মঙ্গলবার , ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
insidebusinessnews.com
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. খেলাধুলা
  7. গল্প
  8. জাতীয়
  9. ধর্ম
  10. প্রবাস
  11. ফিচার
  12. বাণিজ্য
  13. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  14. বিনোদন
  15. বিভাগীয় সংবাদ

যে কোনো সময় গ্রেফতার হতে পারেন এস আলম,আল জাজিরায় তৈরী হচ্ছে তথ্যচিত্র।

প্রতিবেদক
Newsdesk
ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৩ ১০:৪১ অপরাহ্ণ

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: ইসলামী ব্যাংক থেকে নভেম্বর মাসেই দুটি ভুয়া কোম্পানি খুলে দুই হাজার ৪৬০ কোটি টাকা ঋণ নেয়া হয়েছে প্রতিষ্ঠান দুটি হলো নাবিল গ্রুপ ও মার্টস বিজনেস লাইন। এর বাইরে স্যোশাল ইসলামী ব্যাংক ও ফার্ষ্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে নেয়া হয়েছে দুই হাজার ৩২০ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে নভেম্বরে নিয়েছে ৯ হাজার কোটি টাকা। এরই মধ্যে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান এস আলমের পাঁচটি ব্যাংক এর মধ্য দেউলিয়া হবার পথে।

এস আলম গ্রুপ এককভাবে ইসলামী ব্যাংক থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকারও বেশি ঋণ নেয়। এর এই ইসলামী ব্যাংক এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রনাধীন একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান। এস আলম গ্রুপ সর্বোচ্চ ২১৫ কোটি টাকা ঋণ নিতে পারে। আরো বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক সন্দেহ করছে এস আলম গ্রুপ এবং তাদের সঙ্গে সম্পর্কিত পক্ষগুলো মোট এক লাখ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে ইসলামী ব্যাংক থেকে। এসব তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অডিট রিপোর্টের বরাতেই দেয়া হয়েছে। আর সেখানে অনিয়মের কথা বলা হয়েছে।

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাইফুল আলম এখন সিঙ্গাপুরে বসবাস করেন।

এসব তথ্যের ভিত্তিতে সরকারী উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে এরই মধ্যে তদন্তে নেমেছে দুদক সিআইডিসহ বেশ কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থা। এরই মধ্যে এস আলমের বিরুদ্ধে দুদকের একটি ফাইল তৈরী করা হয়েছে। বলা হচ্ছে বছরের পর বছর এস আলম বিভিন্ন ব্যাক্তি প্রতিষ্ঠানকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করতে পারলেও নির্বাচনী বছরে সরকার এস আলমের এই ধরনের অপকর্মে আর সায় দেবেনো। কারন সরকারে এখন প্রধান লক্ষ্য জনগনের আস্থা অর্জন করা। ভোটরে রাজনীতিতে এস আলম কোনো ধরনের ভুমিকা রাখতে পাবনো বলে এ বছর সরকার আর কোনো অপরাধীদের সাথে শখ্যতা গড়বেনা বলে জানায় সরকারের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ। সেই দিক থেকে যে কোনো সময়ে জনগনের আস্থা অর্জনের জন্য এস আলমের প্রধান সাইফুল আলম মাসুদকে গ্রেফতার করা হতে পারে বলেও জানায় সরকারের শীর্ষস্থাণীয় নেতৃবৃন্দ।

এই জাতীয় অপরাধীদের কারনে নানা ভাবে বিব্রত সরকার। এক বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের এক নিষেধাজ্ঞা বেশ বিপাকে ফেলেছিল সরকারকে। এখন নির্বাচনের আগে আবার নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে এমন আশঙ্কা করছে অনেকেই।

বিভিন্ন অজুহাতে একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে এবার সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ও দায়ত্বশীল ব্যক্তিদের ওপর এই আশঙ্কায় বহির্বিশ্বে থাকা বাংলাদেশের সব দূতাবাস ও মিশনকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছেসতর্কতার নির্দেশ দিয়ে দূতাবাস ও মিশনপ্রধানদের চিঠি পাঠিয়েছেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। তাই লোক দেখানোর জন্যে হলেও এস আলমকে গ্রেফতার করাতে পারে সরকার।

কারন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ঋণ কেলেঙ্কারি ঘটে গেল এই মন্দার সময়ে।
একটি শিল্প গ্রুপ ৩০ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে ইসলামী ব্যাংক থেকে। শিল্প গ্রুপটি হলো বহুল আলোচিত এস আলম গ্রুপ। এই গ্রুপের মালিক এবং পরিবারের সদস্যদের মোট আটটি ব্যাংকের মালিকানা আছে। তাদের আছে নানান কিসিমের ব্যবসা। কোনোটি জীবন্ত আবার কোনোটি অস্তিত্বহীন৷ তারা আবার মিডিয়ারও মালিক ৷ইসলামী ব্যাংক ২০১৭ সালে এস আলমের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়।

বাংলাদেশ ব্যাংক অবশ্য তদন্ত শুরুর কথা বললেও কোনো মন্তব্য করছে না৷ আর এস আলম গ্রুপও এখন মুখে কুলুপ এঁটেছে। সরকারও এই বিষয়ে এখন উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে।
খোজ নিয়ে জানাযায়, এস আলম গ্রুপের প্রধান সাইফুল আলম বর্তমানে সিঙ্গাপুরে ঘাটি গেড়েছেন। সেখানেই বসে তিনি তার ব্যবসা নিয়ন্ত্রন করছেন্। সিঙ্গাপুরের রেসিডেন্সসহ বিশ্বে বিভিন্ন দেশে নাগরিকত্ব এস আলমের নেয়া আছে। তাই খুব অল্প সময়ের জন্য তিনি কখনো কখনো বাংলাদেশে আসেন। তাই তাকে গ্রেফতার করা ওতটা সহজ নয় বলেও জানায় দুদক কর্মকর্তারা। তবে সরকারের সবুজ সংকেত পেলে বাংলাদেশে থাকা তার পরিবারের সহযোগীতায় তাকে বাংলাদেশে এনে গ্রেফতারের একটা চেষ্টা করা হতে পারে বলেও জানান দুদক কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্টরা জানান আসছে নির্বাচনকে ঘীরে সরকারের নানা পরিকল্পনার মধ্যে অপরাধীদের ছাড়া না দেয়ার নীতিগত একটা সিন্ধান্ত হয়েছে। দেশের মানুষের আস্থা অর্জনের জন্য সরকার যে কাউকে আইনের আওতায় আনতে পারে বলেও জানায় অনেকে। তবে এরই মধ্যে কাতারে ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা এস আলমের অর্থ পাচার সংক্রান্ত একট তথ্য চিত্র তৈরী করছে যা এখন শেষের পথে। যে কোনো সপ্তাহে সেই তথ্য চিত্র সম্প্রচার করা হবে বলে জানাযায়।

 

সর্বশেষ - অন্যান্য