ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চার জনের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় অভিযোগ গঠন কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে লেবার কোট ইন্সপেক্টরসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রোববার এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাস সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
এর আগে গত ছয় জুন শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত। ওই আদেশের মাধ্যমে এই মামলার বিচার কাজ শুরু হয়। সেদিন এই আদেশ দেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা।
ড. ইউনূসের আইনজীবী সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, মামলায় অপর তিন বিবাদি হলেন গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও শাহজাহান।
সেদিন আদালতে ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।
ইউনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগ, গ্রামীণ টেলিকমের ১০১ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে স্থায়ী করার কথা থাকলেও তাদের স্থায়ী না করা, শ্রমিকদের অংশগ্রহণের তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন না করা, এছাড়া কোম্পানির লভ্যাংশের পাঁচ শতাংশ শ্রমিকদের দেয়ার কথা থাকলেও তা তাদের দেয়া হয়নি।
এসব অভিযোগে ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান।