মঙ্গলবার , ৩০ আগস্ট ২০২২ | ২রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
insidebusinessnews.com
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. খেলাধুলা
  7. গল্প
  8. জাতীয়
  9. ধর্ম
  10. প্রবাস
  11. ফিচার
  12. বাণিজ্য
  13. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  14. বিনোদন
  15. বিভাগীয় সংবাদ

রেমিট্যান্স-যোদ্ধাদের তালিকা প্রকাশের সুপারিশ

প্রতিবেদক
Newsdesk
আগস্ট ৩০, ২০২২ ১০:০১ অপরাহ্ণ

প্রবাসী শ্রমিকদের নিয়ে আয়োজিত জাতীয় সংলাপে বক্তব্য দেন আনিসুল ইসলাম মাহমুদ

প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন, ব্যাংকগুলো থেকে বিদেশে টাকা পাচার হচ্ছে।

অন্যদিকে অভিবাসী শ্রমিকদের পাঠানো রেমিট্যান্স আয় কমছে। ফলে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে হাত পাততে হচ্ছে। বিভিন্ন শর্ত মানতে হচ্ছে।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে এক সংলাপে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এসব কথা বলেন। ‘বিল্ডিং ব্যাক বেটার: লিসনস লার্নড অন সাসটেইনেবল রি-ইন্টিগ্রেশন অব বাংলাদেশি রিটার্নি মাইগ্রেন্ট ওয়ার্কার্স’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপের আয়োজন করে অভিবাসী কর্মী উন্নয়ন প্রোগ্রাম (ওকাপ)।

এ সময় আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, দালালদের দৌরাত্ম্য বন্ধে বিভিন্ন সুপারিশ করা হয়েছে, কিন্তু কাজ হচ্ছে না। অভিবাসী শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে কিছু করতে না পারলে তাঁদের শুধু রেমিট্যান্স-যোদ্ধা বলে লাভ নেই। প্রবাসী শ্রমিকদের বৈধ পথে টাকা পাঠাতে নানা সমস্যার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রবাসী আয় পাঠানোর জন্য প্রণোদনা বাড়াতে হবে। তা না হলে অভিবাসী শ্রমিকেরা হুন্ডির মাধ্যমে দেশে টাকা পাঠাতে বাধ্য হবেন।

আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, সঞ্চয়, বিমা করার মতো বিষয়গুলো বিদেশে যাওয়ার আগেই জানতে হবে এবং প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। কেননা, বিদেশ ফেরত শ্রমিকদের সমাজে পুনরেকত্রীকরণের জন্য অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন জরুরি।

সংলাপে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু বলেন, পরিবারের দায় কাঁধে নিয়ে নারী শ্রমিকেরা বিদেশে যান। কিন্তু ফিরে আসার পর ওই নারীরাই পরিবারের কাছে অসৎ হয়ে যান। ওই নারীর বাকি জীবন কাটে কষ্টের মধ্যে। রেমিট্যান্স-যোদ্ধাদের তালিকা প্রকাশ করার সুপারিশ করেন তিনি।

এ সময় জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. শহীদুল আলম বলেন, বিদেশে যাওয়ার সময় একজন শ্রমিক বিভিন্ন জায়গা থেকে সহায়তা পান। ফেরার সময়ও তাঁর জন্য সে ধরনের ব্যবস্থা থাকতে হবে।

শহীদুল আলম বলেন, বিমানবন্দরে অভিবাসী শ্রমিকদের সেবা দিতে নতুন নিয়োগ পাওয়া কর্মীদের আচরণ পরিবর্তনে প্রশিক্ষণের আওতায় আনা প্রয়োজন। এ ছাড়া উপযুক্ত যোগ্যতা নিয়ে দেশে ফেরত আসা অভিবাসী শ্রমিকদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানো ও সামাজিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার সুপারিশ করেন তিনি।

জাতীয় সংলাপে ওকাপ, ক্যাফোড ও কারিতাস বাংলাদেশের যৌথভাবে বাস্তবায়িত ‘রিকভারি অ্যান্ড রি-ইন্টিগ্রেশন সাপোর্ট ফর বাংলাদেশি রিটার্নি মাইগ্রেন্ট ওয়ার্কার্স’ শীর্ষক প্রকল্পের মূল্যায়নের বিভিন্ন তথ্য জানানো হয়। ২৭ মাসব্যাপী এই প্রকল্পে অর্থায়ন করে দাতা সংস্থা জিএফইএমএস ও নোরাড। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিদেশফেরত নির্যাতনের শিকার, অসুস্থ ও ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীদের টেকসই রি-ইন্টিগ্রেশনের (পুনরেকত্রীকরণ) মাধ্যমে পরিবার ও সমাজে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা চালানো হয়েছে। এতে বিভিন্ন জেলায় উপকারভোগী ছিলেন ১ হাজার ২০ জন।

এ সময় ওকাপের চেয়ারম্যান শাকিরুল ইসলাম প্রকল্পের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন, অনেকের ধারণা, বিদেশফেরত অভিবাসী শ্রমিকদের হাতে কিছু টাকা তুলে দিলেই তাঁদের সমাজে পুনরেকত্রীকরণ করা সম্ভব। বিষয়টি আসলে তেমন নয়।

শাকিরুল ইসলাম প্রকল্পটির উদাহরণ দিয়ে বলেন, প্রকল্পের উপকারভোগীদের সবার আলাদা প্রোফাইল তৈরি করা হয়েছিল। ছয় মাস পরপর একটি বিশেষ টুল ব্যবহার করে তাঁদের জীবনমানের উন্নয়ন হলো কি না, তা দেখা হয়। প্রকল্প শেষে ৬৪ শতাংশ উপকারভোগী জানান, তাঁদের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটেছে। তবে দীর্ঘ মেয়াদে অসুস্থতার শিকার হওয়া, ঋণ পরিশোধ করতে না পারাসহ বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে থাকা ২৪ শতাংশ উপকারভোগী জানান, তাঁদের জীবনমানের উন্নয়ন হয়নি।

জাতীয় সংলাপে ওকাপের নির্বাহী পরিচালক ওমর ফারুক চৌধুরী, দাতা সংস্থা জিএফইএমএস বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার নাসির চৌধুরী, প্রকল্পের মূল্যায়নকারী বিশেষজ্ঞ কামরুননেসা নাজলী প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন।

সর্বশেষ - অন্যান্য