রাজধানীর উত্তরায় বিআরটি প্রকল্পের ফ্লাইওভারের গার্ডারে চাপা পড়ে নিহত পাঁচজনের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটের দিকে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে তাদের ময়নাতদন্ত করা হয়। এ সময় মর্গের সামনে এক হৃদয় বিদারক পরিস্থিতি তৈরি হয়। তবে গণমাধ্যম কর্মীরা সংবাদ সংগ্রহের সময় একটি অবাক করা বিষয় দেখতে পান। সেখানে কয়েকজন নারী নিহত রুবেলের স্ত্রী দাবি করে কাঁদছে। শুধু তাই নয় মরদেহ নিতে দাবি করা স্ত্রীদের সঙ্গে সন্তানও আছে।
তিনি সাতটি বিয়ে করেছেন বলে ইতোমধ্যে জানা গেছে।এ ছাড়া হাসপাতালে আসা নারীদের পরিচয় মিলেছে।
‘নারগিস বেগম, রেহেনা বেগম, শাহিদা বেগম, সালমা আক্তার পুতুল ও তাসলিমা আক্তার লতা। এই পাঁচজন মর্গের সামনে এসে মরদেহ দাবি করছেন। আরেকজনের নাম টিপু। তিনি মারা গেছেন। রুবেলের সন্তান জন্ম দেওয়ার সময় তার মৃত্যু হয়। এ ছাড়া বাকি একজনের নাম এখনও জানা যায়নি।’
স্ত্রী শাহিদার বাড়ি মানিকগঞ্জে। লতার গাজীপুরে, পুতুল থাকেন মিরপুর-১০ নম্বরে, আর নারগিস ঢাকার দোহারে। তবে শাহিদার দাবি তার ও রুবেলের সন্তান রয়েছে। সেই সন্তানের নাম সানজিদা আক্তার রত্না।
এ বিষয়ে হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক ডা. নাশেদ জামিল বলেন, ‘যথাযথ প্রক্রিয়ায় মরদেহগুলোর ময়নাতদন্ত হয়েছে। মরদেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। কিন্তু কোনো বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।’
প্রসঙ্গত, সোমবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে উত্তরা জসীমউদ্দীন এলাকায় আড়ংয়ের সামনে ক্রেন দিয়ে একটি গার্ডার ওপরে ওঠানো হচ্ছিল। এ সময় ক্রেন উল্টে সেটি প্রাইভেটকারের ওপর পড়ে। গার্ডার পড়ে প্রাইভেটকারটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে প্রাইভেটকারের ভেতরে থাকা সাতজনের মধ্যে পাঁচজন নিহত হয়।
নিহতরা হলেন রুবেল (৬০), ফাহিমা (৪০), ঝরনা (২৮), জান্নাত (৬) ও জাকারিয়া (২)। বেঁচে যাওয়া দুইজন হচ্ছেন নবদম্পতি হৃদয় ও রিয়া মনি। গত শনিবার তাদের বিয়ে হয়।