টিভি নাটকের নন্দিত অভিনেত্রী শিরিন আলম। বহু নাটকে মায়ের চরিত্রে অভিনয় করে তিনি দর্শক মনে জায়গা করে নিয়েছেন। আঞ্জুমান আরা বেগম থেকে হয়ে উঠলেন শিরিন আলম। এখন মিডিয়ায় শিরিন আলম নামেই নন্দিত এই অভিনেত্রী।
তিনি সময়ের সঙ্গে দারুণভাবে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারেন। টিভি খুললেই যেন,দেখা মেলে তার। তাইতো তার সময়ের প্রায় সব অভিনেত্রী অবসরে চলে গেলেও তিনি এখনো সমান ব্যস্ত। ৯ আগষ্ট তার জন্মদিন দৈনিক জনতার আদালত এর পক্ষ থেকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন ।
জন্মদিন উপলক্ষ্য এক সাক্ষাৎকারে শিরিন আলম বলেন, টানা ২১ বছর নাটকে অভিনয় করেছি। সঠিক হিসাব দিতে পারব না, তবে দুই হাজার পেরিয়ে গেছে। চলচ্চিত্র খুব বেশি করা হয়নি। এখন পর্যন্ত ১৫টি চলচ্চিত্রে কাজ করেছি।
শিরিন আলম অভিনীত উল্লেখযোগ্য নাটকের নাম- সালাউদ্দিন লাভলুর অনেকগুলো নাটক করেছেন। এর মধ্যে হাড়কিপ্টা, গরুচোর, ঘরকুটুম, শিলবাড়ি উল্লেখযোগ্য, মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর পারাপার, কবুতর, তালপাতার সেপাই, নিখোঁজ সংবাদ, জাহিদ হাসানের লাল নীল বেগুনি।
শিরিন ব্যক্তিগত জীবনে তিন সন্তানের জননী। বড় ছেলে শাহরিয়ার আলম একজন ক্যামেরা পারসন। মেজো ছেলে শাহনেওয়াজ আলম সৌদি আরবে পাঁচ বছর শেফের কাজ করেছেন। দেশে ফিরে একই কাজে মনোযোগ দিয়েছেন। ছোট ছেলে সাকিন আলম প্রান্ত পড়াশোনা করছে।
বর্তমান কাজের অবস্থা জানতে চাইলে তিনি বলেন হাতে অনেক কাজ রয়েছে তাই ব্যস্ত সময় পার করছি ,
অভিনয় সম্পর্কে জানতে চাইলে শিরিন আলম বলেন অভিনয়ের মাধ্যমে বাস্তব জীবনের গল্প তুলে ধরার চেষ্টা করি,নির্মাতাদের সঙ্গেও কাজ করে বেশ ভালো লাগে ,
তিনি বলেন রীতিমত চমকে দেওয়ার মত ঘটনা ঘটেছে গত কাল ডাবিং রুমে, গিয়েছি জল জোছনায় ” ছবির ডাবিং দিতে , দেখি আমাদের ডিরেক্টর মেহেদী হাসান কেক নিয়ে এসেছে, সেখানে বড় দা মিঠু ছিলেন, ফরিদ ভাই ছিলেন, আরও অনেকেই ছিলেন, আমাদের রহিম বাবু ভাই ছিলেন, আমার জন্মদিন উপলক্ষে শুভেচ্ছা দিল সবাই, খুব ভাল লাগছিল তখন, আমি তো চিন্তাই করিনি মেহেদী এই প্ল্যান করে রেখেছে, ধন্যবাদ মেহেদী হাসান,
শিরিন আলম কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন আমার জন্মদিনে যারা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন আমাকে মনে রেখেছেন আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞ , আপনারা আমি এবং আমার পরিবারের দোয়া করবেন।