বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের ফেরত দিতে আশ্রয়দাতা রাষ্ট্রগুলোকে অনুরোধ জানিয়ে আসছে সরকার। যে কোনো মূল্যে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায় কার্যকর করা হবে বলে জানান সরকারের দুই মন্ত্রী।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নৃশংস হত্যাযজ্ঞের স্মৃতি আর বর্বরোচিত এ হত্যাকাণ্ডের আইনি সংগ্রাম উঠে আসে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপকমিটির শোক দিবসের আলোচনায়।
শনিবার (২০ আগস্ট) রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে আলোচনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা।
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, জিয়াউর রহমান শুধু বঙ্গবন্ধুর হত্যার ষড়যন্ত্রেই জড়িত ছিলেন না, এক হাজারের বেশি সেনা কর্মকর্তাকে হত্যার দায়ও তার। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বড় ঘটনা। ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে জিয়াউর রহমান আইনি বৈধতা দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার বিচার বন্ধ করে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে মারাত্মক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটিয়েছে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন জানান, বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের ফেরত এনে তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে।
আনিসুল হক বলেন, যেসব দেশে বঙ্গবন্ধুর খুনিরা পালিয়ে রয়েছে তাদের অনুরোধ করি, তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হোক। প্রতিশোধ নয়, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য আমরা এটা চাই। আমরা সারা বিশ্বকে জানিয়ে দিতে চাই বাংলাদেশ কোনো হত্যাকারীকে প্রশ্রয় দেয় না।
এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর কিছু খুনি এখনও বিদেশে পালিয়ে রয়েছে। আশা করব, যেসব দেশে পালিয়ে রয়েছে, সেই দেশের সরকার আইনের শাসনের বিষয়টি উপলব্ধি করে ওই খুনিদের ফিরিয়ে দেবেন।
ভারত ইস্যুতে সাম্প্রতিক বক্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে গেলে উপস্থিত সংবাদমাধ্যমকর্মীদের এড়িয়ে যান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আবদুল মোমেন। পরামর্শ দেন নির্ধারিত সংবাদ সংগ্রহের।