নিজস্ব প্রতিবেদক: সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স (এসবিএসি) ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক আবদুল কাদির মোল্লার বিরুদ্ধে ধর্ষনের অভিযোগ এসেছে। ২০২২ সালের আগষ্টে রাজধানীর ভাটারা এলাকার এক তরুনীকে তার প্রতিষ্ঠান থার্মেক্স গ্রুপে কাজ দেয়ার নাম করে নিকেতন একটি বাসায় এনে জোর পুর্বক এই ধর্ষনের কাজ করাহয় বলে জানায় ভুক্তভুগি। সেই তরুনী এখন অন্তসত্বা বলেও জানায় অভিযোগকারী। কিন্তু এখন থার্মেক্স গ্রুপের মালিক আব্দুল কাদির মোল্লা সেই অন্তসত্মা তরুনীর দায়িত্ব নিতে নারাজ। তরুনীর নিজের মোবাইলে লুকিয়ে তোলা ছবিতে দেখাযায় ধর্ষনের পর উলঙ্গ আব্দুল কাদির মোল্লা তার পোষাক পড়ছেন। এমন আরো ছবি আর ভিডিও রয়েছে বলে প্রতিবেদকের কাছে জানায় ভুক্তভুগি। যার পরবর্তীতে ধারাবাহিক আকারে প্রকাশ করা হবে।
সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স (এসবিএসি) ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক পর্ষদের কাছে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার অনুরোধ করেন আব্দুল কাদির মোল্লা। কিন্তু নারী কেলেংকারী হবার কারনে কেউ এই বিষয়ে এগিয়ে আসেনি।
এদিকে, ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে আব্দুল কাদির মোল্লা ৬ লাখ টাকা দেয়ার কথা বলে ভুক্তভুগিকে। পাশাপাশি অন্তঃসত্ত্বা সই তরুনী ও তার পরিবারকে এলাকা থেকে বিতাড়নের চেষ্টা চলছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, ভাটারা এলাকায় র এক দরিদ্র পরিবারের একমাত্র উপার্জন ব্যাক্তিই ধর্ষনের শিকার এই তরুনী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স (এসবিএসি) ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের এক পরিচালক জানান, ধর্ষণের শিকার তরুনী গত তিনমাস আগে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তার মা তরুনীকে রাজধানীর একটি বেসরকারী ক্লিনিকে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসক ধর্ষনের শিকার তরুনীর অন্তঃসত্ত্বার খবর জানান।
অবিবাহিত তরুনীর অন্তসত্বার বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়ে গেলে এই বিচারের ভার ব্যাংক পর্যন্ত চলে আসে। পরিচালনা পর্ষদ বিষয়টির সমাধানের জন্য ধর্ষনের দায়ে প্রধান অভিযুক্ত সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স (এসবিএসি) ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের আব্দুল কাদির মোল্লাকে জানালে তিনি এই বিষয়ে কোনো ধরনের সহযোগীতা করেননী।
ব্যাংক কর্মকর্তারা জানান, আব্দুল কাদির মোল্লার বিরুদ্ধে নারী ধর্ষনের এই অভিযোগ নতুন নয়। তিনি বিভিন্ন সময়ে কম বয়েসী তরুনীদের নিয়ে রাজধানীর গাজীপুরের বিভিন্ন রিসোর্টে অবস্থান করার তথ্য সবার জানা। শিল্পপতি হবার কারনে কেউ মুখ খুলতে ভয় পায়। চাকুরী দেয়ার নাম করে ধর্ষনের আরো অভিযোগ রয়েছে কাদির মোল্লার বিরুদ্ধে। কিন্তু কেউ থানায় মামলা করতে চাইলে সেখানেও আব্দুল কাদির টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে ফেলে। অন্তসত্বা তরুনী ধর্ষনের ঘটনা জানাজানি হবার পর তার প্রতিষ্ঠানের কেউ কেউ বিষয়টি শুধুমাত্র জানার কারনে সম্প্রতি চাকুরিচূত্য হয়। তবে এখন গনমাধ্যমে বিষয়টি চলে আসায় ধষূনের শিকার তরুনী থানায় মামলা করবে বলে জানায় ভুক্তভুগির পরিবার।
তবে কাদির মোল্লার নারী ধর্ষনের আরো ছবি এবং ভিডিও প্রতিবেদকের কাছে দেবে বলে জানায় ভুক্তভুগি।