১২০ টাকা থেকে দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকা করার দাবিতে এবার হবিগঞ্জের মাধবপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেছেন চা শ্রমিকরা।
রোববার সকাল ১১ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত মাধবপুর ও চুনারুঘাট উপজেলার সুরমা, তেলিয়াপাড়া, নয়াপাড়া, জগদীশপুর, বৈকুন্ঠপুর, চন্ডিছড়া, চানপুর, চাকলা পুঞ্জ, সাতছড়ী সহ মোট ৩৬ টি চা বাগানের শ্রমিকরা মাধবপুর উপজেলার মুক্তিযুদ্ধ চত্বরে মহাসড়ক অবরোধ করেন।
এসময় মহাসড়কে হাজার হাজার শ্রমিক অবস্থান নিয়ে তাদের দাবীর পক্ষে শ্লোগান দিতে থাকে। যার ফলে মহাসড়কের তিন পাশে শত শত যানবাহন আটকা পরে। সৃষ্টি হয় প্রায় দশ কিলোমিটার দীর্ঘ তীব্র যানজটের।
খবর পেয়ে উপজেলা নিবার্হী অফিসার শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন, সহকারী পুলিশ সুপার মহসিন আল মুরাদ, মাধবপুর থানার ওসি মো: আব্দুর রাজ্জাক, ওসি তদন্ত গোলাম কিবরিয়া, মাধবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি আতিকুর রহমান আতিক সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে শ্রমিকদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু সাধারণ শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ প্রত্যাহারে রাজি হননি। অবশেষে বিকেল ৩ টায় হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান এর আশ্বাস পেয়ে দুই দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয় চা শ্রমিকরা।
মাধবপুর ও চুনারুঘাট উপজেলার ২৩ টি চা বাগান নিয়ে গঠিত লস্করপুর ভ্যালি`র সভাপতি রবিন্দ্র গৌড় জানান, আমরা গত বুধবার ঢাকায় শ্রম মন্ত্রণালয়ে মালিকপক্ষ ও সরকারপক্ষের সাথে তৃপক্ষীয় বৈঠক করি। সেখানে আমাদের দাবি মানা হয়নি। পরবর্তীতে গতকাল শনিবার শ্রীমঙ্গলে আমাদের শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি নৃপেন পালকে চাপ দিয়ে মজুরি ১৪৫ টাকা করার এগ্রিমেন্টে সই করানোর চেষ্টা করা হয়।
চা শ্রমিকরা চায় তিনশো টাকা মজুরি, তারা ১ শ ৪৫ টাকা মজুরি প্রত্যাক্ষান করে আজ মহাসড়ক অবরোধ করছে। সরকারের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক মহোদয় আমাদের দাবি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেয়ার আশ্বাস দেওয়ায় আমরা দুই দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে অবরোধ প্রত্যাহার করেছি।
আগামী ২৩ আগস্টের মধ্যে আমাদের দাবি না মানলে ২৪শে আগষ্ট থেকে দাবি আদায়ের আগ পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি চলবে। দাবি আদায় না হলে রাজপথ ছাড়বো না।
উল্লেখ্য মজুরি ৩০০ টাকা করার দাবিতে আজ দশম দিনের মতো পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি করে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে চা শ্রমিকরা।