শুক্রবার , ১৭ মার্চ ২০২৩ | ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
insidebusinessnews.com
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. খেলাধুলা
  7. গল্প
  8. জাতীয়
  9. ধর্ম
  10. প্রবাস
  11. ফিচার
  12. বাণিজ্য
  13. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  14. বিনোদন
  15. বিভাগীয় সংবাদ

এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান তমাল পারভেজের কুকীর্তি

প্রতিবেদক
Newsdesk
মার্চ ১৭, ২০২৩ ১২:২৩ পূর্বাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক: চরম দুর্নীতি আর অনিয়মে নিমজ্জিত এনআরবিসি ব্যাংক। আর এসব দুর্নীতি বাংলাদেশ ব্যাংকের BFIU, FICSD ও DBI -এর তদন্তে ধরা পড়ে। এছাড়াও দুর্নীতি দমন কমিশনের চলমান তদন্তেও বিষয়গুলো ধরে পড়েছে। ব্যাংক কোম্পানী আইন ও বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রচলিত নিয়ম-কানুনের তোয়াক্কা না করেই চেয়ারম্যানে নিজস্ব তৈরি মনগড়া নিয়মনীতি দিয়েই চলছে এনআরবিসি ব্যাংক।

জানাযায়, ব্যাংকের কেনাকেটার নামে টাকা পয়সা লুটপাট, উপশাখা স্থাপনের নামে ব্যাংক থেকে টাকা উঠিয়ে নেওয়া, নিজের মালিকাধীন আউটসোর্সিং কোম্পানী এনআরবিসি ম্যানেজমেন্ট স্থাপন করে টাকার বিনিময়ে ৪৫০০ কর্মী নিয়োগ দিয়ে তাদের থেকে মাসিক ৫,০০০/- থেকে ১০,০০০/- টাকা হাতিয়ে নেয়। ব্যাংকের কর্মীদের নির্যাতনের জন্য বিভিন্ন বাহিনীর অবসর প্রাপ্ত ২০-২৫জন লোক নিয়ে টর্চার সেল স্থাপন করে সাধারণ কর্মীদের ভয়ভীতি দেখানোসহ শারিরীকি মানসিক নির্যাতন, মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে দেশে থেকে বিপুল অর্থ বিদেশে পাচার করে থাকে। তাছাড়াও বৈদেশিক মুদ্রার কেনাবেচার টাকা ব্যাংকের ইনকামে না দেখিয়ে চেয়ারম্যান তমাল পারভেজ নিজের একাউন্টে মুনাফার টাকা সরাসরি স্থানান্তর, ব্যাপক আকারের ঋণ জালিয়াতি, ভুয়া গ্রাহক সাজিয়ে মাইক্রোফাইনান্স ও রিটেইল লোনের টাকা সরাসরি চেয়ারম্যান, তার আত্মীয়-স্বজন ও স্বার্থ সংশ্লিষ্টদের একাউন্টে সরাসরি বিতরণ, গ্যামলিংয়ের মাধ্যমে কারসাজি করে শেয়ার বাজার থেকে প্রায় ১২০০ কোটি টাকা লুটপাটসহ বহুবিধি অপকর্মে জড়িত এই মুখশধারী দানব তমাল পারভেজ।

আবুল খায়ের লিটুর মাধ্যমে শেয়ার বাজার লুটপাটের এঘটনা বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেন্জ কমিশনের গোচীরিভূত হয়েছে।

বিগত ১৫-০৩-২০২২ইং তারিখের বিভিন্ন গনমাধ্যমে কুকীর্তি সগৌরবে প্রচারিত হয়। এনআরবিসির চেয়ারম্যান তমাল পারভেজের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালে মার্কিন সরকার স্যাংশন জারি করে, যার ফলশ্রুতিতে সে রাশিয়া থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে এনআরবিসি ব্যাংক দখলের পায়তারায় লিপ্ত হয় এবং ২০১৭ সালে সে সফলও হয়। এখন টাকার বিনিময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক, দুর্নীতি দমন কমিশনসহ বিভিন্ন পত্র পত্রিকার মুখ বন্ধ রেখে চলেছেন।

অভিযোগ রয়েছে এসব দুর্নীতি’র মূলহোতা ব্যাংকটির চেয়ারম্যান তমাল পারভেজ গং নিজেই। যার কোন ব্যবসা বাণিজ্য দৃশত নেই। সারাদিন ব্যাংকে বসে অপকর্ম করা আর ম্যানেজমেন্টকে কোন কাজ করতে না দেওয়ায় তার কাজ। ব্যাংকের টাকায় তার নিজস্ব বাড়ী ভাড়া, দুইটি রেন্জ রোভার গাড়ী ব্যবহার করা, ব্যাংকের সাথে নামে বেনামে ব্যবসা করা এগুলো সবই তদন্তকারী সংস্থার তদন্তে বের হয়ে এসেছে। ব্যাংকে তার নিজস্ব স্মার্ট মহিলা নিয়োগ ও ভোগ এবং সেগুলো ব্যবস্থাপনার জন্য লোক নিয়োগ, তার গার্লফ্রেন্ডদেরকে ব্যাংকে ও SKS NGO তে নিয়োগ এগুলো সবই তদন্তে ধরা পড়ে। এভাবে ব্যাংক থেকে SKS NGO তে সরিয়ে নিয়েছেন ২০০০ কোটি টাকার ঊর্ধ্বে।

ব্যাংকের রূপপুর শাখার মাধ্যমে পাপা রোমাসহ কয়েক গ্রাহককে ভুয়া ও বেনামী ঋণ সুবিধা দিয়ে সেটি বেনামে চেয়ারম্যানের পকেটে চলে গেছে। যা ব্যাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্তে ধরা পড়লেও ব্যাংলাদেশ ব্যাংক অজানা কারণে নিশ্চুপ। উল্লেখ্য এই শাখার মাধ্যমে সে ব্যাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা রাশিয়ায় পাচার করেছে।

তার এসব কাজে সরাসরি সহযোগিতা করেছেন ব্যাংকের ডিএমডি হারুন, ডিএমডি রবিউল, ডিএমডি কবির, এসইভিপি সাফায়েত কানন, এসভিপি দিদারুল হক মিয়া, অনিয়ম করে ঋণ বিতরণের দায়িত্বে থাকা ভিপি মারুফ, ইভিপি মাইনুল কবির, এসভিপি কমোডর (অব:) ফারহাদ, এসভিপি মেজর (অব:) পারভেজ, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা ইয়াসিন আলী, মেজর (অব:) আহসান, মেজর (অব:) মাস্তান, এইচআরডি এর আসিফ, সোহেলী ও রোমানা, পিএস আসিফ, এফএভিপি ব্যাংকের উকিল তানভীর সরোয়ার, এভিপি কামরুল, ভিপি জমির উদ্দিন, ভিপি জাফর হাওলাদার প্রমুখ। এরা নিজেরাও হাজার হাজার অপকর্মে লিপ্ত হয়েছে চেয়ারম্যানের অপকর্মে সহায়তা করতে গিয়ে। আর ব্যাংকের এমডি গোলাম আউলিয়া কাঠের পুতুলের মত বসে থেকে এসব কর্মকান্ডে সরাসরি চেয়ারম্যানকে সহযোগিতা করছেন।

উল্লেখিত ব্যক্তিদের সমন্বয়ে এবং কমোডর (অব:) ফারহাদ এর নেতৃত্বে তমাল পারভেজ অত্র ব্যাংকে একটি টর্চারসেল গঠন করেছেন যাদের কাজ হচ্ছে তার কথা না শুনলেই বিভিন্নভাবে নির্যাতন ও অমানবিক/নির্দয় ব্যবহার করে তার জীবন ধ্বংস করা।

এদের দিয়েই ব্যাংক থেকে প্রায় ৮,০০০ কোটি টাকা তারা সরিয়ে নিয়েছে তমাল পারভেজ। এর সাথে আরও যুক্ত গুলশান শাখার ম্যানেজার রবিউল ইসলাম, বনানীর ম্যানেজার আসিফ হোসেন, ধানমন্ডির ম্যানেজার আওয়াল মিয়া, হাতিরপুল শাখার ম্যানেজার কবির হোসেন, বরিশাল শাখার ম্যানেজার গোপাল চন্দ্র, খুলনার ম্যানেজার মোখলেচুর বালি, রাজশাহীর শাখার ম্যানেজার নূরুল হাবিব, রূপপুর শাখার ম্যানেজার রাশেদ, মাইক্রোফাইলের দায়িত্বে থাকা রমজান ও আব্দুল হক, বনানী শাখার ম্যানেজার আসিফ, উত্তরা শাখার ম্যানেজার দেলোয়ার, ওআর নিজাম রোড শাখার ম্যানেজার মহিউদ্দিন, আগ্রাবাদ শাখার ম্যানেজার প্রদ্দুত সরকারসহ অনেকেই। এসব অপকর্ম দুর্নীতি হাতে নাতে ধরা পড়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ফজলে কবির টাকার বিনিময়ে একটি টিম পাঠিয়ে বিগত ৩০-০৫-২০২২ তারিখে গুলশানে বসে দফা রফা করিয়ে দেন। যে কারণে ব্যাংকের চেয়ারম্যান তমাল পারভেজ বিগত ০২-০৬-২০২২ তারিখে সাজানো AGM নাটকের মাধ্যমে পুনরায় চেয়ারম্যান পদে আসীন হন।

আর ঐ দিন রাতে এমডিকে কে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং ভয় দেখান যার ফলশ্রুতিতে এমডি পরপর ৩ দিন অফিস করেন নাই। পরে তিনি কোনমতে চুপচাপ বসে থেকে দিন পার করেছেন। এরপর তিনি এইচআরডি হেড নাজমুল হাসানকে জোরপূর্বক পদত্যাগ পত্র জমা দিতে বাধ্য করেন। বেচারা তখন স্বেচ্ছায় গৃহবন্দী হয়ে পড়েন। এভাবেই তার দমনপীড়ন চলমান অবস্থায় আছে।

এরই ধারাবাহিকতায় ব্যাংকের ইসলামিক ব্যাংকিংয়ের প্রধান জনাব মোঃ মাহফুজুল হককে ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে অমানবিক ও নির্দয়ভাবে ব্যাংকে ২দিন আটকিয়ে রেখে তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়। পরবর্তীতে তার পরিবার ও সহকর্মীবৃন্দ ৯৯৯ ফোন করে পুলিশের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করেন। মোঃ মাহফুজুল হকের বিরুদ্ধে চেয়ারম্যানের অভিযোগ উনি না কি ব্যাংকের হিসাব বিভাগের প্রধান জাফর ইকবাল হাওলাদারের নামে বেনামে প্রায় ৫০ কোটি টাকার দুর্নীতির তথ্য দুদুকে ফাঁস করে দিয়েছেন। কিন্তু উনি জানেনই না যে জাফর ইকবাল হাওলাদারের এই নামে বেনামে এতগুলো ব্যাংক স্টেটমেন্ট আছে এবং সেই একাউন্টগুলো বাস্তবিকভাবে কে ব্যবহার করেছেন। তার পরেও জনাব মাহফুজুল হক ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও টর্চার সেলের অন্যান্য সদস্যদের কাছে পায়ে ধরে মাফ চেয়ে বলেন এই ঘটনায় তার কোন সংশ্লিষ্টতা নাই এবং তারপরও তার যদি ব্যক্তিগত কোন ভুলভ্রান্তি থেকে থাকে তাহলে চেয়ারম্যান মহোদয় যেন তাকে ক্ষমা করে দেয়, এবং ব্যাংক কর্তৃপক্ষ না চাইলে তাকে যেন চাকুরি থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়। তারপরও তমাল পারভেজ গং তাকে বিভিন্ন ভাবে শারীরিক-মানসিক নির্যাতন সহ প্রান নাশের হুমকি দিয়ে আসছে। এমতব্যবস্থায় জনাব মাহফুজুল হক তার একমাত্র অটিস্টিক বাচ্চাসহ অনিশ্চিত জীবন যাপন করেছেন।

তার ব্যক্তিগত মোবাইলের নিরাপত্তা পাসওয়ার্ডটি জোরপূর্বক ও প্রাণনাশের হুকমি দিয়ে ছিনিয়ে নেয় এবং তার সেসব একান্ত ব্যক্তিগত তথ্য তারা বিভিন্নভাবে বিকৃতভাবে তৈরি করে বিভিন্ন জায়গায় ছড়ানো হচ্ছে এবং তাকে সামাজিকভাবে হেয় করা হচ্ছে। তথাকথিত জাফর ইকবাল হাওলাদারসহ ব্যাংকের চেয়ারম্যানের কুকৃর্তি ও দুর্নীতি ঢাকার জন্য উনার বিরুদ্ধে একের পর এক মনগড়া কাল্পনিক ও মিথ্যা অভিযোগ তৈরি করা হচ্ছে ও তাকে ব্যক্তিগতভাবে বিভিন্ন প্রকার হয়রানি করা হচ্ছে। তাদের ক্রমাগত হয়রানির কারণে তিনি মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছেন। তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগে অভিযোগ করেও এর কোন প্রতিকার পাননি।

বাংলাদেশ ব্যাংক সহ সমস্ত নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ টাকার বিনিময়ে চুপচাপ থাকছে। আর ৫/৬ জন সাংবাদিক নিয়োগ দিয়েছেন তমাল পারভেজ যাদেরকে দিয়ে মোটা অংকের ঘুষের মাধ্যমে মিডিয়া কন্ট্রোল করা হচ্ছে।

এছাড়াও উল্লেখ্য যে, তিনি টাকা দিয়ে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন ক্রয় করতে যাচ্ছেন। আর তার জন্য ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়কে ব্যবহার করছেন। তাদেরকে দিয়ে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় জমি দখল করে সাইনবোর্ডও ঝুলিয়েছেন। যেমন ঢাকার নিকেতনে হাতির ঝিল সংলগ্ন ব্রাকের নিজস্ব সম্পত্তিতে তিনি সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে সেটি দখলে নিয়েছেন।

চেয়ারম্যানের মালিকাধীন (বেনামী প্রতিষ্ঠান) ইনাজ (যার অবস্থান নিকুঞ্জে) নামক একটি কোম্পানী থেকে প্রতিদিন ব্যাংকের জন্য খাবার দাবারের আয়োজন করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়। ব্যাংকের অফিস মতিঝিল হলেও নিকুঞ্জের ইনাজ থেকে প্রতিদিন ব্যাংকের জন্য খাবার আনা হয়। সমস্ত যন্ত্রাংশ কেনা হয় ইসি কমিটির চেয়ারম্যান আদনান ইমামের দেশী/বিদেশী কোম্পানী থেকে। আর এর মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লুটপাট ও বিদেশে পাচার করা হচ্ছে। যা বাংলাদেশ ব্যাংকের সব তদন্তে ধরা পড়েছে।

এই চক্রে জড়িত চেয়ারম্যান তমাল পারভেজ, ইসি কমিটির চেয়ারম্যান আদনান ইমাম ও ডাইন্স চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম আরজু মিয়া। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের দতন্তে বেরিয়ে এসেছে ব্যাংক থেকে SKS NGO এর গ্রাহকরা যে ঋণ নিচ্ছেন অনেক ক্ষেত্রে সেই ঋণের টাকা সরাসরি চেয়ারম্যানের নিজের একাউন্টে চলে যাচ্ছে। আবার চেয়ারম্যান তার পি এস আসিফের বউ / আত্মীয় স্বজনদের নামে ভূয়া ঋণ সৃষ্টি করে তা সরাসরি নিজের পকেটে নিয়ে যাচ্ছেন। আর চেয়ারম্যানকে এসব কাজে সহযোগীতা করছেন ডিএমডি হারুন, মেজর পারভেজ,আইসিটির দিদার,সিএডি মারুফ, মাইক্রো রমজান, আহসানসহ একঝাক কুচক্রী কর্মকর্তা।

SKS Foundation –এর পেটে ঢুকেছে এনআরবিসি ব্যাংক। ব্যাংকটির ১৩৫ টি ব্রাঞ্চ এখন এই NGO-এর কর্তৃত্বে চলে। এসব ব্রাঞ্চ চলে সরাসরি NGO-এর নিজস্ব তত্ত্বাবধানে ও তদারকিতে। NGO-এর ম্যানেজার রাই এসব ব্যাংকের ম্যানেজারদের তদারকি করে ও ঋণ দিয়ে দেয় সরাসরি। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই নজিরবিহীন ঘটনা ঘটে চলেছে যা সরাসরি বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরদারি’র বাইরে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকই ব্যাংক ব্যবস্থাপনার স্বকীয়তা নষ্ট করতে সাহায্য করছে। ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী কোন ব্যাংক অন্য কোন NGO- এর সাথে জড়িত হয়ে অংশীদারী কারবার করতে পারবে না এবং সেই NGO-এর কর্তৃপক্ষ ব্যাংকের ঋণ বিতরণ

প্রক্রিয়ায় জড়িত হতে পারবে না। এসংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের বিভিন্ন অভিযোগ ও তদন্ত চলমান এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ব্যাপক আপত্তি জানানোর পরেও চেয়ারম্যান তার পেশি শক্তির বলে এসব অবৈধ কর্মকান্ড বীরদর্পে চালিয়ে যাচ্ছে।

এই ঘটনার জনক NRBC ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস এম পারভেজ তমাল। তার সরাসরি ইচ্ছায় সমস্ত ব্যাংকিং নিয়ম বহির্ভূত এই কর্মকর্তা পরিচালিত হচ্ছে। আর যার বুদ্ধিতে এই কর্মকান্ড, এই বিতর্কিত চেয়ারম্যান করছেন তিনি হচ্ছেন ডিএমডি হারুনুর রশিদ। এই অপ্রাপ্ত বয়স্ক ব্যাংক কর্মকর্তা তমাল পারভেজকে তৈল মর্দন করে একে একে একাধিক প্রেমোশন নিয়ে এখন ডিএমডি। এই ব্যাংক কর্মকর্তা কোন ব্যবসা ব্যাংককে দিতে পারেননি আজ অবধি কিন্তু মাতববরিতে সর্বেসর্বা। তার কোন বাড়িঘর, কোন কিছুই নাই সারাদিন তমাল পারভেজের পিছনে ঘুরঘুর আর নিজের আখের গোছানোতেই ব্যস্ত থাকেন তিনি।

ডিএমডি হারুনুর রশিদ এসব বিতর্কিত কাজ করার জন্য বেছে নিয়েছেন Community ব্যাংকের দুই বিতর্কিত কর্মকর্তা রমজান আলী ভুয়া ও আব্দুল হককে। যারা Community ব্যাংকে Police পরিচয়ে চাঁদাবাজিতে জড়িত ছিলেন। হারুনুর রশিদ বেছে বেছে এই দুই বিতর্কিত কর্মকর্তাকেই নিয়োগ দিয়েছেন নিয়ম বহির্ভূত কর্মকান্ড পরিচালনা করার জন্য।

আর এক বখাটে বিএনপি কর্মী জমির উদ্দিন নিজেই দাপট দেখিয়ে ব্যাংক লুটপাটে লিপ্ত। ট্রেজারীতে ট্রেড করার নামে সমস্ত ব্যাংকের টাকা লুটপাটে লিপ্ত সে। আর এই কাজের পুরস্কার হিসেবে তমাল পারভেজ ও হারুন ৬ মাস পরপরই তাকে পদোন্নতি ও লাখ লাখ টাকা বেতন বৃদ্ধি দিয়ে থাকেন। এই ব্যাংকের আর এক বিতর্কিত কর্মকর্তা হচ্ছেন কানন, যিনিও লুটপাটে জড়িত।

সর্বশেষ - অন্যান্য