সংকটের বিষয়টি গণমাধ্যমে সেভাবে প্রকাশিত উঠে আসছে না। কতখানি সংকটের মধ্যে থেকে, কতখানি অনিশ্চয়তা সঙ্গে নিয়ে কারখানাগুলো চলছে, তা বন্ধ হওয়ার কারখানার পরিসংখ্যানই বলে দেয়। কোনো উদ্যোক্তাই চান না, তার অক্লান্ত কষ্টে তিলে তিলে গড়া উঠা শিল্প কারখানা বন্ধ হয়ে যাক। কিন্তু বাহ্যিক নিয়ন্ত্রণ-বহির্ভূত কিছু বিষয় আছে যার প্রভাব থেকে শিল্প চাইলেও বের হতে পারে না, শিল্পকে তা গ্রহণ করতেই হয়। এটাই এ শিল্পের কঠিন বাস্তবতা।

তিনি আরও বলেন, অত্যন্ত দুঃখজনক যে আমরা যখন ‘বৈশ্বিক ও আর্থিক’ এ দ্বিমুখী চাপের মধ্যে থেকেই টিকে থাকার সংগ্রামে লিপ্ত রয়েছি, ঠিক তখন শিল্পকে নিয়ে শুরু হয়েছে নানা অপতৎপরতা। বিশেষ করে আমাদের শান্ত শ্রমিক গোষ্ঠীকে উসকানি দিয়ে অশান্ত করা হচ্ছে। মজুরি বৃদ্ধির পরও আন্দোলনের নামে বিভিন্ন জায়গায় কারখানা ভাঙচুর করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত কারখানাগুলো এ ব্যাপারে আমাদের ভিডিও ফুটেজ দিয়েছে, মামলার কপিও আমাদের দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সদস্যপদ নবায়ন করা ২ হাজার ৩৩৯টি কারখানার মধ্যে ১ হাজার ৬০০ কারখানা বাদে বাকি কারখানাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কারখানা বিভিন্ন ব্যাংক দেনা ও দায়ের কারণে সরাসরি ব্যাক-টু-ব্যাক খুলতে পারছে না। ফলে তারা ক্রেতাদের কাছ থেকে সরাসরি অর্ডার নিতে পারছে না। এই সদস্য কারখানাগুলো মূলত সাব-কন্ট্রাক্টের মাধ্যমে তাদের ব্যবসা টিকিয়ে রেখেছে। অবশিষ্ট কারখানাগুলো ব্যাংক দেনা ও আর্থিক সংকটের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে। তবে তারা আগামীতে দেনা পরিশোধ করে ব্যবসায় ফিরে আসতে ইচ্ছুক।

সর্বশেষ - অন্যান্য