বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। যা ইতিমধ্যে অতিক্রম করেছে ভারতের ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের স্থলভাগ। এর প্রভাবে দেশের চার বিভাগের অনেক জায়গায় এবং অন্য বিভাগগুলোর কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টিপাতের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
শনিবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করে আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক বলেন, নিম্নচাপটি আপাতত ঝাড়খণ্ডে আছে। এর ফলে বাংলাদেশে বায়ুচাপের পার্থক্যটা অনেক বেশি রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আগামীকালের (রোববার) মধ্যে নিম্নচাপের এই অবস্থা স্বাভাবিক হয়ে যাবে। তখন বৃষ্টি কমে যাবে। তবে দুদিন পর আবারও বৃষ্টি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানা যায়, নিম্নচাপের ফলে আজও সারা দেশে বৃষ্টি হতে পারে। তবে খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের অনেক জায়গায় ভারি বর্ষণ হতে পারে। এছাড়া অন্যান্য বিভাগগুলোর কিছু কিছু জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হতে পারে। একইসাথে অপরিবর্তিত থাকবে দিনরাতের তাপমাত্রা।
পূর্বাভাসে বলা হয়, নিম্নচাপে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার হতে পারে। যা দমকা/ঝোড়ো হাওয়া আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
নিম্নচাপ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২ থেকে ৪ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। এজন্য বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।