নিজস্ব প্রতিবেদক: স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচাল হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে জামাতের সাথে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ পাওয়া গেছে। খোজ নিয়ে জানাযায় আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা কাজী আকরাম উদ্দীন নিজেই উদ্যেগী হয়ে জামাত নেতা মো: হাবিবুর রহমানকে তার স্ট্যান্ডার্ডঙ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। বাংলাদেশের স্বার্ধীনতা বিরোধী দলের নেতা কি করে আওয়ামীর্লগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্যের ব্যাংকে শীর্ষ পদে নিযুক্ত হলো এই নিয়ে ব্যাংক পা;ড়ায় এখন আলোচনা।
জানাযায়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিবিরের সাবেক প্রচার সম্পাদক ও ছাত্র শিবিরের সর্বচ্চো সাথী পদধারী এর সাবেক সদস্য এবং এর আগে ইউনিয়ন ব্যাংক লিঃ এর অতিরিক্ত ব্যাবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন মোঃ হাবিবুর রহমান। এরপর আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জনাব কাজী আকরাম উদ্দীনের মালিকানাধীন স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের পর্ষদ কর্তৃক ব্যাবস্থাপনা পরিচালক হিসাবে নিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ব্যাংকের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা হতাশা প্রকাশ করে এই নিয়োগ বাতিলের জন্য আবেদন জানায়।
স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক জনাব মোঃ হাবিবুর রহমানের ব্যাংকিং পেশায় তার কুকীর্তির খোজ নিয়ে জানাযায় মোঃ হাবিবুর রহমান সর্বপ্রথম ইসলামী ব্যাংক লিঃ এ ব্যাংকিং চাকুরী জীবন শুরু করেন এবং তার চাকুরীর জীবন বৃত্তান্তে সুপারিশকারী ছিলেন কুখ্যাত রাজাকার ফাঁসির দন্ডে দন্ডিত মীর কাশেম আলী। এরপর ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রাইম ব্যাংকে যোগদান করে পরবর্তীতে মার্কেন্টাইল ব্যাংকে মিরপুর শাখায় শাখা ব্যাবস্থাপক হিসাবে দায়িত্বরত থাকা অবস্থায় ঋণ কেলেঙ্কারীর সাথে জড়িত হওয়ায় মার্কেন্টাইল ব্যাংকের পরিচালক পর্ষদ কর্তৃক জনাব মোঃ হাবিবুর রহমানকে অপসারণ করা হয়েছিল।
পরবর্তিতে মুচলেকা দিয়ে ওয়ান ব্যাংকে তিন মাস চাকরী করার পর শাহাজালাল ইসলামী ব্যাংকে দুই মাসের মাথায় অপসারিত হয়ে যমুনা ব্যাংক লিঃ এর বৈদেশিক বাণিজ্য শাখার শাখা ব্যাবস্থাপক হিসাবে দায়িত্ব পালনের সময় বিসমিল্লাহ গ্রুপের ঋণ কেলেঙ্কারীর সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় যমুনা ব্যাংকের পর্ষদ কর্তৃক সাময়িক বরখাস্ত করা হয় এবং বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট কর্তন করা হয়।
যমুনা ব্যাংকের ঋণ আদায়ের মুচলেকা জমা দিয়ে এন সি সি ব্যাংক উপ ব্যাবস্থাপনা পরিচালক হিসাবে যোগদান করে এন সি সি ব্যাংকে গ্রুপিং করার কারণে এন সি সি ব্যাংকের পরিচালক পর্ষদ কর্তৃক ভৎসনা করার পর চাকরী ছেড়ে কিছুদিন কর্মহীন অবস্থায় ছিলেন।
পরবর্তীতে সাউথইস্ট ব্যাংকে অতিরিক্ত ব্যাবস্থাপনা পরিচালক হিসাবে যোগদান করে একজন নিয়মিত ঋণ গ্রহীতার বিরাট অঙ্কের সুদ মওকুফ কেলেঙ্কারীর সাথে জড়িত থাকার প্রধান হওয়ায় সাউথইস্ট ব্যাংকের পরিচালক পর্ষদ কর্তৃক তাৎক্ষনিক ভাবে জনাব মোঃ হাবিবুর রহমানকে চাকুরী হতে অব্যহতি প্রদান করা হয়।
এরপর প্রায় ১ বছরের অধিক কর্মহীন থাকার পর একই পদে অর্থাৎ অতিরিক্ত ব্যাবস্থাপনা পরিচালক হিসাবে ইউনিয়ন ব্যাংকে যোগদেন।মোঃ হাবিবুর রহমান স্বাধীনতা বিরোধী পক্ষের একজন লোক এবং ব্যাংকিং সেক্টরে একজন অসৎ কর্মকর্তা হিসাবে পরিচিত। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জনাব কাজী আকরাম উদ্দীনকে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের লাইসেন্স প্রদান করেন এবং এই ব্যাংকের মালিকরা স্বাধীনতা স্বপক্ষের লোক কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধী পক্ষের লোক জনাব মো: হাবিবুর রহমানকে কিভাবে এই ব্যাংকে ব্যাবস্থাপনা পরিচালক হিসাবে নিয়োগ প্রদান করা হলো এই বিষয়ে পুরো ব্যাংকিং সেক্টরে একটি হতাশা বিরাজ করছে।
ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান সম্প্রতি বিএনপির পলাতক নেতা তারেক রহমানের পিএস এর মামলায় ওকালতি করার জন্য সাবেক খাদ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম সমালোচনার মুখে পড়েন। স্বার্ধীনতার পক্ষের শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত দলর আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা কাজী আকরাম উদ্দীনও কি করে জামাত নেতা মো: হাবিবুর রহমানকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেকে নিয়োগ দিলো সেটিই এখন সবার প্রশ্ন!