শনিবার , ২৭ মে ২০২৩ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
insidebusinessnews.com
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. খেলাধুলা
  7. গল্প
  8. জাতীয়
  9. ধর্ম
  10. প্রবাস
  11. ফিচার
  12. বাণিজ্য
  13. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  14. বিনোদন
  15. বিভাগীয় সংবাদ

মার্কিন নিষেধাজ্ঞার থাকছে এস আলম এবং আদিল, আকিজের নাম

প্রতিবেদক
Newsdesk
মে ২৭, ২০২৩ ১২:০৩ পূর্বাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২১ সালে  র‌্যাব এর  বর্তমান ও সাবেক ৭ কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা ছিলো একটি বড় বার্তা।  আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের মাঠ সমতল করার অংশ হিসেবেই  ২০২১ সালেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পুলিশ এবং র‌্যাবের কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। সে সময়  নিষেধাজ্ঞায় ৭ জনের নাম জানা গেলেও এই তালিকায়  রযৈছে আরো অনেকেই। এরই মধ্যে গেলো মঙ্গলবার মার্কিট স্টেট ডিপার্টমেন্ট একটি ব্লাংক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে রেখেছে।  জানাযায়  আগামী নির্বাচনের আগ পর্যন্ত এই সংখ্যা ৩ হাজার বা এর থেকেও বেশি হতে পারে।

নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আমেরিকা যে বার্তাটি দিচ্ছে- একটি সভ্য রাষ্ট্রের জন্য হিউম্যান রাইটস গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। এখানে যে কাণ্ডটি ঘটেছে তা আসলেই ন্যক্কারজনক। নাগরিকদের নিরাপত্তার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। এখন রাষ্ট্রীয় সংস্থা এবং তাদের সহায়তায় যদি মানবাধিকার হরণ  এবং সম্পদ লুট হয়  তার চাইতে ন্যক্কারজনক আর কিছু হতে পারে না। এটা একটি লাতিন সিন্ড্রম। লাতিন আমেরিকায়  একসময় এমন কর্মকাণ্ড ঘটতো। সেটি আমাদের দোরগোড়ায় এসে দেখা  দিয়েছে বলে মনে করেন কেউ কেউ।

বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ঘোষিত  ভিসা নীতিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে মনে করা যে কোনো বাংলাদেশি নাগরিকের ভিসা প্রদানে বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে।

মার্কিন যুক্তরাস্ট্র  জানায় এই নীতি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত যে কোনো ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। অন্য অনেকের সঙ্গে বাংলাদেশের বর্তমান বা সাবেক কর্মকর্তা/কর্মচারী, সরকারের সমর্থক এবং বিরোধী দলীয় সদস্যরা এবং অনেক ব্যবসায়ী এখানে অন্তভুক্ত।  এ ধরনের ব্যক্তিদের নিকটতম পরিবারের সদস্যরাও এর অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

এই ঘটনার পর থেকে জোরে শোরে বাংলাদেশী ব্যাবসয়ী সাইফুল আলম মাসুদ বা এস আলমের নাম শোনা যাচ্ছে। কা্রন বাংলাদেশে থেকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারে লুটপাটের সাথে এস আলমের নাম বার বার চলে আসে।  সবশেষ ইসলামী ব্যাংক থেকে ত্রিশ হাজার কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগ আসার পরেও বর্তমান সরকার এস আলমের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করেনী। উল্টো প্রধানমন্ত্রী বেসরকারী বানিজ্য বিষয়ক উপদেষ্টা সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এস আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনতে অনেকটা অনিহা প্রকাশ করেন। আর তার  কদিন পরেই মির্কন যুক্তরাস্ট্রের এই ধরনের সিন্ধান্তে অনেকটা নড়েচড়ে বসেছে ব্যবসায়ী মহল।

মার্কিন নিষেধাজ্ঞার  তালিকায় ব্যাংক পাড়া আরো দুটি নাম শোনাযাচ্ছে একজন হচ্ছেন সাইফুল আলমের ভাগিনা গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক মোহাম্মদ মোস্তান বিল্লাহ আদিল এবং ফাস্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং এস আলমের পিএস আকিজ উদ্দিনের নাম। কারন  বছরের বেশিরভাগ সময়ে এস আলম দেশের বাইহরে অবস্থান করেন। আর বাংলাদেশে তার হয়ে সকল কিছুর দায়িত্ব পালন করেন আদিল বিল্লাহ এবং আকিজ উদ্দিন।  ব্যাবসায়ী এস আলমের নিষেধাজ্ঞার সাথে সাথে পরিবারের সদস্য এবং ঘনিষ্টজন হিসেবে আদিল আকিজের নাম থাকতে পারে বলে জোর গুন্জন ব্যাংক পাড়ায়।

সর্বশেষ - অন্যান্য