ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের হাজরাকান্দা ধর্ষণের পর বিষপানে এক স্কুলছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় মামলা হয়েছে থানায়। বুধবার মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পুলিশ। মামলায় নিহত ওই স্কুলছাত্রীর ফুফাতো ভাইসহ তার অজ্ঞাতনামা আরো দুই সহযোগীকে আসামী করা হয়েছে। তার আগে ময়নাতদন্ত শেষে বুধবার বিকেলে মিমের মৃতদেহ দাফন করা হয়। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
নিহত ওই স্কুলছাত্রীর নাম মীম আক্তার (১৫)। সে হাজরাকান্দা গ্রামের স্কুল শিক্ষক রেজাউল করিমের দুই ছেলে দুই মেয়ের মধ্যে সে ছোট মেয়ে। মিম ভাঙ্গার দিগনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
মীমের মা বিউটি বেগম মামলায় অভিযোগ করেন, তার মেয়ের সাথে সম্পর্কে ফুফাতো ভাই পার্শ্ববর্তী নগরকান্দা উপজেলার ছোট পাইককান্দি গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে রাব্বির বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলো ৬ মাস আগে। কিন্তু তারা আত্মিয়ের সাথে আত্মিয়তা করবেন না বলে প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রাব্বি তার দুই সহযোগীকে এনে মিমকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
গত ২৪ আগষ্ট রাতে মীম প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাইরে গেলে রাব্বি ও তার দুই সহযোগী তাকে মুখ আটকে বন্দি করে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ঘরে ফিরে সে ঘাস মারার ওষুধ ফিনিশিং পান করে। রাত আড়াইটার দিকে তাকে অসুস্থাবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। এর দুদিন পর ফরিদপুরে ও পরে তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পর গত সোমবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহতের বড় বোন সুমি বেগম জানান, ধর্ষণের পর মীমকে হুমকি দিয়ে রাব্বি এ ঘটনা কাউকে জানাতে নিষেধ করে। জানালে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। ঘটনার দুইদিন পর তার মীম ভীতসন্ত্রত হয়ে ধর্ষণের কথা তার নিকট জানায়।
ভাঙ্গা থানার ওসি জিয়ারুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় ভাঙ্গা থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। পুলিশ আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে।