সোমবার , ২২ আগস্ট ২০২২ | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
insidebusinessnews.com
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. খেলাধুলা
  7. গল্প
  8. জাতীয়
  9. ধর্ম
  10. প্রবাস
  11. ফিচার
  12. বাণিজ্য
  13. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  14. বিনোদন
  15. বিভাগীয় সংবাদ

বাড়ি ফিরেছেন বানভাসিরা, এলোমেলো মাথাগোঁজার ঠাঁই

প্রতিবেদক
Newsdesk
আগস্ট ২২, ২০২২ ১২:২৩ অপরাহ্ণ

ঘরের চালা নেই। বেড়া নেই। ভিটের মাটিও নেই। বানের তোড়ে সবকিছুই এলোমেলো। বন্যায় সবকিছু হারিয়ে এখন অনেকটাই নিঃস্ব। হাকালুকি হাওর তীরের ৩টি উপজেলায় এবারকার বন্যা ও জলাবদ্ধতায় এখন চরম ক্ষয়ক্ষতি দৃশ্যমান হচ্ছে। বন্যা ও দীর্ঘ জলাবদ্ধতায় জীবন বাঁচাতে  ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নেয়া অসহায় লোকজন এখন নিজ বাড়িতে ফিরেছেন। অনেকেই নতুন করে আবার ভিটেমাটি ও বাড়িঘর তৈরি করছেন। 
গেল ২০-২৫ দিন থেকে চলছে তাদের নতুন জীবন যুদ্ধ। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দু’বেলা দু’মুঠো ভাতের নিশ্চয়তা যাদের জন্য চরম কষ্টকর। তারা এখন খেয়ে না খেয়ে ভিটেমাটি আর মাথাগোঁজার ঠাঁই তৈরি ও মেরামতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

এ যেন মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। ক্ষতিগ্রস্তরা জানালেন পুর্নবাসন কাজে যেমন নেই সরকারি কোনো সহায়তা।

তেমনি সহযোগিতা মিলছে না ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান কিংবা পেশাজীবী, সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনেরও। বন্যাকবলিত হওয়ার পর অনেকেই নিজ উদ্যোগে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে ছিলেন। বন্যা চলে যাওয়ার পর কেউই খোঁজ নিচ্ছে না তাদের।
তারা জানালেন এ বছর ভয়াবহ বন্যায় সবই শেষ। বন্যার তাণ্ডবের পর দীর্ঘ জলাবদ্ধতা। একের পর এক দুর্যোগ। গিলে খেয়েছে ক্ষেত-খামারের সঙ্গে মাথাগোঁজার ঠাঁইও। গতকাল হাকালুকি হাওর তীরবর্তী এলাকাগুলোতে গেলে মানুষের এমন চরম দুর্দশার দৃশ্য চোখে পড়ে। হাওর তীরবর্তী ভূকশিমইল ইউনিয়নের মৎসজীবী গ্রাম হিসেবে পরিচিত সাদিপুর গ্রামে কথা হয় অনেকেরই সঙ্গে। তারা জানালেন বন্যা ও দীর্ঘস্থায়ী জলাবদ্ধতায় যেমন ছোট-বড় রাস্তার ক্ষতি হয়েছে। তেমনি ঘরবাড়িরও। দীর্ঘদিন পর বাড়ি ফিরে এখন বসবাসের অনুপযোগী ঘরবাড়ি মেরামত করে ঠিকঠাক করছেন। আর্থিক সংকট থাকায় অনেকেই ঘরবাড়ি মেরামত করতে না পেরে এখনো রয়েছেন অন্যত্র। খেয়ে না খেয়ে করছেন মানবেতর জীবযাপন।

ইয়াজুর রহমান ও মকছন মিয়ার ঘরবাড়িরও একই দৃশ্য। সাদিপুর গ্রামের সুহেল মিয়া জানালেন বন্যার সময় ঘরে কোমর পানি থাকায় জীবন বাঁচাতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছিলেন। দীর্ঘদিন পর বাড়ি ফিরে দেখেন ভিটেমাটি ও ঘরবাড়ির অবস্থা একেবারেই বসবাসের অনুপযোগী। ৫ সন্তান, স্ত্রী ও বৃদ্ধ মাকে নিয়ে আবার কোথায় যাবেন তা ভেবে ভাঙা ঘরেই ঠাঁই নিয়েছেন। কখন যে ঘর ভেঙে পড়ে এই ভেবে রাতদিন থাকছেন উদ্বেগ উৎকণ্ঠায়। এমন চরম অসহায়ত্ব ও দুর্দশার চিত্র তুলে ধরেন একই গ্রামের কয়েছ আহমদ বটলাই, তসিম হোসেন, জমই বিবিসহ অনেকেই। হাওর তীরের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষগুলো নিজ বসতভিটায় ফিরলেও এখন পুর্নবাসন নিয়ে চলছে চরম হাহাকার।

বন্যা ও জলাবদ্ধতায় চরম ক্ষতিগ্রস্ত হাকালুকি হাওর তীরবর্তী কুলাউড়া উপজেলার ভূকশিমইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান মনির বলেন, এ বছর বন্যা ও দীর্ঘ জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্তরা ঘরবাড়িতে ফিরছেন। কিন্তু তাদের ঘরবাড়ি বসবাসের অনুপযোগী। তিনি বলেন পুর্নবাসনের জন্য সরকারি ও বেসরকারি সহায়তার প্রয়োজন। এখন পর্যন্ত পুর্নবাসনের জন্য উল্লেখযোগ্য কোনো ত্রাণ সহায়তা সরকারি কিংবা বেসরকারি তরফে পাওয়া যায়নি। মানবিক দিক বিবেচনায় তিনি অসহায় মানুষদের সহযোগিতার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানান।

সর্বশেষ - অন্যান্য