সরকারের পদত্যাগ, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন ও সংবিধান সংস্কারসহ ১৪ দফা দাবিতে ঢাকায় পদযাত্রা করছে ছয় দলীয় জোট গণতন্ত্র মঞ্চ। সংগঠনটির নেতারা বলেছেন, সুষ্ঠু ভোট হলে আওয়ামী লীগ গাজীপুরের নির্বাচনের মতো ভেসে যাবে।
রোববার রাজধানীর মালিবাগ রেলগেট এলাকায় গণতন্ত্র মঞ্চের ঢাকা উত্তরের পদযাত্রা কর্মসূচি শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জোটের নেতারা এসব কথা বলেন।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।
সমাবেশ শেষে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মালিবাগ রেলগেট থেকে পদযাত্রা শুরু হয়ে বেলা একটায় মেরুল বাড্ডায় গিয়ে শেষ হয়।
পদযাত্রার শুরুতে মালিবাগ রেলগেটে সংক্ষিপ্ত পথসভায় গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা, দ্রব্যমূল্য কমানো, গুম-খুন ও বিচারবর্হিভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ এবং গ্যাস-বিদ্যুৎ-জ্বালানির দাম নির্ধারণে স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধে সরকারকে বাধ্য করতে হবে।
তিনি বলেন, দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে যুক্তরাষ্ট্র গায়ে পড়ে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করতো না। এই সরকার ২০১৪ ও ২০১৮ সালে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। ক্ষমতায় থাকতে এই সরকার দেশের জনগণের মর্যাদা ভূলুণ্ঠিত করেছে।
এ সময় নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে, দুর্বার আন্দোলন চলমান থাকবে।
তিনি বলেন, সরকার বিদ্যুতের উৎসব করেছে। কিন্তু কয়লা না থাকায় বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ডলার না থাকায় কয়লার দাম পরিশোধ করা যাচ্ছে না। বাজারে দ্রব্যমূল্যের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। এই সরকারকে বিদায় নিতেই হবে। লোভ দেখিয়ে, ভাঙন ধরিয়ে আন্দোলন থামানো যাবে না।
এসময় রাজনৈতিক কারণে কারাবন্দি ও সাজা পাওয়া নেতা-কর্মীদের সাজা বাতিল এবং হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি করেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহবায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সহসভাপতি তানিয়া রব, প্রমুখ।
সমাবেশ থেকে ঢাকা-দিনাজপুর লংমার্চের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। চার জুন সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে সামনে থেকে লংমার্চ শুরু হবে। ১২টি জেলা পার হয়ে সাত জুন বিকেলে দিনাজপুরে লংমার্চ কর্মসূচি শেষ হবে।