কুয়াকাটায় অনির্দিষ্টকালের জন্য খাবার হোটেল বন্ধ।
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় ঘন ঘন ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালানোর কারণে হোটেল-রেস্তোরাঁয় অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট চলছে। আজ বুধবার সকাল থেকে এ কর্মসূচি শুরু হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন কুয়াকাটায় আগত পর্যটকরা।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টায় কুয়াকাটা খাবার হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি সেলিম মুন্সি অনির্দিষ্টকালের জন্য খাবার হোটেল বন্ধের এ ঘোষণা দেন।
কুয়াকাটা খাবার হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কলিমুল্লাহ বলেন, ‘আমরা কুয়াকাটায় আসা পর্যটকদের সেবা দেওয়ার মানসিকতা নিয়ে ব্যবসা করছি। করোনা মহামারির সময় কুয়াকাটায় যখন পর্যটক কম ছিল, তখনো কিন্তু আমরা হোটেল খোলা রেখেছি। তখন আমাদের লোকসান হয়েছে। এখন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর কুয়াকাটায় পর্যটক আসতে শুরু করেছে। আমরাও ব্যবসায় আলোর মুখ দেখছি। কিন্তু এখন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার নামে আমাদের প্রতিনিয়ত হয়রানি করছে প্রশাসন। তাই অনেকটা বাধ্য হয়ে আমরা হোটেল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
সংগঠনের সহসভাপতি আলমগীর হোসেন বলেন, ‘প্রতিদিন নির্বাহী মাজিস্ট্রেট কর্তৃক খাবার হোটেলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে। কিন্তু একই হোটেলে একাধিকবার জরিমানা করা হয়। মোবাইল কোর্টের নামে আমাদের হয়রানি করা হচ্ছে। তাই সব হোটেল মালিক একত্রিত হয়ে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি।’
এদিকে, হোটেল বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন পর্যটকরা। খুলনা থেকে আসা পর্যটক রাকিব মিয়া বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতে কুয়াকাটায় এসেছি। সকালে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করতে গিয়ে দেখি সব খাবার হোটেল বন্ধ। অনেক হাটাহাটি করেও কোনো হোটেল খোলা পাইনি। পরে মোটরসাইকেলে করে ৬০ টাকা ভাড়া দিয়ে আলীপুর গিয়ে নাস্তা খেয়েছি।’
রংপুর থেকে আসা আমিনুল ইসলাম নামের আরেক পর্যটক বলেন, ‘পরিবারের সবাইকে নিয়ে কুয়াকাটায় এসেছি। খবার হোটেল বন্ধ থাকায় বেশ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভ্যানে করে মহিপুর গিয়ে সকালের নাস্তা করেছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক জানান, কুয়াকাটায় পর্যটকরা এসে যাতে কোনোভাবে প্রতারিত না হন, সে কারণেই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। আমাদের পক্ষ থেকে তাদের হোটেল খোলার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। তারপর তাদের যদি কোনো কথা থাকে, সেটা জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানের কথা জানিয়েছি।