নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা বিনির্মানের অন্যতম কারিগর, এদেশের রেমিটেন্স যোগ্য লক্ষ লক্ষ প্রবাসী ভাইদের সম্মানে স্বার্থে কাজ করার জন্য, বাংলাদেশের গণমানুষের নেতা বস্তাবন্ধু কন্যা জননেত্রী ননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১০ সালে বিশেষ বিবেচনায় প্রবাসী বাংলাদেশীদের মালিকানায় যে তিনটি ব্যাংক স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছিলেন তন্মন্ধ্যে এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক অন্যতম। প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই মুজিব সৈনিক এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাকালীন চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার ফরাছত আলী, ব্যাংকটিকে ধীরে ধীরে দূর অবস্থানে নিয়ে গেলেও ২০১৭ সালের শেষের দিকে ন্যাকারজনক সদরে মাধ্যমে ফরাসত আলীসহ প্রতিষ্ঠাকালীন তার সকল পরিচালকদের পদচ্যুত করে রশিয়ান অলিপার্ক খাত পারভেজ তমাল ও তার দোসররা তাই ব্যাংকের ক্ষমতা কব্জা করে। ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠাকালীন পর্ষদ সদস্যদের ভুল পথে পরিচালনা করে পরিচালক পদ তথ্য ব্যাংক থেকে অপসারণের জন্য কারণ ছিলো বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিশেষ ক্ষমতার অপব্যাবহার ব্যবহার কর। সেই মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবেই বর্তমান ডিএমডি এন্ড সিএফও হারুনুর রশীদ ও এসইভিপি সাফায়েত কবির কাননের পরামর্শে এস এম পারভেজ তমাল ও আদনান ইমাম বাংলাদেশ ব্যাংকের উচ্চপর্যয়ে সম্পর্ক তৈরীতে মনযোগী হন। এরই ফলশ্রুতিতে পারভেজ প্রমান তৎকালীন এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর (পরবর্তীতে ডেপুটি গভর্নর এস এম মনিরুজ্জামানের সাথে সম্পর্ক গড়তে সক্ষম হলে, তার মাধ্যমেই ধীওে ধীরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হর্তাকর্তাদের মাঝে পরিচিতি লাভ প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করেন।
গভর্নরের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক বশীকরণঃ
ড. আতিউর রহমানের পদত্যাগের অব্যবহতি পর জনাব ফজলে কবির গভর্নর হিসেবে দায়িত্বে আসার সাথেসাথেই পারভেজ তমল যেনো আকাশের চাঁদ হাতে পেয়ে যান। এসময়ে তিনি ডেপুটি গভর্নর এস এম মনিরুজ্জামান ও গভর্নর ফজলে কবিরের সাথে বিশেষ সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং নিজের প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট করে তোলেন। স্বর্ণের গোলাপসহ বিভিন্ন উপঢৌকন ও সুবিধা নিয়ে সাবেক গভর্নর ফজলে কবিরকে এমনভাবে বর্ণীকরণ করেছিলেন যে, গভর্নর স্বয়ং নিজ উদ্যোগে ২০১৬ সালে সেসময়ের ानন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতকে চিঠি লিখে পারভেজ তখন ও আদনান ইমানদের বিরুদ্ধে বিধিমোতাবেক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন না করার অনুরোধ জানিয়ে, সমঝোতার মাধ্যমে ব্যাংক পরিচালনার প্রস্তাব দেন। জনশ্রুতি আছে, গভর্নর ফজলে কবির রাশিয়া সফরে গিয়ে পারভেজ তমলের মস্কোর বাসভবনে অবস্থান করেছিলেন এবং পারভেজ তমাল সেই সফরের সকল ব্যয় নির্বাহ করেন। তাছাড়াও, গভর্নরের সকল বৈদেশিক সফরের ব্যয়ভার নিয়মিতভাবে এনআরবিসির বিশেষ তহবিল থেকে নির্বাহ করা হতো। সেই সম্পর্কের ফলশ্রুতিতেই অস্ত্রসহ পর্যদ সভায় যোগদানের মতো অপরাধ করলেও বাংলাদেশ ব্যাংক এব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেয় নাই। বরং ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে চক্রান্তের মাধ্যমে পর্ষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে অদ্যাবধি অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ব্যাংক থেকে প্রায় ৫,০০০ কোটি টাকা লোপাট করেছেন। তার বিরুদ্ধে শতশত অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও, বিগত গভর্নরের সময়ে কোন প্রকার পদক্ষেপ গ্রহন করতে দেয় হয় নাই । বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিনান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি এন্ড কাস্টমার সার্ভিসেস ডিভিশন (এফআইসিএসডি) ও বাংলাদেশ ফিনান্সিয়াল ইন্টালিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডার, আমানতকারীদের
লিখিত অভিযোগের পাশাপাশি প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশিত দুর্নীতির অসংখ্য সংবাদের প্রেক্ষিতে পারভেজ তমাল ও আদনান ইমামের মালিকানাধীন এনআরবিসি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের গাড়ী ও লোক নিয়োগের দুর্নীতি। সিন্ডিকেটের সাথে যোগসাজশে শেয়ারবাজার কেলেংকারী ও এসকেএস ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে মাইক্রো ক্রেডিট বিতরণে কমিশন বাণিজ্য ও দুর্নীতির অভিযোগ, কিন্তু, পারভেজ তমাল ও আদনান ইমামের নির্দেশনায় হারুনুর রশীদ ও শাফায়েত কবির কানন তাদের আজ্ঞাবহ কর্মীবাহিনী দিয়ে পরিদর্শন কার্যক্রমে চরম অসযোগীতা ও বাঁধার সৃষ্টি করে। শাফায়েত কানন নিজেকে ডেপুটি গভর্নর আৰু ফরাহ মোঃ নাছেরের ভাতিজি জামাই পরিচয় দিয়ে পরিদর্শন দলের উপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালান। কার্যক্রম বন্ধের বিষয়ে সার্বিক তদারকি করেন ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আউলিয়া। এমনকি ব্যাংকের এমডি’র পরামর্শে চেয়ারম্যানের অফিসে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন দলকে ডেকে নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য ও বৈরী আচরন করেন পারভেজ তমাল পরিদর্শন দলের কার্যক্রম বন্ধে শেষপর্যন্ত গভর্নর ফজলে কবির স্বয়ং হস্তক্ষেপ করেন এবং পরিদর্শনের মাঝপথেই বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের ফিরে যেতে হয়। পরবর্তীতে, গোলাম আউলিয়ার নির্দেশনায় আইটি প্রধান দিদারুল ইসলাম ও এসএসডি প্রধান মেজর পারভেজ হোসেন ব্যাংকের ইনফরমেশন সিস্টেম থেকে তথ্য মেনিপুলেশন, ডিলিট ও টেন্ডার-প্রকিউরমেন্টের ভুয়া ডকুমেন্ট তৈরীসহ বিভিন্ন অপকর্ম সম্পাদন করেন। এনআরবিসি সিকিউরিটিজ থেকে পারভেজ তমাল, আদনান ইমাম, হারুন, ভিপি জমির ও সিও আসিফ ইকবালের সম্মিলিত শেয়ার কারসাজির সকল ডকুমেন্ট লাগার করে দেয়া
যায় দিন খারাপ আসে দিন আরও খারাপঃ
ব্যাংক সেক্টরের অন্যায় ও অনিয়মের প্রশ্রয়দাতার বদনাম নিয়ে পরলে কবর ২০২২ সালের জুলাই মাসে অবসরে গেলে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বক্তা কন শেখ হাসিনার উন্নয়ন বাস্তবায়নের সেনানী তথাকথিত পরিচ্ছন্ন ইমেজের অর্থসচিব আব্দুর রউফ তালুকদারকে গভর্নর হিসেবে নিয়োগ দিলে ব্যাকিং সেক্টর সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে সাথে এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের সাধারন কর্মকর্তারাও আশায় বুক বাঁধেন। কিন্তু অভাগা যেদিকে যায়, সাগর শুকিয়ে যায়। বর্তমান গভর্নরকে বশে আনতেও এস এম পারভেজ তমালের নীলনকশা আঁকেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী হারন-কাননের নেতৃত্বাধীন দুর্বলের দল নয়া গভর্নর কাজে যোগদানের আগেই তার সাথে শখ্যতা করতে থাকে এবং সচিবালয়ে কর্মরত একজন যুগ্মসচিবের মাধ্যমে তারা জানতে সক্ষম হয় যে, গভর্নর রউফ তালুকদারের একমাত্র ভগ্নিপতি অবসরপ্ত সেনাকর্মকর্তা মেজর আহসান হাবিব চাকুরী খুঁজছেন। তৎক্ষণাৎ কাননের মাধ্যমে মেজর আহসানের সাথে যোগাযোগ করে তাকে ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কার্যালয়ে একবছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ
দেয় হয় ।পর্যদসভা ১৪৮ তারিখ অশ্রষ্ট ১১, ২০২২) এবং তমালের দুর্বল বাহিনীর দলভুক্ত করা হয়।
সারাজীবন সেনাবাহিনীর মত মহান পেশায় চাকুরী করলেও, পারভেজ তমালের পান্ডাদের সাথে মিলে যেতে মেজর আহসানের একান্ত সময়ের প্রয়োজন হয় নাই। প্রথম দিন থেকেই তিনি তার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রভাব জাহিরে হয়ে পরেন। তিনি বাংলাদেশ ব্যাংক সম্পূর্ণ মানেজ করে দেবেন, এই শর্তে যোগদানের মাত্র সপ্তাহখানেকের মাথায় তাকে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কার্যালয়ের পাশাপাশি বোর্ড ডিভিশনের প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব নিয়ে ব্যাংকের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক গোলাম আউলিয়া অফিস অর্ডার জারি করেন (অফিস অর্ডার নয় এনআরবিসি ব্যাংক। এইচআরডি। ২০২২/ ৩৬১২ তারিখ। সেপ্টেম্বর ১, ২০২২)। ব্যাংক কোম্পানি আইন, কোম্পানি আইন বা কমপ্লায়েন্সের বিষয়ে কোনপ্রকার জ্ঞান বা অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও মেজর আহসান হাবিব ব্যাংকে যোগানের মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই ব্যাংকের কোম্পানি সচিবের পদ দখলের মাধ্যমে একচ্ছত্র আধিপত্য কায়েন করেছেন।
ব্যাংকের পর্ষদ সভার জন্য ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে মিটিং হুমকি থাকা সত্ত্বেও, পারভেজ তমাল তার ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহারের জন্য ব্যাংকের গুলশান শাখার আরেকটি মিটিংরুম ও চেয়ারম্যান’স অফিস মেইন্টেইন করেন। ব্যাংলাদেশ ব্যাংক পরিদর্শন দল এবিষয়ে অভিযোগ উত্থাপন করলে, মেজর আহসান নিজে ডিবিআই ও বিআরপিডিতে দিয়ে কর্মকর্তাদের গভর্নরের ভগ্নীপতি হিসেবে নিজের পরিচয় দিয়ে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে গূঢ় আচরনও করেন। এই বিষয়ে তদবির করতে গভর্নর কার্যলয়ের মাধ্যমে প্রভাব খাটাতেও তৎপরতা চালিয়েছেন এবং গভর্নরের সাথে এমডি গোলাম আউলিয়ার বিশেষ সাক্ষাতের ব্যবস্থাও করেছেন। এমন বাংলাদেশ ব্যাংকের বিআরপিডি থেকে চেয়ারম্যানের জন্য একটি মাত্র অফিস ও প্রধান কার্যালয়ে পর্ষদ সভাকক্ষের বিষয়ে নির্দেশনা দিয়ে চিঠি প্রদান করা হলেও শুধুমাত্র মেজর আহসানের বাংলাদেশ ব্যাংকে সামাল দেয়ার আশ্বাসে পারভেজ তমাল এখনও নিয়ম বহির্ভূতভাবে গুলশান শাখার অফিস ও পর্ষদ সভাকক্ষ ব্যবহার করে যাচ্ছেন।
পারভেজ তমালের বিরুদ্ধে ছুটির দিনে গুলশানের অফিসে অনৈতিক কার্যকলাপেরও অভিযোগ আছে। আহসানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন নির্দেশনাকে প্রভাবিত করার গুরুতর অভিযোগও পাওয়া যাচ্ছে। তিনি এনআরবিসি ব্যাংক ও এসকেএস ফাউন্ডেশনের মাইক্রোক্রেডিট পার্টনারশিপ সাব- সংক্রান্ত বাংলাদেশ
ব্যাংকের নির্দেশনাকে প্রভাবিত করার জন্যও তার নিকটাত্মীয় ব্যাংক গভর্নরের প্রভাব খাটাতে চেষ্টা চালিয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক গুনন্ত উপশাদার লাইসেন্সকে ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে সংঘাত কমিশন বানিজ্য করে অর্থ লোপাটের উদ্দেশ্যে পারভেজ তমাল, সিএফও হারুন, শাসাচ্ছেত কবির কানন এসকেএস ফাউন্ডেশনের সাথে ১৫৩টি পার্টনারশিপ রানা পরিচালনা করছেন। বাংলাদেশ ব্যাংক এবিষয়ে আপত্তি জানিয়ে চিঠি প্রদান করলে, মেজর আহসান হাবিব ব্যক্তিগত ভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট ডিভিশনে গিয়ে এনআরবিসি ব্যাংকের সুবির মোতাবেক বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা জারি করতে বিধি বহির্ভূত প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করেছেন।
এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান পারভেজ তমালের বাংলাদেশ ব্যাংক বর্ণীকরণের মোক্ষম অসন্তু হিসেবে মেজর আহসান হাবিবকে নিয়োগ দেয়া, পারভেজ তমালের বাংলাদেশের আইন ও নিয়মকে বৃদ্ধাগুলি প্রদর্শনেরই আরেকটি উদাহরন। নীলনকশা বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ায় মেজর আহসানকে নিয়ম বহির্ভূত সুযোগ সুবিধা ও পদপদবি প্রদান করে পারভেজ তমাল ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান গভর্নরের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলেছেন। এখন কারন অকারনে প্রায় প্রতি সপ্তাহেই পারভেজ তমাল তার দাবার গুটি আসান রিবকে সাথে নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে বিভিন্ন উপঢৌকন নিয়ে মাননীয় গভর্নরের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা
এবিষয়টি অস্বস্তিকর ও নেতিবাচক হিসেবে নিয়ে আড়ালে তাঁর বিরক্তি ও হতাশা প্রকাশ করলেও গভর্নরের রোশানলে পরার আশংকায় কেউ প্রকাশ্যে মন্তব্য জানাচ্ছেন না। আর এভাবেই বর্তমান গভর্নর মহোদয় কোটি কোটি
টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন এই আহসান হাবিবের মাধ্যমে এটাই হচ্ছে পরিছন্ন ইমেজের কেরামতি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বিরক্তি প্রকাশ করে বলছেন যে করে যে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে আমলাতান্ত্রিক গভর্নরের বিদায় হবে।
রাষ্ট্র ও ব্যাকিং সেক্টর বিরোধী অপতৎপরতা:
রাশিয়ান অলিগাকদের কর্মপন্থায় বিশ্বাসী এস এম পারভেজ তখন এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক নিজের পরিচালনা করার উদ্দেশ্যে ২০১৭ সালে ব্যাংক দখলের সাথে সাথেই সামরিক বাহিনীর কিছু বিতর্কিত সেনা কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেয়া শুরু করেন। পারভেজ তমালের এই ভাড়াটে বাহিনীর সদস্যরা হলেন কমান্ডার (অবঃ) ফরহাদ সরকার (ভিপি), মেজর (অব) পারভেজ হোসেন (এসভিপি), মেজর (অবঃ) শফিউল্লাহ মাস্তান সিইও, এনআরবিসি ম্যানেজমেন্ট), জোয়ান লিজার (অব) রমনা (ভাইস প্রেসিডেন্ট), পুলিশ কর্মকর্তা এএসপি (অঃ) ইয়াসিন আলী। এই বাহিনীর সর্বশেষ সংযোজন বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান গভর্নরের ভগ্নিপতি মেজর (অবঃ) আহসান হাবিব (ভাইস প্রেসিডেন্ট)। এই গ্রুপের সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে আছেন ডিএমডি এক সিএফও হারুনুর রশীদ এসইডিপি সাফায়েত কবির কানন। আর এই গ্রুপের জন্য বিশেষ তহবিল সমন্বয় করেন ব্যাংকের হেড অফ একাউন্টস জাফর ইকবাল (ভাইস প্রেসিডেন্ট) ও চেয়ারম্যানের পিএস আসিফ ইকবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ব্যাংকের সাধারন কর্মকর্তাদের মধ্যে আতর সৃষ্টি করে, পারভেজ তমাল এনআরবিসি ব্যাংকের সকল কর্মকাণ্ডের উপর তার একচ্ছত্ত্ব নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠা করেছেন। নিজস্ব গোয়েন্দা বাহিনী তৈরী করে, ব্যাংক কর্মকর্তাদের মধ্যে অবিশ্বাস সৃষ্টি করেছেন। আর তার মতাদর্শের বিরুদ্ধে গেলেই ব্যাংকের তৃতীয় তলায় চেয়ার মোরের টর্চার সেলে ডেকে নিয়ে সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের মাধ্যমে নির্যাতন করা হয়।
বিশ্বস্ত সুতে প্রান্ত সংযান মোতাবেক আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন, পশ্চিমদের বাংলাদেশের রাজনীতিতে অবৈধ হস্তক্ষেপ, মার্কিন ভিসানীতি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডকে বিবেচনায় নিয়ে পারভেজ তমাল ও আদনান ইমাম দুর্নীতির মাধ্যমে উপজিত অর্থের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেশের সামরিক ও বেসামরিক ব্যক্তিদের সাথে লফায় দফায় মিটিং ও সেনদরবার করা শুরু করেছেন। এইসব মিটিংয়ের সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করছেন পারভেজ তমালের ভাই সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ সাব্বির আহমেদ ব্যাংকের ম্যানিজিং ডিরেক্টর গোলাম আউলিয়া ও মেজর (অবঃ) আহসান হাবিব। এখানে উল্লেখ্য যে, ম্যানিজিং ডিরেক্টর গোলাম আউলিয়া পারিবারিক ভাবেই জাতীয় পার্টির রাজনীতির সাথে জড়িত তার বড়ভাই বরিশাল-৩ আসনে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু। অপরদিকে, ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার সাথে মেজর (অবঃ) আহসান হাবিবের সুসম্পর্কের কারনে, তার বড় ছেলে বর্তমানে ভারতে এনআইটি তে বিশেষ কোঠায় স্নাতকে অধ্যয়নরত।
সরকার পরিবর্তন হলে বা ২০০৬ সালের মতো সেনাবাহিনী সমর্থিত তত্তাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসীন হলেও, পারভেজ তমাল যাতে এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকে নিজের অধিপত্য ধরে রাখতে পারে বা পরিবর্তিত পরিস্থিতিতেও
যেনো অনিয়ম ও দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত না হন, তার নিশ্চয়তা পেতে তার নিতৃপ্তের বাসা ও বাসা সংলগ্ন ইনাজ ক্যাফেতে প্রায়ই গোপন বৈঠকে বসছেন। তাছাড়া ভবিষ্যতে ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া তার দুর্নীতি বিষয়ক কোন নেতিবাচক সংবাদ প্রচার থেকে বিরত থাকে সেজন্য সার্বিক পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন। এইসব মিটিংয়ে তমালের তথাকথিত “ভাগনার বাহিনীর পাশাপাশি ব্যাংকের ডিএমডি এন্ড সিওও হারনর রশীদ, এসইভিপি সাফায়েত কবির কানন, আইটি প্রধান এসভিপি দিদালে ইসলাম মি, ভাইস প্রেসিডেন্ট জাফর ইকবাল, চেয়ারম্যানের পিএস আসিফ ইকবাল ও গণসংযোগ কর্মকর্তা জানালিষ্ট অন-অর-রশীদ নিয়মিত উপস্থিত থাকছেন। এসব মিটিং এ আলোচং সূচী হচ্ছে কিভাবে তত্ত্বাবধায়কের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর তত্তাবধানে দেশ পরিচালনা করা যায়, তার জন্য সকলের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা প্রয়োজনীয় অর্থের যোগান দেওয়া ইত্যাদি।
মেজর আহসান হাবিব ও মেজর পারভেজ এসব সমন্বয় করতেন এবং এই বাহিনী পারভেজ তমাল কে স্বপ্ন দেখিয়েছে যে তত্ত্বাবধায়ক এসে বসুন্ধরা,এস আলম সালমান এফ রহমানরা দেশ ছাড়া হবে তাই এই সুযোগে সে এবং তার সাঙ্গপাঙ্গরা সব ব্যাংক দখল করবে। এবং তার এসব পালিত অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তারা সেসব ব্যাংকের ব্যাবস্থাপনা ও পরিচালনা করবে। অতি অল্প সময়েই যেহেতু সে একটি ব্যাংক থেকেই বিভিন্নভাবে যেহেতু ৫০০০ ৮০০০ কোটি টাকা লুটপাট করতে সক্ষম হয়েছে সেহেতু ১০ টি ব্যাংক দখলে নিলে সে নিশ্চিত একবছরে ৫০০০০ কোটি টাকা লুটপাট করতে পারবে।
সম্প্রতি তাদের একটি মিটিং এ সে এইসব গ্রুপের ব্যাপারে খুব এ বাজে মন্তব্য করেছে…..তার কথা হচ্ছে নজরুল যদি একটা সামান্য দর্জি থেকে এতবড় কারবারি হতে পারে তাহলে আমার কি হওয়া উচিত। আর বসুন্ধরা বেক্সিমকোরা এস আলমরা নাকি রাস্তার টোকাই ছিল আর সে নাকি ১৬ বছর বয়স থেকেই যুবরাজ ইত্যাদি। এছাড়াও সে বলে বেড়াচ্ছে যে সেনা সমর্থিত সরকার এসে এরা নাকি দেশ থেকে পালাবে আর এই সুযোগে সে নাকি এইসব প্রতিষ্ঠানের দখল নিবে। তাই এই হাইব্রিড পাতি ছিজকে থেকে আপনারা অতি দ্রুত সতর্কতা অবলম্বন করুন এবং তার বিরুদ্ধে যথাযথ আগাম ব্যবস্থা গ্রহণ করে দেশ জাতিকে বাঁচান।
নিজে যে অবৈধ বিটকয়েনের জুয়া খেলতে যেয়ে রাশিয়া থেকে মার্কিন সংকশন খেয়ে বিতাড়িত তার যে দৃশ্যত কোনো ব্যবসা নাই শুধুই ব্যাংক লুটের টাকায় ফটানি সেটা একবারও সে বলবে না। তাই সময় থাকতেই সুখী এই তত্ত্ব অলিয়ারকের বিষয়ে সতর্ক হন। তার যতো ছিসকে যেন আবার সেনা সমর্থিত কোনো সরকারকে ক্ষমতায় আনতে না পারে সে বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখুন।
এস এম পারভেজ তমালের মতন হাইব্রিড চাটুকারেরর গত দশ বছর সরকারের কাছ থেকে বিভিন্ন সুবিধা ভোগ করলেও, সামান্যতম ঝুঁকি নিতে নারাজ এবং প্রয়োজনে দেশবিরোধী শক্তির সাথে হাত মেলাতেও দ্বিধা করবে না। অথচ এনআরবিসির পারভেজ তমাল বা বেসিক ব্যাংকের আব্দুল হাই বাচ্চুর মতো ব্যাংক ডলারে দুর্নীতির কারণেই দেশের ব্যাকিং খাতে চরম অরাজকতা সৃষ্টি হয়েছে এবং সরকারকে আর্থিকখাত নিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে।