প্রতিপক্ষের’ হামলায় গুরুতর জখম হয়েছেন বরগুনার আমতলী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন খান।
মঙ্গলবার রাত পৌনে ৯টার দিকে আমতলী পৌর শহরের আল হেলাল মোড়ে মোয়াজ্জেমকে কোপানো হয় বলে আমতলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রনজিৎ কুমার সরকার জানান।
তিনি আরও জানান, মোয়াজ্জেমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এদিকে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে রাতে আমতলী চৌরাস্তায় সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও শ্রমিক লীগ নেতাকর্মীরা।
এ সময় আমতলী চৌরাস্তায় শতাধিক গাড়ি আটকে যানজটের সৃষ্টি হয়। পুলিশের আশ্বাসে আধা ঘণ্টা পর অবরোধকারীরা সড়ক থেকে সরে যায়।
বরিশাল যাওয়ার পথে মোয়াজ্জেম সাংবাদিকদের বলেন, তিনি রাতে আল হেলাল মোড়ে যান। তখন উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সবুজ মালাকার, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইফতেখার আহম্মেদ তোহা, সদস্য শাহাবুদ্দিন সিহাব, রুহুল আমিন, সুমন প্যাদা, রাকিব প্যাদাসহ ১২ থেকে ১৫ জন ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাকে রাস্তায় ফেলে রেখে যায়।
তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেন।
এ ঘটনার পর পৌর শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে দেয়। লোকজন অচেতন অবস্থায় মোয়াজ্জেমকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে বরিশালে স্থানান্তর করা হয়।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা সুমন খন্দকার বলেন, “মোয়াজ্জেমের বাম পা, মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম রয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।”
আমতলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রনজিৎ কুমার আরও বলেন, এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।