সোমবার , ২২ আগস্ট ২০২২ | ৩১শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
insidebusinessnews.com
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. খেলাধুলা
  7. গল্প
  8. জাতীয়
  9. ধর্ম
  10. প্রবাস
  11. ফিচার
  12. বাণিজ্য
  13. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  14. বিনোদন
  15. বিভাগীয় সংবাদ

অন্যের বাড়িতে নির্ঘুম রাত কাটে জোসনাদের

প্রতিবেদক
Newsdesk
আগস্ট ২২, ২০২২ ১২:১০ অপরাহ্ণ

‘মাইনষের বাড়ি কাম কইরা দিন চলে। স্বামী দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। কাজকামে যাইবার পায় না। কাম কইরা বাসাবাড়িত থাইকা ভাত নিয়ে আইয়া দুইজনে খাই। রাইতে মাইনষের বাড়িতে থাহি। ঘুম আসে না। বাড়িভিটার দুশ্চিন্তায় রাইত জাইগা থাহি।’

আক্ষেপ ও দুশ্চিন্তা নিয়ে গত শনিবার দুপুরে কথাগুলো বলছিলেন সম্প্রতি শেরপুরের নালিতাবাড়ী পৌর শহরে বসতভিটা হারানো ক্ষতিগ্রস্ত গৃহপরিচারিকা জোসনা বেগম (৪৫)। এ আক্ষেপ শুধু জোসনার একার নয়, তাঁর পাশে থাকা চাতালশ্রমিক খোদেজা বেগমেরও (৫৫)।

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উত্তর গড়কান্দা এলাকায় ভোগাই নদের পাড়ে ৫ শতক জমিতে দুই পরিবারের বসতভিটা ছিল। দিনমজুর ফজল তাঁর স্ত্রী খোদেজাকে নিয়ে এবং দিনমজুর ইউসুফ আলী তাঁর স্ত্রী জোসনাকে নিয়ে পাশাপাশি ঘরে বসবাস করতেন। তাঁদের সন্তানেরা সবাই বিয়ে করে অন্যত্র চলে গেছেন। তাঁদের এই ভিটামাটি ছাড়া কোনো জমি নেই।

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের অভিযোগ, নদের বাঁধ নির্মাণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে ১২ আগস্ট হঠাৎ বসতভিটা নিয়ে বাড়িঘর ও গাছপালা নদীতে ভেঙে পড়ে। বসতভিটা হারিয়ে পরিবার দুটি থাকার জায়গা না থাকায় সীমাহীন দুশ্চিন্তায় পড়েছে। আট দিন ধরে প্রতিবেশী ও স্বজনদের সহযোগিতায় থাকা–খাওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে। তারা ভূমিহীন হিসেবে সরকারের কাছে জমিসহ ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার দাবি করেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত বছর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ভোগাই নদের উত্তর গড়কান্দা এলাকায় ১১০ মিটার বাঁধ ভেঙে যায়। পাউবোর মাধ্যমে ৩৮ লাখ টাকা ব্যয়ের বাঁধটি সংস্কারের দায়িত্ব পায় রিফাত এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। গত ৩০ জুনের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কাজের ধীরগতিতে বাঁধ সংস্কার না হওয়ায় দুটি পরিবারের বসতভিটা নদীতে ভেঙে পড়েছে। এখানে আরও ১০-১২টি পরিবার ভাঙনের শিকার হওয়ার দুশ্চিন্তায় রয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত ইউসুফ আলী বলেন, ‘ভাঙন অংশে যদি জিও ব্যাগ ফালানো অইত, তাইলে আমগর বাড়িঘর এভাবে ভাঙতো না। অহন আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে রাইত কাটাইতে অইতাছে। সরকার যদি সহযোগিতা করত, তাইলে আমগর বিরাট উপকার অইত।’

ক্ষতিগ্রস্ত খোদেজা বেগম বলেন, ‘চাতালে কাম কইরা দিনে ২০০ টেহা পাই। স্বামী অসুস্থ থাহায় নিয়মিত কামে যাইবার পায় না। কত কষ্ট কইরা দিন চালাই। অহন শেষ সম্বল বাড়িভিডাটাও গাঙে ভাইঙা গেছে। আমরা কই যাইমু। আত্মীয়স্বজন ভাত দিলে খাওন চলে। রান্দুনের কোনো উপায় নাই। মাইনষের বাড়িতে রাইত কাডাই। ঘরে চিন্তায় ঘুম ধরে না।’

রিফাত এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘ ইতিমধ্যে পাইলিং করা হয়েছে। জিও ব্যাগও প্রস্তুত করা হয়েছে। এখন শুধু অনুমোদনের অপেক্ষায় আছি।’

ইউএনও হেলেনা পারভীন বলেন, ‘বিষয়টি কেউ জানাননি। সরেজমিন বিষয়টি দেখে তাঁদের সমস্যা সমাধানে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদি ঘর দেওয়ার মতো জায়গা থাকে, সরকারিভাবে ঘর দেওয়া হবে।’

সর্বশেষ - অন্যান্য

আপনার জন্য নির্বাচিত

বিএনপি ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করে ক্ষমতায় আসতে আসতে চায়

সাউথ আফ্রিকায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশির মৃত্যু

খাগড়াছড়ির ডিসি প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাসকে নিয়ে মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদে মানববন্ধন:

নিত্যপণ্যের দাম সহনশীল হওয়া জরুরি: প্রধানমন্ত্রী

লকডাউনেও খোলা থাকবে শিল্প কারখানা

বাঙালির “পান বিলাস” হাজার বছরের ইতিহাস ঐতিহ্য সংস্কৃতি কৃষ্টির এক বিশাল জায়গা ।। অধ্যাপিকা অপু উকিল

রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় অটোরিকশা চালকদের সড়ক অবরোধ

অপরাজিতা সম্মাননা পেলেন বাংলাদেশের প্রথম নারী ফিফা রেফারি জয়া চাকমা

“ল্যাব এইড” একটি কসাইখানা

শীতলক্ষ্যায় লঞ্চডুবির ঘটনায় মৃত সংখ্যা বেড়ে ২৭