বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আইনের দোহাই দিয়ে সরকার খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এভাবে সাংবিধানিক অধিকার বঞ্চিত করার পরিণতি ভালো হবে না।
মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, সরকার খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিতের আদেশের শর্ত প্রত্যাহার করে নিলেই চিকিৎসা নিতে যাওয়ায় কোনো বাধা থাকবে না, আইনের কোনো ব্যতয় হবে না। তার চিকিৎসায় বাধা দেয়া অন্যায়, অমানবিক, অসাংবিধানিক।
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে দুটি মামলায় সরকার উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে সাজা দিয়ে কারাগারে আটক করে রেখেছে। এরপর ২০২০ সালের মার্চে তিনি নির্বাহী আদেশে বাসায় থেকে চিকিৎসা নেয়ার সুযোগ পান। করোনার পর তিনি বার বার অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
বিএনপি মহাসচিব জানান, বেগম জিয়ার লিভারের পর এখন কিডনির জটিলতা তৈরি হয়েছে। চিকিৎসকরা বারবার বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য বলছেন। মেডিক্যাল বোর্ড সর্বসম্মতভাবে বিদেশে আধুনিক বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসার পরামর্শ দিয়ে পরিবারকে চাপ দিচ্ছেন। কিন্তু বারবার আবেদন করলেও সরকার তাতে সায় দিচ্ছে না। এখনও সময় আছে তাকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হোক।
তিনি বলেন, আইনমন্ত্রী ৪০১ ধারার কথা বলে বিদেশে যেতে না দেয়ার কথা বলছেন। অথচ এক সময় আইনমন্ত্রী বলেছিলেন সাজা স্থগিত করে মুক্তি দেয়ার সুযোগ নেই, পরে আবার সেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সোমবার লন্ডনে খালেদা জিয়াকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে ফখরুল বলেন, তার বক্তব্য ব্যক্তিগত, রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক। এমন অশালীন, কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রধানমন্ত্রী দায়িত্বে থেকে দেয়া কল্পনাও করা যায় না। তার বক্তব্যে প্রমাণিত হয় এই দেশে শেখ হাসিনার বাইরে কেউ নেই, আইন অঙ্গণও তিনি নিয়ন্ত্রণ করেন।
বিএনপি গণতান্ত্রিক পন্থায় আন্দোলন করছে, বাধা এলে গণতান্ত্রিক পন্থায় মোকাবিলা করবে, যোগ করেন ফখরুল।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, কোনো শর্ত সাপেক্ষে খালেদা জিয়া বাইরে যাবেন না এটা তার পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। আর শুধু খালেদা জিয়াকে অসুস্থ রেখে নয়, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে বিএনপি কোনো নির্বাচনে যাবেন না।