দহেন বিকাশ ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি।।
খাগড়াছড়ি জেলা শহরের দৃর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে এল্টু চাকমা (২৬) নামে এক প্রতিবন্ধী যুবককে খুন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২০জুলাই) দিবাগত রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে জেলা পৌর শহরের ৩নং ওয়ার্ড শান্তিনগর এলাকায় একটি মসজিদের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত এল্টু চাকমা খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলার মাইসছড়ির নোয়াপাড়া গ্রামের অনিল বিকাশ চাকমা ও ফুল রানী চাকমার একমাত্র ছেলে সন্তান। দুই বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবার ছোট।
জানা যায়, নিহত ব্যক্তি সিগারেট কোম্পানীর অফিসের বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতো। এ ঘটনার ডাকাতকে চেনা গেছে বলেও জানা যায।
এ ঘটনার স্বাক্ষীদের জবানবন্দির তথ্যমতে, বিভিন্ন মামলার আসামী উত্তর গঞ্জপাড়ার আব্দুল রাজ্জাক এর ছেলে মোঃ সাজু নামে একজনের নাম জানা গেছে। তিনি কিছুদিন আগে সবেমাত্র জেল থেকে বেড়িয়েছেন বলেও গোয়েন্দার তথ্যে জানা যায়। এছাড়াও আরো কয়েকজন থাকতে পারে জানিয়েছেন বাবলু মিয়া (মামলার স্বাক্ষী) এদিকে ঘটনার পর জড়িতদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
নিহতের বড় বোন সেলিনা চাকমা জানান, মঙ্গলবার (২০জুলাই) আনুমানিক দিবাগত রাত ১১টায় সিগারেট কোম্পানীর খাগড়াছড়ি এরিয়া ম্যানেজার ম্যাকলিট চাকমা খবর পেয়ে তাদেরকে জানায়। পরে হাসপাতালে এসে ছোট ভাইয়ের লাশ দেখতে পায়। আমার ছোট ভাই শারীরিক প্রতিবন্ধী। তার ডান হাতের সমস্যা আছে। প্রতিবন্ধী ভাতাও পায়। তিনি এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবি জানান।
ঘটনার স্বাক্ষী ছিলেন অভিজ্ঞ চাকমা (২৭)। জেলা সদরের কমলছড়ি ইউনিয়নে বাড়ি তার। আর অন্যদিকে দীঘিনালার উপজেলার মোঃ নজরুল এর ছেলে বাবলু মিয়া (৩০)।
এদিকে সিগারেট কোম্পানীর খাগড়াছড়ি এরিয়া ম্যানেজার ম্যাকলিট চাকমা জানান, আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে তিনি খবর পায়। চুরি করতে এসে ওই যুবককে ছুরি দিয়ে আঘাত করে চলে যায় ওই ডাকাত।
খাগড়াছড়ি সদর থানার কর্মর্তা (ওসি তদন্ত) আবুল হাসান খান জানান, মেরিস সিগারেট কোম্পানির স্থানীয় একটি দোকানের গুদামে ঢুকে ওই যুবককে ছুরিকাঘাত করা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ব্যাপারে তদন্ত করার আগে কিছুই বলা যাচ্ছে না। এছাড়া মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
এ ঘটনায় নিহতের পিতা অনিল বিকাশ চাকমা বাদী হয়ে মামলার করার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে।
প্রতিবেদন লেখার সময়ের শেষ মূর্হুতে সেনাবাহিনী একজন ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা যায়। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে এখনো তথ্য নিশ্চিত করা হয়নি।