বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের ফলে বহিবির্শ্বে বাংলাদেশ একটি প্রত্যয়ী ও মর্যাদাশীল দেশ হিসেবে জায়গা করে নেবে। আমাদের এই অর্জনকে সুসংহত এবং টেকসই করতে হবে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
আজ শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারী) বিকাল ৪টায় “বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশের মযার্দায় উত্তরণে জাতিসংগের চুড়ান্ত সুপারিশ” লাভ করায় প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রেস ব্রিফিংএ প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বাংলাদেশের জন্য এ উত্তরণ এক ঐতিহাসিক যটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে তাঁরই হাতে দেশ গড়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উন্নীত করলো।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, একযুগ আগের বাংলাদেশ আর আজকের বাংলাদেশ এক নয়।খাদ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ আজ স্বয়ং-সম্পূর্ণ।বর্তমানে আমাদের মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৬৪ ডলারে উন্নীত হয়েছি।
কৃষিখাতে সাফল্যের চিত্র তুলে তিনি বলেন, সারাবিশ্বে ধান উৎপাদনে বাংলাদেণ আজ ৩য় স্থানে আছে।মাছ-মাংস, দুধ, ডিম,শাকসব্জি উৎপাদনে আমরা স্বয়ং-সম্পূর্ণ। এছাড়াও বিদ্যুত খাতে ব্যাপক উন্নয়নের কথা তিনি তুলে ধরেন। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে সারা দেশের সকল গৃহহীনদের ৮ লাখ ৯৮ হাজার পরিবারকে বাসস্থানে ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লিখিত বক্তব্যের শেষে প্রশ্নোত্তর পর্বে সাংবাদিকদের করা বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। সাম্প্রতিক সময়ে আল জাজিরা করা রিপোর্টের বিষয়ে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন: স্বাধীনতা বিরোধী চক্ররাই এই রিপোর্ট করিয়েছে। কোন একটা চ্যানেল কি বলল না বলল তা বড় বিষয় নই বরং দেশের মানুষের জন্য কি করতে পারলাম সেটিই বড়।
টিকা নেওয়ার আরেক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমি অবশ্যই টিকা আমি নেব তবে নির্দিষ্ট সংখ্যক লোক টিকা নেওয়ার পরে আমি টিকা নেব। আগে আমার দেশের জনগন কত পার্সেন্ট মানুষ টিকা নিতে পারলো সেটা আগে দেখতে চাই।
এই কৃতিত্ব এ দেশের আপামর জনসাধারণের এই কথা উল্লেখ করে তিনি সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই মাইলফলক অর্জন করতে সম্ভব হওয়ায় তিনি সকল উন্নয়ন সহযোগীদের ধন্যবাদ জানান।
প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এহসানুল হক করিম।