দেশের বাজারে ডিমের দাম ইতিহাসে ‘সর্বোচ্চ’ পর্যায়ে উঠেছে। একই সঙ্গে চড়া মুরগি ও গরুর মাংসের দাম। দুধের দামও বাড়তি। এ কারণে সীমিত আয়ের মানুষের নাগালছাড়া হয়ে যাচ্ছে প্রাণিজ আমিষ।
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে, গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার বাজারে ফার্মের মুরগির এক হালি বাদামি ডিমের দাম ছিল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। এক মাস আগের তুলনায় এই দর ২৮ শতাংশ বেশি। এক বছর আগের তুলনায় তা ৫৪ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে দেশি হাঁস ও মুরগির ডিমের দর উঠেছে প্রতি হালি ৬৫ থেকে ৭০ টাকায়।
ঢাকায় যখন ডিমের দাম এমন চড়া, তখন দক্ষিণ এশিয়ার কয়েকটি শহরে এই প্রাণিজ আমিষের বাজার পরিস্থিতি কী, তা দেখে নেওয়া যাক।
ভারতের কলকাতা থেকে প্রথম আলোর সংবাদদাতা অমর সাহা জানান, সেখানে ডিমের হালি বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৫ টাকার আশপাশে (১ রুপি সমান ১ টাকা ২০ পয়সা ধরে)। বেড়ে যাওয়ার পর এই দাম দাঁড়িয়েছে। সপ্তাহ দুয়েক আগে কলকাতায় ডিমের হালি ২১ টাকার মতো ছিল। অর্থাৎ, বর্তমানে কলকাতার তুলনায় ঢাকায় দ্বিগুণ বা তার বেশি দামে ডিম বিক্রি হচ্ছে।
পাকিস্তানের ওয়েবসাইট উর্দু পয়েন্টে গতকাল দেশটির রাওয়ালপিন্ডি শহরে ফার্মের মুরগির প্রতি ডজন (১২টি) ডিমের দাম ২০৮ পাকিস্তানি রুপি উল্লেখ করা হয়েছে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯৪ টাকার মতো। এই হিসাব অনুযায়ী, প্রতি হালি ডিমের দাম দাঁড়ায় প্রায় ৩১ টাকা। দেশটির বিভিন্ন শহরে জুলাই মাসে প্রতি ডজন ডিমের দাম ছিল ১৮২ থেকে ২০৬ পাকিস্তানি রুপি, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৮২ থেকে ৯২ টাকা।